![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
দেশে নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে রেলকে প্রাধান্য নৌপথ ও সড়ক পথের সঙ্গে সমন্বয় করে সমন্বিত যোগাযোগ নীতিমালা প্রণয়ন, রেলপথের সঙ্গ্রে দেশের সব বন্দর ও শিল্প কারখানাগুলোর সংযোগ সৃষ্টি, রেলওয়ের প্রশিক্ষণ একাডেমীকে শক্তিশালী করা- জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি-রেলওয়ের সম্পদ এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত- রেলের গবেষণা সেল তৈরি ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণাকাজে যুক্ত করাসহ রেল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন ও গতিশীল সম্পর্ক তৈরি করা এবং রেল উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে জনসাধারণ ও তাদের প্রতিনিধি হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি সংগঠন, পরিবেশবাদী সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শক বোর্ড গঠন প্রয়োজন।
রেল জনগণের সম্পদ। তাই রেলের সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের নিরাপদ, সাশ্রয়ী যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী রেলপথ মন্ত্রণালয় করেছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য হবে, জনগণের জন্য সেবা দেয়া। সেবার মনোভাব নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেল অধিদপ্তর কাজ করে যাবে।
পরিবেশের উপর রেলের ইতিবাচক অবদান, দেশের উন্নয়নে এর অবদান হিসাব করে রেল উন্নয়নে আরও মনোযোগী হতে হবে। ঢাকার সঙ্গে পাশ্ববর্তী জেলাগুলোর যোগাযোগ রেল পথের মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব হবে। পাশ্ববর্তী জেলাগুলোর মানুষ উপকৃত হবে। পরিকল্পনা কমিশনের সচিব ভূইয়া শফিকুল ইসলাম বলেন, রেল উন্নয়নে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বরাদ্দ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে। রেল উন্নয়নে পরিকল্পনা কমিশন ইতিবাচক।
রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আমরা নতুন বগি, ইঞ্জিন আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ঢাকা থেকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত রেলের ৩য় ও ৪র্থ লাইন আগামী জুন-জুলাই নাগাদ শুরু হবে।
রেলের উন্নয়নে একটি গবেষণা সেল গঠন করা জরুরী। রেলে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে সমস্যা চিহ্নিতকরণ চাহিদা নিরূপণ করাই যার প্রধান কাজ হবে। নগর জীবনে পরিবহন সঙ্কট দূর করতে রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য ঢাকা-গাজীপুর পরিকল্পনাধীন ৩য় ও ৪র্থ লেন দ্রুত স্থাপন জরুরি। প্রয়োজন অনুযায়ী রোলিং স্টক বৃদ্ধি করা-যেমন, লোকোমটিভ, যাত্রীবাহী কোচ ও মালবাহী ওয়াগন বৃদ্ধিসহ কর্ডলাইন-ডাবল লাইন ও ডুয়েল গেজ এ মালামাল লোডিং-আনলোডিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা, আশ-পাশের শহর ও গ্রাম থেকে প্রতিদিন ঢাকায় আসার জন্য আরো কমিউটার ট্রেন চালু করা, টিকিট পেতে হয়রানি বন্ধ করা, রেলে মালামাল পরিবহনে ব্যবসায়ীদের উৎসাহী করতে প্রমোশনাল কার্যক্রম গ্রহণ করা, সবজি বা সহজে পচনশীল পন্য সংরক্ষন বা প্রাণী পরিবহনের জন্য মালবাহী ট্রেনের অবকাঠামো উন্নয়ন করা জরুরি।
©somewhere in net ltd.