![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোকবর্তিকার সম্পাদক ধানসিড়ি সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ এর সভাপতি
গড়ে তুলি ব্যক্তিগত লাইব্রেরি
অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি। ছোটভাই সবুজ পঞ্চম শ্রেণীতে। আমাদের দুইজনেরই ছিল বই পড়ার অভ্যাস। তখন আমি একটু একটু করে কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম। ছোটভাই সবুজের ইচ্ছে বাড়িতে একটা লাইব্রেরি করা। সে নামও ঠিক করল। নামটা হল ‘সবুজছায়া’। শুরু হলো বই কেনা। প্রথম দিকে রবীন্দ্রনাথের বলাকা, কাজী নজরুল ইসলামের রিক্তের বেদন, সঞ্চিতা,জীবনানন্দ দাশের রুপসী বাংলা, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ শ্রেষ্ঠ কবিতা, শেক্সপিয়ারের অনুবাদগ্রন্থ অমনিবাস,শরত্চন্দ্র চট্টপ্যাধায়ের মেজ দিদি, দেবদাসসহ বেশ কিছু বিজ্ঞান বিষয়ক বই নিয়ে সবুজ ছায়ার যাত্রা শুরু হয়। তারপর এই লাইব্রেরি অনেক বই সংগ্রহ হয়। আমরা দুইজনেই পড়াশোনার জন্য ঢাকায় চলে আসি। এর জন্য লাইব্রেরিটা কিছুটা ধাক্কা খায়। সংগ্রহের বইগুলো দিনে দিনে হারাতে শুরু করে। তবে আমাদের কাছে বইয়ের সংখ্যা কমতে থাকেনি। বরং বাড়তে থাকে। লাইব্রেরিটা এখন আমাদের বাড়ির মাঝে নয় এর প্রভাব ছড়িয়ে যায় আমাদের ম্যাজ জীবনে। আমাদের দুইজনেই ব্যক্তিগত বইয়ের সংখ্যা ৪০০ তো হবেই।
সবুজ থাকে অন্য জায়গায়। আর আমি,আমার বন্ধু রবিউল ইসলাম থাকি এক জায়গায়। রবিউলও বই পড়ুয়া ছেলে। বই পেলে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যায়। যেন সব পাওয়া হয়ে যায় তার। তারও সংগ্রহের অনেক বই। রবিউলের প্রিয় লেখক ও আদর্শ হুমায়ূন আজাদ। হুমায়ূন আজাদের সব বই তার সংগ্রহে। একটা বাঁশে রেকে আমাদের দুইজনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। সেটা এখন বইয়ে ভরা। যখন যে বইটা পড়তে ইচ্ছা করে তখন রেকের তালা খুলে সেই বই পড়তে শুরু করি। মনটা খারাপ থাকলে একটা বই হাতে নিয়ে পড়ি অথবা বইটার পাতাগুলো উল্টাতে থাকি। মনটা ভাল হয়ে যায়। খুব ফুরফুর লাগে!
বন্ধুরা আমি তো আমার ব্যক্তিগত লাইব্রেরির কথা বললাম,আপনার ব্যক্তিগত লাইব্রেরি আছে তো? না থাকলে কোন অসুবিধা নেই। আপনিও গড়ে তুলুন। যাদের বাসায় অন্তত বিশটির বেশি বই আছে। আমরা ধরেই নিচ্ছি আপনারও ব্যক্তিগত লাইব্রেরি আছে। ব্যক্তি বিকাশের জন্য লাইব্রেরির বিকল্প নেই। ব্যক্তিগত লাইব্রেরি যত শক্তিশালি হবে ততই মনের জোর বাড়বে, সাহস বাড়তে, বেশি বেশি করে স্বপ্ন দেখতে পারব। মানুষের কল্যাণে কাজ করার অনুপ্রেরণা জাগবে। তবেই সত্যিকার অর্থে আমরা আমাদের এই দেশটাকে আলোকিত দেশ গড়ে তুলতে পারব।
আমরা আশা করছি প্রত্যেকটা বন্ধু তাদের বাসায় বা সেখানে থাকে সেখান একটা করে ব্যক্তিগত লাইব্রেরি গড়ে তুলবে। ব্যক্তিগত লাইব্রেরি গড়ে তোলার আন্দোলনে বন্ধুরা হাতটা বাড়িয়ে দিলেই আমরা আমাদের স্বপ্নের জায়গায় পৌছাতে পারবো। আলোকিত মানুষ হব, আলোকিত স্বপ্নের স্রষ্ঠা হব। তবেই একদিন বিশ্বের কাছে আমরা আলোকিত তারার মতো জ্বল জ্বল করে জ্বলে উঠব।
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
মুক্ত আসর
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১১
মানবীরকস বলেছেন: আমিও লাইব্রেরী তৈরী করেছি। এবং সেখানে বই সংগ্রহ চালয়ে যাচ্ছি।