নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নঘুড়ি

বাংলাদেশকে একটি সৃজনশীল জাতি হিসাবে দেখতে চাই।

আবু সাঈদ সুরুজ

আলোকবর্তিকার সম্পাদক ধানসিড়ি সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ এর সভাপতি

আবু সাঈদ সুরুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দুইটা দিন গেল দুই ভাবে

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

গতকাল ও আজকের এই দুইটা দিন কাটল বেশ অন্য রকম। গতকাল ছিল একটা ঐতিহাসিক দিন। আর আজকের দিনটা কাটল— বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম—এর স্মরণসভায় অংশ নেওয়া।



২৩ মার্চ :

‘একাত্তরের বীরযোদ্ধা’ বইয়ের উন্মোচন অনুষ্ঠান। বীরযোদ্ধাদের মিলন মেলা। ঐতিহাসিক এই বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান। হয়তো বা এই অনুষ্ঠানে যে সব বীরযোদ্ধা উপস্থিত হতে পেরেছেন পরবর্তীতে কোন অনুষ্ঠানে আমরা আর কখনো খুঁজে পাব না। অনেক খেতাবপ্রাপ্ত বীরযোদ্ধার সঙ্গে দেখা। যাঁদের অনেকের সাক্ষাত্কার নেওয়া সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। খুব ভালো লাগল তাঁরা আমাকে ভুলেনি। খুব খুব করে মনে রেখেছে। একজন বীর উত্তম কিংবা একজন বীর বিক্রম কিংবা একজন বীর প্রতীক যখন—নিজের নামটা ধরে ডাকেন। আর সেই ডাকটা যদি হয় বাবা কিংবা মায়ের মতো তাহলে এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হয়তে পারে না। অনেকই জিজ্ঞাসা করলেন—পড়াশোনার কি শেষ? এখন কী করছ? সংগঠনের কি খবর? আর কেউ কেউ বললেন—বাসা আসে না কেন!, কেন যোগাযোগ করো না ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই বীরদের হাতের স্পর্শে বুকের ১৬টা পাঞ্জাই জেগে উঠে। আর খুব কষ্ট হয় তাঁদের জন্য কিছুই করতে না পারা। অথচ তাঁরা আমাদের কত কি না দিয়েছেন?

রাতে শুধু হতাশা লাগে। ভাবি কিছুই তো হচ্ছে না। আরো কাজ করা দরকার, অনেক কাজ পড়ে আছে। কাজ করতে হবে। কারো সমালোচনা না শুনে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। অন্তত তাদের জন্য সামান্যতম কিছু করতে পারলে হয়তো বা তাদের হাতে ছোঁয়াটা সার্থক হবে।

...................................

‘একাত্তরের বীরযোদ্ধা’ বইয়ের পিছনে মুক্ত আসরের অনেক মুক্ত বন্ধু সহযোগিতা করছে। লেখা ও ছবি দিয়ে।

বিশেষ করে—প্রথম খণ্ডে: আবু সাঈদ, মহিউদ্দিন শেখ, কৌশিক চাকমা, দিযাব মাহমুদ, তাসনুভা জাহান, স্বর্ণময় সরকার, নাশিদ মুস্তারি, আবদুল কাদির, ওমর ফারুক, সিরাজ উদ্দিন,কাজী নাসরিন সিদ্দিকাসহ অনেকই

দ্বিতীয় খণ্ডে: আবু সাঈদ ও আ ফ ম মাউদস,স্বর্ণময় সরকার ও ওমর ফারুক।

এদের সবারকে আমার আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কতৃজ্ঞতা।



২৪ মার্চ:

জামাল নজরুল ইসলাম যে আমাদের দেশে এত বড়মাপের বিজ্ঞানী এটা এখানে এসে জানতে পারলাম। তিনি জীবনে কি না করেছেন। সারাবিশ্বের বিখ্যাত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছে। বিখ্যাত বিখ্যাত মানুষ তাঁর বন্ধু।

সবচেয়ে বড় কথা হলো—একজন বড় মানুষ যে কত পরিশ্রমী, কত বিনয় হয় এখানে এসে তা অনুধাবন করলাম। আসলেই তাঁরা কাজ করে গেছেন নিজ স্বার্থের জন্য নয়, করেছে শুধুই মানুষের জন্য। তিনি যদি বিদেশেই থেকে যেতেন তাহলে হয়তো বা নোবেল পেতেন। কিন্তু তিনি এই নোবেলকে বড় না ভেবে, ভেবেছেন এই বাংলাদেশের মানুষকে। অনেক যন্ত্রণা হয়তো পোহাতে হয়েছে তবুও বাংলা ও বাংলাদেশকে ভালোবাসেন।

তিনি যেমন ক্যালকুলেটার ছাড়া অংক কষেছেন,তেমনি পদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতিবিজ্ঞান, গান, চিত্রকর্মও সমান ভাবে চালিয়ে গেছেন..

হে জ্ঞানী তোমার মৃত্যু নেই, তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.