নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমন দুর্দিনে আমি পরিপুষ্ট প্রেমিক আর প্রতিবাদী তোমাকেই চাই’।

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

ছেলেগুলো মন্দ হবে যদি হেলাল হাফিজের কবিতা পড়ে। মহাদেব সাহা শুধুই প্রেমের সুড়সুড়ি। আল মাহমুদ জামাতি।রফিক আজাদ এর কবিতা পড়া নিষিদ্ধ । যদি বলি বলে উঠে 'ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো।

ফররুখ আহমদ ধর্মকর্ম নিয়ে লিখে কবিতাতে। মুন্সী কায়কোবাদ নামেই তার মোল্লা মোল্লা গন্ধ আছে। জীবনানন্দ, মধুসূদন নদী আর প্রকৃতির প্যারপ্যারনি পড়ে লাভ কি?

হুমায়ুন আজাদ নাস্তিক ব্যাটা, রুদ্র তো মাতাল, বরি ঠাকুর, নজরুল চলে না এখনের বাজারে। তাই পুত্র-কন্যাকে এলিয়ানদের গল্প পড়াই। যন্ত্রদাবন কম্পিউটারের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতে বলি। কারণ জীবন মানেই যুদ্ধ। যুদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাবার পথে কচু কাটা করতে হবে সবকটাকে। মস্তিস্ক নিষ্ঠুরতা পূণ হতে হবে।আগামীর কচু কাটা পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করতে চাই।

কবিতা দিয়ে কচুকাটা করা যায় না। ছুটে চলার এই বিশ্বে এখন কবিতা অচল। কবিদের ঘরে টানানি।কবিতা শুধুই সময়ের অপচয়। তারপরও কেউ কেউ প্রতিযোগীতার পৃথিবীতে মন্থরগতিতে অচল কবিতা লিখে যায়।

আমি বিশ্বাস করি,
এই লিখে যাওয়া কবিতা যন্ত্রদাবনের আগ্রসনের পৃথিবীর মাঝেও মানবিক বিশ্বের স্বপ্ন দেখাবে। যন্ত্রদাবনের বিষ যখন পৃথিবীর মানুষের মস্তিস্ককের পূর্ণদখল নিবে। তখন কবিতাই একমাত্র ভরসা হবে মানুষের মুক্তির। যাদের মনে ক্যান্সারের মত নিরাপদ আশ্রয় গড়বে কবিতা। যন্ত্রদানবের বিষাক্ত বিষেপূর্ণ মগজধারীদের থেকে দুনিয়া উদ্ধারে কবি এবং কবিতা প্রেমিকরাই ত্রানকর্তা হবে।

তাই কবিতা পড়ুন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কবিতা পড়তে উদ্ধুদ্ধ করুন।

আমি মাঝে মাঝে হেলাল হাফিজের যুগল জীবনী পড়ি।

আমি ছেড়ে যেতে চাই, কবিতা ছাড়ে না।
দুরারোগ্য ক্যান্সারের মতো
কবিতা আমার কোষে নিরাপদ আশ্রম গড়েছে
সংগোপনে বলেছে,–’হে কবি
দেখো চারদিকে মানুষের মারাত্মক দুঃসময়
এমন দুর্দিনে আমি পরিপুষ্ট প্রেমিক আর প্রতিবাদী তোমাকেই চাই’।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৫৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: যে পড়ার সে কিন্তু এমনিতেই পড়বে, শোভন ভাই। যে নজরুল পড়বে না, তাকে ধরে বেধেও গেলানো সম্ভব নয়। তবে, এক্ষেত্রে গুরুজনদের দায়িত্ব নিতে হবে সন্তানদের শৈশব থেকেই।

এছাড়া, শিশুদের নিজ চিন্তা জগতকেও ছেড়ে দিতে হবে স্বাধীন ভাবে। তারা নিজেরাই নিজেদের পথ খুঁজে নিতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.