![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
কে কার বিরুদ্ধে লাঠি ধরবে। কাকে পিটিয়ে দাবী আদায় করব?
চালক-পুলিশ-ছাত্র-জনতা সবাই বাংলাদেশ।সবাই মিশে সমাধানে আসতে হবে।আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই ঐক্যের বাংলাদেশ ভাবতে শিখেনি। তারা তাদের নিজেদের ফায়দার জন্য তা কখনোই করেনি।
তারা যে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে রক্ষায় ব্যস্ত। তার প্রমাণ দায়িত্বশীল মন্ত্রী এখনো জানেন না কেন পদত্যাগ করতে হবে? নৌ মন্ত্রীর বক্তব্য খারাপ ছিল। কিন্তু সড়কে এই মহামারির জন্য যোগাযোগ মন্ত্রীর দায় বহুলাংশে বেশি।
শিক্ষামন্ত্রী এখনো ছাত্রদের কাছে আসতে পারেননি। তিনি এখনো বুঝতে পারেননি এই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব তার ছিল। যতক্ষন ছাত্ররা রাস্তা থাকবে ততক্ষণ তিনিও রাস্তায় থাকার কথা। বলা দরকার আমার ছাত্রদের উপর কোন নির্যাতন হবে না। তাদের যৌক্তিক দাবী মানতে হবে।
দেশের ইতিহাসে সরাষ্ট্রমন্ত্রী তো সব সময় জনবিরোধী।
কিন্তু তারপরও আমরা কার গাড়ি ভাঙ্গব?
এই গাড়িগুলো আমাদেরই কারো বাবা, ভাইদের জীবিকার উৎস। আপনার প্রতিদিনের যাতায়াত,খাবার,চিকিৎসা সবকিছুই নির্ভর করে এই যানবাহনগুলোর উপর।তাই তাদের প্রতিপক্ষ করে সমাধান আসবে না।
আন্দোলনের নামে পুলিশকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে অনেকেই। কিন্তু যতই জোর দিয়ে বলেন না কেন পুলিশ ছাড়া বিকল্প নেই। শুধু পুলিশের দোষ দিয়ে সমাধান আসবে না। একটা পুলিশ কি আছে নিরাপদ সড়কের দাবীর বিপক্ষে?
ঘন্টাখানি যানজটে, গরমে অস্থির হই আমরা। আমাদের পুলিশরা ১২ঘন্টা গরমে থাকে।
কতদিন রাস্তায় লাইসেন্সে চেক করবেন?
একদিন কি বিআরটিএ তে আসেন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন চালকরা কেন লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায়। সরকারী নিধারিত টাকায় কেউ লাইসেন্স পায় না। ১০/১২ হাজার টাকা ছাড়া লাইসেন্স ঢাকার মিলবে এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। এই দায় যোগাযোগ মন্ত্রীর।
প্রতিদিন একটা গাড়ি গড়ে কত টাকা চাঁদা দেয় জানেন তো? শুধু মোহাম্মদপুর থেকে বড্ডা যাওয়ার গাড়িগুলো ৪০০টাকা চাঁদা দেয়।
এখন ১৯৭১ না আমরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন হব। এখন বাংলাদেশ। আমার পাশে তুমি মানেই বাংলাদেশ, তোমার পাশে আমি মানে বাংলাদেশ।
পুলিশদের পাশে দাড়িয়ে তাদের কাজে সহযোগিতা করে আপনার যা দেখিয়েছেন তা কেউ পারেনি। আপনারা শক্তির প্রমাণ দিয়েছেন।পুরো দেশের লাইসেন্স দেখিয়েছেন।
তাই নিরাপদ যাতায়াতের কথা বিবেচনা করে এই লাখ লাখ পরিবহন শ্রমিক-চালকের পাশে দাড়াতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স আমার আপনার যাতায়াত নিরাপদ করবে। তাই আসুন তাদের পরিবহন শ্রমিকদের চাঁদাবাজ থেকে মুক্ত করা, সঠিকভাবে লাইসেন্স পাওয়ার অধিকারগুলো নিশ্চিত করি।
যারা শুধুই ভাঙ্গা আর পিটানোর সমর্থন দিচ্ছে তারা ভাঙ্গতেই জানে। তারা মানুষকে সাদা-কালোতে ভাগ করে, কুমিল্লা-বরিশালে ভাগ করে, হিন্দু-মুসলিমে ভাগ করে, পাহাড়ি-সমতলে ভাগ করে, শ্রমিক-জনতাতে ভাগ করে, ধার্মিক-অধার্মিকে ভাগ করে।
আমরা ঐক্যের বাংলাদেশ চাই। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে সকালে পত্রিকায় পড় গত ১০০ দিনে বাংলাদেশে কোথায় সড়ক দূর্ঘটনায় কেউ আহত-নিহত হয়নি।
পৃথিবীতে কোথায় শ্রমিক-জনতা-পুলিশের লড়াইয়ে বা প্রতিপক্ষ করে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত হয়নি। যাতায়াত ব্যবস্থা নিরাপদ হয়েছে যেখানে শ্রমিক-জনতা-পুলিশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে।
নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ার প্রয়োজনে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। সমস্যা শুধুই প্যাচানো নয়, আন্দোলনের পাশাপাশি সমাধানের কথা বলি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ঠিক হবে এই আসা নিয়েই লড়তে হবে
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: শ্রমিক ফেডারেশন চালাতে চাঁদা তোলা হয় ,এই চাঁদা তোলা বন্ধ করার উপায় নেই
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পানিতে নেমে কুমিরের সাথে যুদ্ধ হচ্ছে। আমরা পুটি মাছের মত ফ্রাই হচ্ছি। এই সব বালখিল্য আন্দোলনে কিছুই হবে না। ঢাকা একদিনে সিংগাপুর হবে না। সময় লাগবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: যুদ্ধ চলমান। সময় লাগবে
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পানিতে নেমে কুমিরের সাথে যুদ্ধ হচ্ছে। আমরা পুটি মাছের মত ফ্রাই হচ্ছি। এই সব বালখিল্য আন্দোলনে কিছুই হবে না। ঢাকা একদিনে সিংগাপুর হবে না। সময় লাগবে।
আমার মনের কথা বলেছেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: সহমত। সময় লাগবে
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অনেক তাৎপর্যপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন। আমাদের বাংলাদেশ, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। এটা স্রেফ বাজে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য হচ্ছে তা কিন্তু নয়।
আমাদের পুরু সিস্টেমে সমস্যা। বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে মানুষ অবৈধ উপায়ে উপার্জনের পথ খুঁজছে। বিশাল অংকের ঘুষের বিনিময়ে চাকরি পাওয়া আমলা কামলা ঘুষ টুস খেয়ে টাকা উদ্ধার করতে চাইছে। ইত্যাদি... ইত্যাদি...
এসব হুট করে বদলানো সম্ভব নয়। আস্তে আস্তে প্লান পরিকল্পনা করে এগুতে হবে।