নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোরে সিএসআর করতে কইছে কে? খবরদার আমার সম্পদে হাত দিবি না।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২১

কর্পোরেট স্যোসাল রেসপন্সেবলিটির নামে কোম্পানীগুলো দানবীয় কার্যক্রমকে মহতি কার্যক্রমের মোড়কে মোড়ানোর চেষ্টায় নেমেছে। কোম্পানীগুলো ইচ্ছায় কিংবা অতি মুনাফা লাভের জন্য প্রাণ, প্রকৃতি ধ্বংস বা বিনিষ্ট করছে। তারপর তাদের বিশাল মুনাফার খানিক অংশ বিজ্ঞাপনের জন্য সমাজসেবার জন্য ব্যয় করে নাম দিয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা। এই দায়বদ্ধতা পালনের মাধ্যমে তারা নিজেদের কে উপস্থাপন করছে ত্রাণকর্তা হিসেবে। তারা তাদের বাণিজ্যের দানবীয় রূপকে আড়াল করছে সিএসআর দিয়ে।



কোম্পানীগুলো তাদের অপকর্ম লুকানোর প্রক্রিয়া সিএসআর অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর অস্তিত সংকটের ভয়াল বার্তা। যারা এই বিষয়টি অনুধাব করছেন কিংবা লড়াই করছেন তাদের আমজনতাকে আন্দোলনে যুক্ত করার স্বার্থে আরো সহজ যুক্তিতে এই ভয়াবহ বাণিজ্য দৈত্যদের সিএসআর নামক পরিচালিত ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের রূপরেখা উমোচন করা প্রয়োজন।



সিএস আর বিয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে দেশের কোম্পানীর পোষ্য বুদ্ধিজীবি যুক্তি র্তকে বুঝাতে চান সিএসআর হল জনগণের প্রতি কোম্পানীগুলোর দয়া। এই মতের সাথে একমত হওয়া শিক্ষিত লোকের সংখ্যা ও কম না। কারণ কোম্পানীর স্বার্থে পরিচালিত কিংবা শুধুমাত্র মুনাফাকেন্দ্রিক বেচাকেনার এই শিক্ষা ব্যবস্থার মোড়কে বন্দি থাকলে সিএসআর কে দয়া মনে করাই স্বাভাবিক।



আর দুনিয়াব্যাপী বড় বড় কোম্পানীর স্বার্থে প্রণীত আইন-কানুন, মোটামোটা পুস্তক আর সাহেবী আচরণের মাধ্যমে আমজনতার কাছে ক্রমেই বানিজ্য করার অধিকার আর বাণিজ্যের সংজ্ঞাকে জটিল ভাবে উপস্থাপন করে ফেলা হচ্ছে।



শোষণ আর অধিকার বঞ্চিত করা যে বাণিজ্যের মধ্যে পড়ে না তা আমরা প্রায়ই ভুলে যাচ্ছি। মানুষের স্বার্থে বাণিজ্য, বাণিজ্যের স্বার্থে মানুষ নয়। এই সহজ ও নৈতিক বিষয়টি আমরা গুলিয়ে ফেলছি। ফলে জনস্বার্থেও বাণিজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলেই বাধা আসছে। কিন্তু শুধুমাত্র কোম্পানী স্বার্থ বুঝা কেতাবি জ্ঞানীদের ও তাদের শক্তি সাথে লড়াই করার সময় বিশ্বাস রাখতে হবে।



"কোন বাণিজ্যই নৈতিকতা, মানবিকতা, পরিবেশ, প্রাণ,প্রকৃতির অধিকারের উধ্বে কিছু নয়" ।



সুতরাং জোর গলায় বলেন তোরে সিএসআর করতে কইছে কে? খবরদার আমার সম্পদে হাত দিবি না।

চলবে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

কান্টি টুটুল বলেছেন:

প্রশ্নকর্তা: আপনাদের কোনো সিএসআর প্রোগ্রাম আছে?
স্বাক্ষাৎকার দাতা: ঠিক বুঝলাম না, সিএসআর মানে কি?
প্রশ্নকর্তা: মানে কর্পোরেট সোশাল রেস্পন্সিবিলিটি...
স্বাক্ষাৎকার দাতা: সেটা জানি, কিন্তু কর্পোরেটের আবার সোশাল রেস্পন্সিবিলিটি কি জিনিস? কর্পোরেটের থাকবে কর্পোরেট রেস্পন্সিবিলিটি। এর মধ্যে হতে পারে নিয়মিত ট্যাক্স দেয়া, দেশের আইন মেনে চলা, কর্মীদের নিয়মিত বেতন দেয়া...ইত্যাদি। হ্যা, আমি সমাজের একজন মানুষ, বিত্তবান হিসাবে সমাজের প্রতি আমার দায় আছে, এইটা আমি ম‍ানি। সেই বিষয়ে কথ‍া বলতে চাইলে আমার বাসায় আসেন, দুইটা ডাল ভাত খাইতে খাইতে এই বিষয়ে আমি কথা বলব, এই আলাপ আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে না।

- ঠোঁটকাটা জবাব দেয়া লোকটির নাম ছিল শেখ মোহাম্মদ আকিজ

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ওরে

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

পত্রদূত বলেছেন: সিএসআর হচ্ছে একটি বাই প্রোডাক্ট যা দিয়ে অল্প খরচে বেশী মুনাফা করা যায় অল্প টাকায় বেশী প্রচার পাওয়া যায় আবার বত্রিশটা দাঁত বের করে হাসি দিয়ে নিজেক সমাজসেবী হিসেবে পরিচয় করানো যায়,আবার নির্বাচন করতে চাইলেও ও ফায়দা পাওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৪

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হ্যাঁ একমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.