![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
বলা হয় চাটুচক এ পাওয়া যায় না দুনিয়ার এমন কোন জিনিস নেই। কেউ কেউ বলে পুরো থাইল্যান্ডেকে নাকি বেচে দেওয়া হয় চাটুচকে। কি কি পাওয়া যায় আর পাওয়া যায় না । তার হিসেবে মিলাতে গেলে তর্ক অনেক হবে। তবে বিশ্বাস নিয়ে যাওয়াই যেতে পারে একবার চাকুচকে ।
আমি সেই বিশ্বাস নিয়েই গিয়েছিলাম একদল কথিত উন্নয়নের প্রতি আস্থাহীন বা অবিশ্বাসী মানুষের সাথে। তারা দুনিয়াব্যাপী ৪জি, ৩জি,৫জি উন্নয়ন বিরোধী। জিডিপি বাড়ালে সাধারণ মানুষের যে কিছুই হয় না, তাই তাদের মূল আলোচ্য বিষয়। তারা স্থানীয় মানুষের স্বার্থরক্ষায় পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিতে আগ্রহী। জিডিপি গোল্লায় যাক।
বিভিন্ন হাটে, ঘাটে, বন্দরে বাদযন্ত্রের মোহনীয় সুর দ্বারা মানুষকে মুগ্ধ করাই তাদের কাজ। বিনিময়ে যে অর্থ পায় তা দিয়ে পেট ও আন্দোলন চালায়।
এখানে আমার কোন কাজ নেই। আমার কন্ঠে সুর নেই, আমি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে জানি না।
আমার কাজ মানুষ দেখা। আমি সারা দুনিয়া থেকে চাটুচকে আসা রং বেরংয়ে মানুষ দেখি।
আর একটু পর পর ছোট হ্যান্ড মাইকে চিৎকার দেই “ দেন ভাই দেন, কিছু দেন। প্রকৃতি রক্ষার জন্য দিন। নিজের জন্য দিন। “
যেহেতু তাদের কাছে থেকে বিনামূল্যে থাকা খাওয়া পাই । তাই এই ব্যয়বহুল শহরে বাসস্থান ও খাদ্যের যোগানদাতাদের টুকটাক আদেশ শুনতেই হয়।
ঐ ভ্রমণে আমি নানা দলের সাথে মিশে ছিলাম। একদল ছিল ঈশ্বরের লোক। তারা ভগবান বৌদ্ধের বানী প্রচার করত গ্রামে গ্রামে। মাঝে মাঝে আমি তাদের সাথে ভিক্ষাবৃত্তি করতেও যাই। বাণী প্রচারের সাথে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে হয়। বাড়ি মানুষজন হাসি মুখে ভিক্ষা দেয়। কেউ দেয় ডিম,কলা, চাল, সবজি, নানা ফসল। যদিও আমার এক বড় ভাই Maruf Rahman এই ভিক্ষাবৃত্তি দেখে লজ্জায় শেষ।
তিনি যেহেতু ফর্সা মানুষ তাই লজ্জায় লাল। আমি কালো তাই লাল হবার সুযোগ নেই।
আমি ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে ভিক্ষা করি। দিনে দুইবার, তিন বার যাই। আসার পথে আমি সবাইকে দোয়া দিয়ে আসি। মোটামুটি চিৎকার করে। সবাই আমার আচরণে অবাক হয়ে দেখে। পাশের জনকে জিজ্ঞাসা করে ব্যাপার কি। বলি কৃতজ্ঞতা স্বীকার।
তারা হাসি মুখে ভিক্ষা দেয়। আবারও এসো।
আ হা কি শান্তির ভিক্ষাবৃত্তি। যদিও তারা বলে না এটাকে ভিক্ষা। ওদের কাছে এটি পুণ্যের কাজ।
যাই হোক আবার আসি চাকুচক ইস্যুতে। যারা আমাকে থাইল্যান্ডের রাজধানীতে থাকতে দিয়েছিলেন। তারা প্রকৃতি প্রেমিক। তারা এক বিন্দু জলও নষ্ট করে না। নিদিষ্ট পরিমাণ আয়ের পর তারা আর অর্থ সংগ্রহ করে না।
আমি তাদের সাথে বিভিন্ন বাজারে বাজারে ঘুরি। সপ্তাহের বিশেষ বিশেষ দিন আমাদের হাটের মত বাজার বসে। একবার গিয়েছিলাম বিনাখরচে হাজার রংয়ের বাজার চাকুচক/চাটুচক দেখতে।
যারাই থাইল্যান্ডে যাবেন সুযোগ পেলে চাটুচক দেখার সুযোগ নষ্ট করবেন না। আর সাথে যদি বউ/বান্ধবী থাকে তবেও কেনাকাটা ঐখানেই শেষ করে ফেলতে পারেন।
আমি নিশ্চিত যত টাকাই আপনার সাথে থাকুক। চাটুচকে কেনাকাটা করে বাঙ্গালী বউ/বান্ধবীর মন ভরাতে পারবে এ ক্ষমতা কারো হয়নি। পুরো আস্ত বিমান নাকি ভর্তি হয়ে যাবে । তবুও চাটুচকে কেনাকাটার শখ মিটবে না।
এই বানী আামার নয় “ আমার চিৎকারে জড় হয়ে যাওয়া এ বাঙ্গালী বড় ভাই #তৌফিক ভাইয়ের।
তৌফিক ভাই আমি দোয়া করি । সৃষ্টিকর্তা আপনাকে এত তৌফিক না দেন যে আপনি ভাবীর মন ভরাতে পারেন। ভাবীর মন ভরানোর চেষ্টায় আপনি বার বার চাটুচকে নিয়ে যান। আর আসার সময় আমার জন্য উপহার নিয়ে আসুন।
ভাবী এবং দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল স্বামী তৌফিক ভাই শুভ কামনা। বিবাহের প্রতিটি দিবস কাটুক চাটুচকে।
১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৮
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশ ভিন্নরকম জীবন বোধের সন্ধান দিলেন!
নিশ্চয়ই খুব চার্মিং ছিল তাদের সাথে ঘোরাঘুরি আর ভিক্ষা করা
আমেরিকার নিরামিষাসীদের মতো নাকি এরাও?
ভাল লাগল মজার অভিজ্ঞতা শেয়ারে
১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫০
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আমি আনন্দ পেয়েছিলাম। জীবন উপভোগ করেছিলাম
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:২৯
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
তৌফিক ভাইয়ের জন্য এতো বড় দু'আ? (বাঙালি আম পাব্লিকের সন্দেহ হওয়ায় জিডি করা হল!)
খুব সুন্দর তথ্য দিলেন। মজা লাগলো।
১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫০
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আমিন
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: পোস্টটি ভাল লাগলো।
১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫১
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার স্টাইল(ভিক্ষেকরার) -টা রুট থেকে পাওয়া এতো ওরা বুঝেনি তাই একটু আধটু বিস্মিত হয়েছে আরকি!
আপনার দিনগুলো খুব চার্মিং ছিলো!
১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫২
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: জ্বি খুবই ভাল দিন কাটিয়েছিলাম
৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক মজা করেছেন।
১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫২
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: জ্বি
৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: একটু বিস্মিত হলাম
১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: গেলে আনন্দ পাবেন
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: থাইল্যান্ড কবে গেলেন?