![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোকবর্তিকার সম্পাদক ধানসিড়ি সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ এর সভাপতি
আজ বড়েই ভালো লাগল। যে ছোট ছেলেটা একদিন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নানা রকমের ভাবনা ভেবেছি, সেই ছেলেটার মতো আজ অনেকেই ভাবে। অনেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বা কাজ করছে। মনে হচ্ছে অনেক বড় হয়ে গেছি। সপ্তম শ্রেণীর কথা। ১৯৯৭ সাল। আমার নানা। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর সঙ্গে হাটে-বাজারে ঘুরতে গেলে দেখা হতো অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে যেমন অনেক উত্সাহিত হতাম তেমনি অনেক খারাপ লাগত। গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা তখন যে কষ্ট কাটাতো! তা ভাবাই মুশকিল। এই চরম অভাবের কথা শুনলে কষ্টে বুকটা হাহাকার করে উঠতো। ভাবতাম তাঁদের জন্য আমি বা আমরা কিছুই করতে পারব না!
এই ভাবনাটা আমাকে বারংবার পীড়া দিত। ২০১০ সালে ভাবি—তাঁদের অভাব অনটনের পাশে দাঁড়াতে আমার কোন সমর্থ নেই। অথচ তাঁদের সংগ্রামে কথাগুলো তো লিপিবদ্ধ করতে পারি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক বই পড়া শুরু করি। দেখি—তেমন কোন বই পেলাম না, সেখানে সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে লিখিত। শুরু হলো ভিন্ন চিন্তা। একাই এত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজন সমষ্টি শক্তি। এই সমষ্টির ডাকে সাড়া দিলেন নাসরিন আপা, মহিউদ্দিন শেখ মধু, কৌশিক চাকমা, স্বর্ণময়ী সরকার, তাসনুভা জাহান, অনির্বাণ।( সত্যিই তাঁদের ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না।) আমার ডাকে যে তাঁরা সাড়া দেবে যেটা বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। কাজ শুরু হলো। পরবর্তীতে সিরাজ উদ্দিন বাবলা, হাবিব, নাশিদ, দিয়াব, জান্নাতসহ অনেক যোগ দেয়। কিঙ্কর আহসানের কথাও ভুলবার না। সেই আমাদের ‘মুক্ত আসর’কে একটা সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার নানা চিন্তা দেয়। (তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ)। এই হলো আমাদের ‘মুক্ত আসর’। মানে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সাংগঠনিক ভাবে কাজ শুরু। (এর আগে অনেক কাহিনি আছে যা লেখতে গেলে কমে পক্ষে ৫০০ পৃষ্ঠার একটা বই হবে।)
যাক, সেই সব কথা। আজ ভিন্ন একটা দলের সঙ্গে কথা ও পরিচয় হলো। তাঁরা আমাদের মতো চিন্তা করে কাজ করছে এই জন্য তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। এখন আরো অনেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করতে আসবে বা করবে। তবে, আমরা প্রিয় ভাই ও বোন আপনরা গভীরভাবে খেয়াল রাখবেন যেন মুক্তিযুদ্ধটা বোরিং, কিংবা ফ্যাশান হিসেবে না হয়। এটা আপনাদের কাছে অনুরোধ করব। ব্যবসায় হিসেবে অনেক প্রতিষ্ঠান আসবে, আমরা যেন সেটাকে ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে না তুলি। তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের চেয়ে অসম্মানেই হবে। সেটা আমাদের জন্য চরম ক্ষতিকর হবে। আমাদের ‘ভালোবাসা হোক নিঃস্বার্থে।’
©somewhere in net ltd.