নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সামনে কোনো একটা কাজে দাড়িয়ে ছিলাম। পাস কাটিয়ে একটা বোন বাইসাইকেলের হর্ণ বাজিয়ে ডুকে গেলো ক্যম্পাসে।
কয়দিন আগে জিন্দা বাজার পয়েন্টে দেখেছিলাম অর্ধ বয়সি আরেক বোনকে ওয়াল্টন নিয়ে জ্যমে আটকে থাকতে। সাগর দিঘি এলাকায় একজন মহিলা ডাক্তার থাকেন, যিনি নিজের টয়োটা নিজেই ড্রাইভ করেন।
উপশহর, বালুচরেও ইদানিং অহরহ নারীকে ড্রাইভ করতে দেখা যায়।
তবে আমি যাদেরকে দেখেছি অধিকাংসের মুখ দেখতে পাই নি। হিজাবের ধিক থেকে পরি পুর্ণতা মুগ্ধ করেছে।
আমার বিশ্ব বিদ্যালয় জিবনে এমন কয়েকজন শিক্ষিকা পেয়েছি, যাদের হিজাব আর পর্দার চর্চা দেখে মুগ্ধ হয়েছি বারবার। দেখেছি ছাত্ররা তাদেরকে কতটা সম্মানের দৃষ্টিতে দেখত। শিক্ষকত বটে, এমন ধারার শিক্ষিকাদের কাছ থেকে জ্ঞান নিতে পেরে, তাদের ছাত্র হতে পেরে গর্ব হয়।
পরিক্ষার সুবাদে বিভিন্ন ক্যম্পাসেও গিয়েছি। শিক্ষিকার অর্ধ নগ্ন অবয়ব নিয়ে পরিক্ষার্থীদের ঠাট্রা মশকরার দৃশ্য দেখেছি আর নিরনে হেসেছি।
বোনকে নিয়ে একবার কসমেটিক্স কিনতে মিতালি ম্যনশনে গিয়েছিলাম।
যার দোকানে কেনা কাটা করেছিলাম তিনিও একজন মহিলা। কোনো প্রকার চাকচিক্য নয় সম্পুর্ন হিজাব পরিহিতা একজন মহিলাকে এভাবে দোকান চালাতে দেখে ভালোই লেগেছিল। মহিলাদের কেনাকাটা মহিলারা করলে ভালো। আর ক্রেতা বিক্রেতা দুইজনি যদি হয় মহিলা তাহলেত আরো ভালো।
যে সব মেয়ে শুধু মাত্র আধুনিকতার ধুয়া তুলে অবাদে দেহ পদর্শন করে বেড়ায়।এসব পর্দাশিল বোনদের দেখলে ইচ্ছে করে বেহায়া অর্ধ নগ্ন মেয়েদের কান ধরে দেখিয়ে দেই, কোনটা আধুনিকতা, আর কোনটা ব্যস্যাপনা।
আমরাও তাই, কথায় কথায় পর্দার ধুহাই দেই।শুধু নারীর বেলায় পর্দা। পর্দার জন্য এই কর, সেই কর কত কী বাহানা। বাইরের জগতের সংষ্পর্ষে গেলেই মেয়েরা নষ্ট হয়ে যাবে। এই যুক্তিতে তাদের বন্ধি করেছি ঘরে। আবার আকাশ সংস্কৃতির বদৌলতে পোরা বিশ্ব জগতটাকেই ডুকিয়ে দিয়েছি ঘরে। এখন আর বেলাল্লাপনা শেখতে গৃহের বাইরে যেতে হয় না, সিরিয়াল চ্যনেল গুলোর সুবাদে ঘরে বসেই সব শেখা যায়।
জগতটা পাল্টে গেছে। পৃথিবী ছোট হয়ে এসেছে। কি ঘর কি বাহির, নৈতিক দিক থেকে কোনো জায়গাটিও নিরাপদ নয়।
আজ আমরা স্মুথ এক পৃথিবীর বাসিন্দা। আমাদের চিন্তা ধারাও হওয়া দরকার স্মুথ আরো ইউনিক। ধর্মের জন্য গৃহে বন্দি করে নয়, ধর্মের সঠিক শিক্ষা, আর নৈতিক মানদন্ডের সঠিক মাত্রার সঠিক অবগতিই পারে আমাদের সামাজিক অবক্ষয় থেকে বাচাতে।
বুঝতে হবে ইসলাম পর্দার মাধ্যমে কাওকে বন্দি করেনি, জাপিত জীবনের কিছু কিছু অংসে নিয়ন্ত্রন রেখেছে মাত্র। সেই নিয়ন্ত্রিত এলাকা গুলো আগে জানতে হবে। বুঝতে হবে কোনটা পর্দার লঙ্গন আর কোনটা অধিকারের।
কাঠকে যেমন ফার্ণিচারে লাগানোর আগে রান্ধা করে, শিরিশ ঘষে , পলিশ করে তবেই আসবাবে লাগাতে হয়। তা না করে ফার্নিচারে লাগালে বড়ই বেমানান লাগে। সে যে জাতের কাঠ হোকনা কেনো সেগুন, শাল কী গর্জন খাপ খায়না কিছুতেই।
ঠিক অনুরুপ ছেলে হোক কিংবা মেয়ে। ঘষে মেজে আগে মানুষ করতে হয়।তবেই না সমাজ ধর্মের সাথে খাপ খাবে। অন্যথা ঘরে বন্দি কেনো, হাজার ফোট মাটির নিচে রাখলেও সমাজ ধর্মের সাথে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হবেন। বেহায়া হবে, অর্ধ নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াবে পথে ঘাটে।
©somewhere in net ltd.