নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ জগৎজ্যোতি

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

জগৎজ্যোতি বাংলাদেশের প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ। ১৯৭১ সালের ১৬ নভেম্বর শহীদ
হন মুক্তিযোদ্ধা জগতজ্যোতি। মুক্তিযুদ্ধে তার দেশপ্রেম, বীরত্ব, অসীম সাহসিকতা ইতিহাস পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

আর এই বীরের সাহস,দেশপ্রেমের কথা বিবেচনা করে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে সর্বোচ্চ খেতাব বীরশ্রেষ্ঠ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

যুদ্ধক্ষেত্রে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন হিসেবে প্রথম ব্যক্তি জগৎজ্যোতিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব ঘোষণা সে সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরে প্রতিশ্রুতি থেকে ফিরে আসেন বাংলাদেশ সরকার।

সামু’র ব্লগার #ভাস্কর_চৌধুরী থেকে প্রথম ২০০৮/০৯ সালে প্রথম শুনি জগৎজ্যোতির কথা।

মাত্র একুশ বছরের এক কলেজ ছাত্র হাওর এলাকা - সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জের প্রায় প্রতিটি থানা স্বাধীন করে ছিল তার নেতৃত্বে।

৩৬ জনের দল নিয়ে তার বাহিনী ‘দাস কোম্পানি’ । এই দাস কোম্পানির ভয়ে ভৈরব থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করতে বাধ্য হয় পাক আর্মি।

যুদ্ধরত অবস্থাfয় কৈয়াবিলের পানিতে ডুবে যান জগৎজ্যোতি। তবে লোকমুখে শোনা যায়, গুলিবদ্ধ হওয়ার পরেও তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় অত্যাচার করতে করতে। তাঁর গায়ে পেরেক বিদ্ধ করে সেই ছবি খবরে ছাপানো হয়।

খুঁটির সাথে বেঁধে ক্ষত-বিক্ষত করা হয় তাঁর লাশকে। জগৎজ্যোতির মা-বাবাকেও ধরে আনা হয় বিভৎস লাশ দেখাতে।

এই বীরের মৃত্যু'র পর স্বাধীন বাংলা বেতারে ঘোষিত হয়েছিল তাকে দেয়া হবে সর্বোচ্চ খেতাব। কিন্তু ভাটির সাধারণ মানুষ এখনো জানে না কি কারণে জগৎজ্যোতিকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রধান করা হয়নি।

আজ ১৬ নভেম্বর ২০১৭। আজ হয়তো জানা যেতেই পারে কেন তাকে স্বাধীনতার পরর্বতে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি দেওয়া হয়নি।

বাবা জীতেন্দ্র চন্দ্র দাস ও মা হরিমতি দাসের কনিষ্ঠ পুত্র জগৎজ্যোতি দাস, জন্ম ২৬ এপ্রিল, ১৯৪৯ সালের । জলের রাজ্যে হবিগঞ্জের আজমীরিগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রাম জন্ম নেওয়া ২১ বছর বয়সি জগৎজ্যোতি ১৯৭১ তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে হাওরের মানুষকে যে মুক্তির স্বাদ দিয়েছিলেন। তা পৃথিবীর হাজার তরুনকে মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করার প্রেরণা দিত।

কিন্তু আমরা বঞ্চিত করেছি কোটি কোটি তরুনকে জগৎজ্যোতির ইতিহাস জানা থেকে। নতুন প্রজন্ম হয়ত জানবে না জলসুখা গ্রামের তরুন জগৎজ্যোতি মাতৃভূমির স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তব করার অন্যতম নায়ক।

বীরশ্রেষ্ঠ অথবা বীরবিক্রম নয় পদক দিয়ে কেউ আজ হয়ত জগৎজ্যোতিকে স্মরণ করবে না।কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষায় লড়াইরত প্রতিটি যোদ্ধাই অক্ষরিক অর্থে একজন জগৎজ্যোতি।

জগৎজ্যোতি রাষ্ট্র তোমাকে কি খেতাব পদক দিয়েছে কি নিয়েছে তা জানতে চাই না। শুধু জানি জগৎজ্যোতিরাই বাংলাদেশের ভিত্তি। জগৎজ্যোতিরা দুনিয়ার প্রান্তে প্রান্তে মানুষকে মুক্তির স্বপ্ন দেখায়, মুক্তির স্বাদ দেয়

#জগৎজ্যোতি

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জগৎজ্যোতিকে বীরশ্রেষ্ঠ পদক ফিরিয়ে দেওয়া হবে, এই আশা রাখি সরকারের প্রতি।

ধন্যবাদ, সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন ভাই।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই ব্যাপারে তো আমি কিছুই জানতাম না!!!!

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: সাধারণ মানুষকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধী দেওয়া হয় নি। কেন? কি জন্য?

সরকারী বাহিনী বাদেও অনেক সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ছিল যারা এলাকায় এলাকায় কিংবদন্তি। কিন্তু তারা সাধারণ খেতাবেই ভূষিত। এলিট খেতাব পায় নি।

এখানেও কি কোনো রাজনৈতিক চাল ছিল?

অথচ ইনারা প্রশিক্ষণ ছাড়া কিংবা নামমাত্র প্রশিক্ষণে দেশমাতাকে পাকি হানাদারদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। ইনারাই অাসল বীরশ্রেষ্ঠ।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার পরিবারের প্রতি সন্মান ও কৃতজ্ঞতা রলো

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ (রাষ্ট্র না দিলেও আমার মন দিয়েছে) জগতজ্যোতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখন একজনও যদি নতুন কাউকে খেতাব দেয়া হয় অনেকজন দাবী করে বসবে...

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: কে কি দাবী করবে তাই যার যা প্রাপ্য তা তাকে দেওয়া হবে না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.