নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়েতের ডাবল স্ট্যার্ন্ডাড চরিত্র

১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:২০

প্রথমত নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই শুরু করি। কিছুদিন আগে শুধু একজন জামায়েতের পদধারীকে শুধু জিজ্ঞেস করলাম। মুক্তিযুদ্ধের বিষয় তার ব্যক্তিগত মতামত। তার ভাষ্যমতে মুক্তিযুদ্ধ একটি চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ। শেখ মুজিব নিজেই স্বাধীনতা চায়নি। অতএব ঐসময়ের প্রেক্ষাপটে জামায়াতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
জামায়েত পাকিস্তানপন্থি কিনা?
জামায়েত বলে থাকে তারা পাকিস্তানপন্থি না। কিন্তু শিবির ও জামায়েত থেকে সরবরাহকৃত অধিকাংশ বই হচ্ছে মওদুদী ও পাকিস্তানের জামায়েতের সাথে সম্পর্কৃত মাওলানাদের বই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত একটা দলের মতাদর্শ পাকিস্তানি একজনের। এটা কতটুক যুক্তিসংগত? কারণ বাংলাদেশের আর কোন রাজনৈতিক দলেন দর্শন এমনটা নয়।

বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামি যদি পাকিস্থানপন্থি নাই হয় তবে কেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটা দলের নামেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে? ঐ নামের আদর্শকেই কেন এদেশের তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে, তার সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি।

বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামি যদি সত্যিই বাংলাদেশপন্থি হয় তবে সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীন বিরোধীকারী মাওলানা নিজামির জীবন, দর্শন, বই কেন এখনও জামায়েতের বিভিন্ন প্রোগ্রাম, কর্মশালায় আলোচনা করা হয়? তার কি কোন ব্যাখ্যা জামায়েত ইসলামির কাছে আছে? প্রশ্ন হচ্ছে সত্যি নিজামি যদি অপরাধী না হয়, তবে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে কেন সে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল? এবং সৌদি আরব ও ইসলামি দেশ সমূহে কেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার তৎপরতায় যুক্ত ছিল? তার ব্যাখ্যা তাদের কাছে নেই।
জামায়েতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধিকাংশ পদেই(প্রায়৯০%) তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসী লোকদেরকেই নিয়োগ দিয়ে থাকে কেন? এটা কি নিজেদেরকে অন্যান্য সংস্কৃতি বিশ্বাসী, মতার্দশধারী ও সাধারণ মানুষদের থেকে জামায়েত কে বিচ্ছিন্ন একটা দ্বীপে পরিনত করেনা? জামায়েতের উদার রাজনৈতিক দর্শনকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেনা?
শিবির সবসময় বলে থাকে তারা স্বাধীন ও স্বতন্ত্র। তারা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করে না৷ অর্থাৎ শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত কেউ জামায়েত কে সাপোর্ট বা মতাদর্শকে বিশ্বাস করতে বাধ্য নয়। অথচ আমরা দেখতে পাই শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্ররাই পরবর্তীতে জামায়েতের বিভিন্ন পদ পদবিতে স্থলাভিষিক্ত হয়। কারণ জামায়েতে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে পদ পদবি প্রাপ্ত হবার কোন সুযোগ নেই। তাকে শিবিরের রিকুয়েট করা পদ্ধতিতেই আসতে হয়। । এই দ্বিমুখীতার কারণ কি?

এমন সুসংগঠিত একদল কেন এখনও এসব সংকীর্ণতা থেকে বের হতে পারছে না?

বিঃদ্রঃ উপরোক্ত বক্তব্য/ মতামত একান্ত নিজস্ব। আপনার কাছে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকলে মতামত দিতে পারেন। কিন্তু ইনিয়ে বিনিয়ে বা তুলনামূলক, শেখ হাসিনা পা ছুঁয়ে সালাম করেছে, বিএনপি জোট করেছে, মিথ্যা মামলা, প্রমাণ হয়নি, এসব ব্যাখ্যা দেয়ার থেকে বিরত থাকুন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:৩৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামায়াত ভালো দল কিন্তু মানুষ তাদের ভুল বোঝে। :D

২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:৩৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ ও প্রশ্ন ভাল লেগেছে। তবে কিছু ব্যাপারে সঠিক বিশ্লেষণ হয়নি। কিছু দ্বিমত থাকা স্বাভাবিক!
শিবির অবশ্যই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র কিন্তু জামাতের chain রয়েছে। অনেকটা recommend এর মত। আমি সেভাবেই বুঝে নিলাম। তাদের প্রতিষ্ঠানে তাদের লোকই নেবার কথা নয় কি? এখন অন্য সংস্কৃতি বা বিশ্বাসের মানুষ না যোগ করাই তো ব্যর্থতা! সে জন্য তাদের দলের নাম, ধাঁচ পরিবর্তন করতে হবে। যা তারা করলে ভোটটা আমি কেন, অনেকেই দিবে। তারা একমুখী, যদিও সমাবেশে তারা বহুমুখীর কথা বলে। তবে বাস্তবে একমুখীই। তাদের নামে চাঁদাবাজি, ধর্ষণ বা অনৈতিক কাজ অন্যান্য গোষ্ঠীর তুলনায় অল্প শোনা যায়।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: জামাত মন্দ দল। এরা জাতির জন্য ক্ষতিকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.