নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরমা মার্কেটের সামনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম। সকাল বেলা তেমন একটা জঠলা ছিল না। হাতে গোনা কয়েকটা রিক্সা আর প্রাইভেট গাড়ির ছোট্র জ্যাম, পেছনে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি আটকে আছে । হুইসেল বাজছে, গাড়িতে থাকা ফায়ারসার্ভিস কর্মিরা দুই হাত জোর করে সামনে থাকা গাড়ি গুলোকে মিনতি করছে, সামান্য একটু পথ করে দিতে। সেদিকে কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত। পেছনে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকালো না আর কিছু আটকালো তাতে কি? নিজের প্রয়োজনটাই বড়। কার কি ক্ষতি হল আগুনে পোড়ল না পানিতে পড়ে মরল সেদিকে তাকানোর সময় কোথায়? আমরা যে এখন অন্য এক গতিশীল জগতের বাসিন্দা!
আমার এক চাচী সার্জারী রুগী। বেশ কয়েক বছর আগে এ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম। হাইওয়ে ধরে যাচ্ছিলাম। রুগীর অবস্থা দেখে ড্রাইভার খোব দ্রুত ড্রাইভ করছিলো।
রুগিকে নিয়ে চিন্তিত থাকায় অন্য কোনো দিকে খুব কমই খেয়াল যাচ্ছে।
এ্যাম্বোল্যান্সের কড়া হুইশেল, পাশা পাশি হর্ন বাজাতে দেখে সামনের দিকে তাকাই। একটা প্রাইভেট কার আর দুই তিনটা মোটর সাইকেল প্রচন্ড রেইসিংএ আছে। বুজলাম প্রতিযোগিটা আসলে আমাদের এ্যাম্বোল্যান্সের সাথে। ফাকা মহাসরক তার পরেও পাস দিতে নারাজ। হয়তো এ্যাম্বোলেন্সের সাথে গতির প্রতিযোগিতায় বিজয়ি হওয়াটা তাদের কাছে অনেক গর্বের কিছু। কার প্রান গেলো কে কি হারালো ওসব চিন্তা করলে চলবে?
শোন হে ব্যস্ত নগরের খেয়ালি গতিশীল নাগরিক গন, সময় আছে মানুষ হও। কোনো একদিন নিজের অফিস কিংবা বাসা বাড়িতে আগুন লেগে যেতে পারে । ফায়ার সার্ভিসে ফোন করবে ঠিক তারা আসতে পারবে না। তোমার মতো অন্যকেউ আটকে দাড়াবে তাদের পথ। কপাল চাপড়াবে কপাল।
আর তারুন্যের উন্মাদনায় অন্দ, মা বাবার বকে যাওয়া ছেলেটি! তোমাকেই বলছি!
তারুন্যকে বুঝতে শেখ ! অন্যের বিপদকে নিজের ভাবতে শেখ। অন্যর কষ্টের মুহুর্থ গুলোতে মজা করতে যেও না। সব খানে গতি দেখাতে হয় না। দেখবে কোনো একদিন এই গতীটা কাল হয়ে জিবনের চরম ক্ষতিটাই করে দেবে। ফলাফল চিৎপটাং, অতপর কোনো এক লোকাল পত্রিকার ভেতরের পাতার শিরোনাম ' সরক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু ' .…
©somewhere in net ltd.