![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলার বলার শেষে আবার ডাকে ধুলোবালিকবে নাগাদ শেষ হবে এ পথের পাঁচালি
চাকরীর জন্য পড়াশুনা করা বড্ড কঠিন। পড়তে বসলেই একরাশ হতাশা এসে ভর করে। ভূত এসে ভর করলেও এতটা ভয় পেতাম না যতটা ভয় পাই চাকরীর পরীক্ষা দিতে গিয়ে যখন দেখি একটা শূন্যপদের জন্য ২১২ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। এত পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে কিভাবে যোগ্য লোক খুজে বার করা হবে ভাবতেই অবাক লাগে। তবে মোটেই অবাক লাগে না যখন শুনি আমারই এক বন্ধু আমার বহু আকাঙ্ক্ষিত চাকরিটি ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে করায়ত্ত করেছে। মাঝে মাঝে সত্যি মনে হয় "হবে না এভাবে? কি হবে গাদাগাদা তথ্য মুখস্ত করে!' কিন্তু কিছু ইতিবাচক তথ্যও পাই। একদমই ঘুষ ছাড়া চাকরির বহু উদাহরণ পেয়েছি। তাই আশায় বুক বাঁধি। আবার পড়ার টেবিলে ফিরে আসি। বিশাল তথ্য ভাণ্ডার মুখস্ত করা চাট্টিখানি কথা নয়। তাই মাঝে মাঝে মজা করে পড়ি। বাজারেও অনেক বইয়ে অনেক সহজ কৌশল বলে দেয়া হয়- ওগুলো পড়ি আবার নিজেও বানাই।
কদিন আগে রবীন্দ্রনাথের বইয়ের নাম মুখস্ত করার জন্য আমি আর আমার ছোটবোন কিছু মজার কৌশল খুজছিলাম। এই দাড়িওয়ালা লোকটা আমাদের সর্বনাশ করে দেবে। চাকরির পরীক্ষায় ইঁনার রচনা সম্পর্কে ধারনা না থাকিলে আর বাঁচিবার উপায় নাই।
পড়তে গিয়ে লক্ষ্য করলাম রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কিছু উপন্যাসের নাম আমরা প্রায়ই শুনি। যেমন: চোখের বালি, যোগাযোগ, শেষের কবিতা ইত্যাদি। এগুলো পরীক্ষাতেও আসে। পড়াশুনা না করে চলচ্চিত্র দেখলেও আশা করি অনেকে এই উপন্যাসগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে অনুরোধ রইলো - "শুধু নায়ক নাইকার ঘটনা দেইখ্খেন না, কুন লুকটার গল্প অবলম্বনে ছবিডা বানাইছে একটু দেইকখেন'।
রবীন্দ্রনাথের কবিতার বইয়ের নামও বেশ পরিচিতই বলা যায়। যেমন: গীতাঞ্জলী, মানসী, সোনার তরী ইত্যাদি। কিন্তু প্রবন্ধগ্রন্থগুলো আমরা এযুগে কেউ পড়িনা আর এগুলো কেউ সিনেমা করে কিংবা জি বাংলার মেগাসিরিয়াল করেও দেখায় না-আদতে তা সম্ভবও নয়। তাই প্রবন্ধগ্রন্থগুলোর নাম মনে রাখাও একটু কঠিন। তো সেদিন আমি আর আমার বোন এগুলো মনে রাখার জন্য কিছু মজার লাইন বানিয়েছি। এইটুকু কথা বলার জন্য এত কথা বললাম - পাঠকের বিরক্ত হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই আর কথা বাড়াবো না।
নিচের লাইনটি পড়ুন:
পঞ্চভূত রম্য করে রবীন্দ্রনাথকে বলল : তোর অন্তর কালা। শুনে রবীন্দ্রনাথ সভ্যতার সংকটে পড়ে গেলেন এবং ভয়ে মানুষের ধর্ম পালন করা শুরু করলেন।
এই লাইনটি থেকেই রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধগ্রন্থগুলোর নাম মনে রাখা যাবে। আসুন মিলিয়ে নিই।
রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ
১। পঞ্চভূত (এটি তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ এবং এই প্রবন্ধগুলো রম্য ধরনের ছিল)
২। কালান্তর
৩। সভ্যতার সংকট
৪। মানুষের ধর্ম
আমার ভাগ্য ভালো রবীন্দ্রনাথ বেঁচে নেই। থাকলে আমাকে লাঠিপেটা করতেন নিশ্চিত।
এরকম আরো অনেকভাবেই তথ্য মনে রাখতে হয়। এটাতো খুবই সহজ একটি তথ্যের উদাহরণ। পাঠকের পছন্দ হলে অন্যগুলোও দেব আশা করি। আপনারও দেবেন আশা করি।
আরেকটা কথা। আমি ব্লগ খুলেছিলাম অনেক আগে। তখন নিয়মিত ইন্টারনেট চালাতাম না এখন টেলিটকের সিম দিয়ে চালাচ্ছি। কিন্তু ব্লগ সম্পর্কে ভালো জানি না। আমার আগ্রহ অনুসারে ব্লগ থেকে কিভাবে সাহায্য পেতে পারি কারও জানা থাকলে যদি জানান তবে কৃতজ্ঞ থাকব।
১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫০
সহজপাঁচালি বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
আরজু পনি বলেছেন:
শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।
আপনার আগ্রহ কোন বিষয়ের প্রতি তাতো বলেননি..তবে হয়তো চেষ্টা করে দেখতাম ।
অনেক শুভকামনা রইল।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪২
সহজপাঁচালি বলেছেন: আপনার মার্চ মাসের মন্তব্যের উত্তর লিখতে বসলাম এই এপ্রিলের শেষে।
যাহোক তবু তো বসলাম।
আমার আগ্রহের কথা জানতে চেয়েছেন.... সাহিত্য আর ইতিহাসে আমার প্রবল আগ্রহ। এছাড়া জ্যোতির্বিজ্ঞান আর ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে পড়তে আমার ভালো লাগে। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে উদ্ভট কথা শুনতে আমার ভালো লাগে না, অবশ্য তারাগুলোর নাম আর এই নামের পেছনে ইতিহাস ঘাটতে গেলে দেখা যায় প্রায় সবটাই উদ্ভট কথায় ভর্তি।
ইলেক্ট্রনিক্সের প্রজেক্টগুলো নিজের হাতে করে দেখতে খুব ইচ্ছে করে।
আপনার জন্যে শুভকামনা।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম| ভালো
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
সহজপাঁচালি বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪২
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ