![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
রেল মন্ত্রণালয় গঠনসহ দীর্ঘ সময় পর রেলের উন্নয়নে পৃথক বাজেট তৈরি, বরাদ্দ বৃদ্ধি, লাইন নির্মাণ-সংস্কার, বগি-কোচ সংগ্রহের মত অনেকগুলি প্রকল্প চলমান রয়েছে। রেলের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য উক্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি। অর্থাৎ রেল লাইন নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে নতুন রেলগাড়ি চালানোর জন্য সঠিক সময়ে বগি-কোচ সংগ্রহ করতে হবে। সেগুলো চালু রাখার জন্য দক্ষ লোকবলও বাড়াতে হবে। রেলের কারখানাগুলিও সচল রাখার জন্য সঠিকভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ি কাজ করতে হবে।
রেলের উন্নয়নে গৃহিত কর্মপন্থা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সেক্ষেত্রে প্রশাসন ও কর্মচারী-শ্রমিকদের নিয়মিত বৈঠক ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন ।
রেল লাইন নির্মাণ-সংস্কার, বগি-কোচ সংগ্রহ ও লোকবল বৃদ্ধির মতো কাজগুলি একই সঙ্গে হতে হবে। একসঙ্গে এই কাজগুলি না হলে একটির অভাবে অরেকটি খাতের বিনিয়োগ কাজে আসবে না। সেইসঙ্গে কারখানাগুলিও আরো কার্যকর করা প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় লোকবল, আধুনিক মেশিনারীজ ও কাঁচামাল সরবরাহ করতে হবে।
রেলের উন্নয়নে শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলি বিবেচনায় নিতে হবে। এজন্য তাদের কাজের সময় ও মজুরী-ভাতার বিষয়গুলি সঠিকভাবে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এছাড়া লোকবলের অভাবে রেলের কাক্সিক্ষত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। লোকবলের অভাবে রেল লাইন মেরামত, রোলিং স্টক মেরামত ও পরিষ্কার করা, রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়া, সময়মতো রেল চালাতে না পারা সবকিছুই জোড়াতালি দিয়ে চলছে।
দেশে নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে রেলকে প্রাধান্য নৌপথ ও সড়ক পথের সঙ্গে সমন্বয় করে সমন্বিত যোগাযোগ নীতিমালা প্রণয়ন, রেলপথের সঙ্গে দেশের সব বন্দর ও শিল্প কারখানাগুলোর সংযোগ সৃষ্টি, রেলওয়ের প্রশিক্ষণ একাডেমীকে শক্তিশালী করা- জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি-রেলওয়ের সম্পদ এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত- রেলের গবেষণা সেল গঠন করা প্রয়োজন।
©somewhere in net ltd.