![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
আমার বাসার কাছে রাস্তার ধারেই একটা আম গাছ আছে। চারা আম গাছ।গাছ ছোট কিন্তু আমে ভরপুর। তারচেয়ে বড় কথা এই গাছের মুকুল দেখে আমি বুঝি বসন্ত এসে গেছে শহরে। আমার বন্ধুরা আমার সাথে দেখা করতে আসলে। যারা বিড়ি খায় তারা এই গাছের নিচে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করে। তাই এরে বিড়ি তলা বলে তারা।
একদিন সকালে উঠে দেখি একদল লোক রাস্তার আশেপাশের গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। চারা আম গাছটাও কাটার প্রস্তুতি নিয়েছে। গাছে আম আছে কিন্তু রাস্তার ধারের গাছ কেউ কিছু বলতে পারছে না।
আমি ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ের উপর থাকার কথা। প্রেসক্লাবে প্রোগ্রাম ২৫ মিনিট এমনি দেরি হয়ে গেছে।
গাছ কাটা লোকদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম।
এই গাছ কাটছেন কেন?
বলে আমরা সিটি করপোরেশনের লোক।
তো কি হল, গাছ কাটছেন কেন?
এই গাছ কি সিটি করপোরেশন লাগিয়েছে?
ভাই আপনার আইডি কার্ড কই?
আর সিটি করপোরেশনের অনুমতি কই গাছ কাটার?
ব্যাটা আমার কথা শুনে না চারা গাছে কোপ দিল। খুব আরাম করে বললাম। থাপ্পর দিয়ে কানের সব কয়টা পর্দা ফাটিয়ে দিব। ব্যাটা যদি আর একটা গাছ কাটিস।
সে চিৎকার শুরু করে দিল। এই ভাই, ঐ ভাই
ছোট ঠিকাদার চলে আসলো। সেও ভয় দেখায়। যাদের নাম বলল তাদের নামে আমার ভয়ই পাবার কথা।
আমি ভীতু মানুষ। ভয়ে বললাম। আপনি বাচ্চা মানুষ, বড়দের আমাকে ফোন দিতে বলবেন। আর এই গাছ যেন কাটা না হয়। যদি বুঝে থাকে ভাল না বুঝলে। বড়রা বুঝিয়ে দিবে।
বাচ্চা ঠিকাদার এলাকার ক্লাবের ভয়, নেতার ভয় সব দেখিয়ে দুপুরের পর ফোন দিল বড় ভাই দিয়ে।
বললাম। ভাই রাস্তা-ফুটপাত সংস্কার নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। টাকা পয়সা ও দাবীদাবা নেই। শুধু দাবী আম গাছটা টিকিয়ে রাখুন।
ইতিমধ্যে আমার বাসার মানুষজন বলছে কিরে ঝামেলা করার দরকার কি।সরকারী গাছ সরকারী লোক কেটে নিয়ে যাবে তাতে তোর কি?
আমি ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বড় ভাইকে বুঝিয়ে বললাম ভাই আমি ধুনফুন না। নিয়মকানুন জানি।মামলা-হামলার ভয়ে ভীতু হয়েই এই শহরে বসবাস করি। কিন্তু আপনার তো ঠিকাদারী বিল আটকিয়ে যাবে যদি গাছ কাটেন। কারণ এই গাছ কেটে রাস্তা সংস্কারের কোন অনুমতি আপনার নেই। আপনি ওয়াসার কাজ করছেন। গাছ সিটি করপোরেশনের।
ভদ্রলোক জুইতের ব্যবসায়ী। সে গাছ না কেটেই কাজ সমাপ্ত করল। আগামী বসন্তে ও এই শহরে আমের মুকুলের গন্ধ থেকে বঞ্চিত হব না।
কিন্তু উন্নয়নের নামে প্রতিবার এই শহরে গছ কাটা হয়। এই গাছ কাটার বৈধতা যাচাই করা আপনার আমারই দায়িত্ব। কারণ শহরটা আমাদের। আমি ভীতু যদি পারি তবে আপনিও পারবেন।
কিছু তথ্য দেই গাছ রক্ষায় আপনার কাজে লাগতে পারে।
১.রাস্তার ধারের গাছের মালিক কে : ঢাকার সিটি করপোরেশন এলাকার সিটি করপোরেশনের রাস্তার ধারে গাছগুলো ঢাকা সিটি করপোরেশন মালিক। (বিশেষ কিছু এলাকা বাদে)।
এই গাছ কাটার জন্য অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমতি লাগবে। সে যেই গাছ কাটুক না কেন।
২. সিটি করপোরেশনের গাছ কাটার আগে সংশ্লিষ্ট্য সিটি করপোরেশন, ডিসি অফিস, বন বিভাগের কমিটির মাধ্যমে এই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩. দরপত্র আহবানে করে এই গাছ বিক্রি ও কাটার ব্যবস্থা হয়।
৪. ঢাকার সিটি করপোরেশন রাস্তা, ফুটপাত সংস্কারের জন্য বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয় বা চুক্তিবন্ধ হয়। কিন্তু ঐ প্রতিষ্ঠানকে গাছ কাটার জন্য অনুমতি দেয় না। ফলে কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যদি গাছ কাটে তবে আপনি প্রতিবাদ করতেই পারেন।
৫. ঢাকা ওয়াসা, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাসসহ নানা প্রতিষ্ঠান তাদের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির স্বার্থে সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি সাপেক্ষে রাস্তা খুড়াখুড়ি করে। কিন্তু সেই অনুমোদন গাছ কাটার জন্য বৈধ নয়।
৬. কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ অপসারন বা নাগরিক চলাচল
প্রতিবন্ধকতা নিরসনের স্বার্থরক্ষায় সিটি করপোরেশন গাছ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন করে।
তাই সরকারী লোকে বা জোর দেখিয়ে ওয়াসা, বিটিসিএল,বিদ্যুৎ বিভাগ,গ্যাস সহ অন্য বিভাগের কাজ করতে আসা ঠিকাদারদের ঢাকার গাছকাটা বৈধ নয়।
রাস্তার ধারে গাছ কাটলে প্রাথমিক ভাবে প্রতিহত করুন, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগকে জানান।
ঢাকা যেহেতু আপনার, ঢাকার মালিক আপনি।সুতরাং ঢাকার গাছ কাটলে রুখে দিন। আনন্দময় হোক আপনার ঢাকার জীবন।
ঢাকার বটতলা, আমতলা, জামতলা, বিড়িতলা নিরাপদ থাকুক ঠিকাদারদের হিংস্র থাবা থেকে।আমার বাসার কাছে রাস্তার ধারেই একটা আম গাছ আছে। চারা আম গাছ।গাছ ছোট কিন্তু আমে ভরপুর। তারচেয়ে বড় কথা এই গাছের মুকুল দেখে আমি বুঝি বসন্ত এসে গেছে শহরে। আমার বন্ধুরা আমার সাথে দেখা করতে আসলে। যারা বিড়ি খায় তারা এই গাছের নিচে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করে। তাই এরে বিড়ি তলা বলে তারা।
একদিন সকালে উঠে দেখি একদল লোক রাস্তার আশেপাশের গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। চারা আম গাছটাও কাটার প্রস্তুতি নিয়েছে। গাছে আম আছে কিন্তু রাস্তার ধারের গাছ কেউ কিছু বলতে পারছে না।
আমি ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ের উপর থাকার কথা। প্রেসক্লাবে প্রোগ্রাম ২৫ মিনিট এমনি দেরি হয়ে গেছে।
গাছ কাটা লোকদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম।
এই গাছ কাটছেন কেন?
বলে আমরা সিটি করপোরেশনের লোক।
তো কি হল, গাছ কাটছেন কেন?
এই গাছ কি সিটি করপোরেশন লাগিয়েছে?
ভাই আপনার আইডি কার্ড কই?
আর সিটি করপোরেশনের অনুমতি কই গাছ কাটার?
ব্যাটা আমার কথা শুনে না চারা গাছে কোপ দিল। খুব আরাম করে বললাম। থাপ্পর দিয়ে কানের সব কয়টা পর্দা ফাটিয়ে দিব। ব্যাটা যদি আর একটা গাছ কাটিস।
সে চিৎকার শুরু করে দিল। এই ভাই, ঐ ভাই
ছোট ঠিকাদার চলে আসলো। সেও ভয় দেখায়। যাদের নাম বলল তাদের নামে আমার ভয়ই পাবার কথা।
আমি ভীতু মানুষ। ভয়ে বললাম। আপনি বাচ্চা মানুষ, বড়দের আমাকে ফোন দিতে বলবেন। আর এই গাছ যেন কাটা না হয়। যদি বুঝে থাকে ভাল না বুঝলে। বড়রা বুঝিয়ে দিবে।
বাচ্চা ঠিকাদার এলাকার ক্লাবের ভয়, নেতার ভয় সব দেখিয়ে দুপুরের পর ফোন দিল বড় ভাই দিয়ে।
বললাম। ভাই রাস্তা-ফুটপাত সংস্কার নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। টাকা পয়সা ও দাবীদাবা নেই। শুধু দাবী আম গাছটা টিকিয়ে রাখুন।
ইতিমধ্যে আমার বাসার মানুষজন বলছে কিরে ঝামেলা করার দরকার কি।সরকারী গাছ সরকারী লোক কেটে নিয়ে যাবে তাতে তোর কি?
আমি ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বড় ভাইকে বুঝিয়ে বললাম ভাই আমি ধুনফুন না। নিয়মকানুন জানি।মামলা-হামলার ভয়ে ভীতু হয়েই এই শহরে বসবাস করি। কিন্তু আপনার তো ঠিকাদারী বিল আটকিয়ে যাবে যদি গাছ কাটেন। কারণ এই গাছ কেটে রাস্তা সংস্কারের কোন অনুমতি আপনার নেই।
ভদ্রলোক জুইতের ব্যবসায়ী। সে গাছ না কেটেই কাজ সমাপ্ত করল। আগামী বসন্তে ও এই শহরে আমের মুকুলের গন্ধ থেকে বঞ্চিত হব না।
কিন্তু উন্নয়নের নামে প্রতিবার এই শহরে গছ কাটা হয়। এই গাছ কাটার বৈধতা যাচাই করা আপনার আমারই দায়িত্ব। কারণ শহরটা আমাদের। আমি ভীতু যদি পারি তবে আপনিও পারবেন।
কিছু তথ্য দেই গাছ রক্ষায় আপনার কাজে লাগতে পারে।
১.রাস্তার ধারের গাছের মালিক কে : ঢাকার সিটি করপোরেশন এলাকার সিটি করপোরেশনের রাস্তার ধারে গাছগুলো ঢাকা সিটি করপোরেশন মালিক। (বিশেষ কিছু এলাকা বাদে)।
এই গাছ কাটার জন্য অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমতি লাগবে। সে যেই গাছ কাটুক না কেন।
২. সিটি করপোরেশনের গাছ কাটার আগে সংশ্লিষ্ট্য সিটি করপোরেশন, ডিসি অফিস, বন বিভাগের কমিটির মাধ্যমে এই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩. দরপত্র আহবানে করে এই গাছ বিক্রি ও কাটার ব্যবস্থা হয়।
৪. ঢাকার সিটি করপোরেশন রাস্তা, ফুটপাত সংস্কারের জন্য বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয় বা চুক্তিবন্ধ হয়। কিন্তু ঐ প্রতিষ্ঠানকে গাছ কাটার জন্য অনুমতি দেয় না। ফলে কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যদি গাছ কাটে তবে আপনি প্রতিবাদ করতেই পারেন।
৫. ঢাকা ওয়াসা, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাসসহ নানা প্রতিষ্ঠান তাদের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির স্বার্থে সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি সাপেক্ষে রাস্তা খুড়াখুড়ি করে। কিন্তু সেই অনুমোদন গাছ কাটার জন্য বৈধ নয়।
৬. কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ অপসারন বা নাগরিক চলাচল
প্রতিবন্ধকতা নিরসনের স্বার্থরক্ষায় সিটি করপোরেশন গাছ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন করে।
তাই সরকারী লোকে বা জোর দেখিয়ে ওয়াসা, বিটিসিএল,বিদ্যুৎ বিভাগ,গ্যাস সহ অন্য বিভাগের কাজ করতে আসা ঠিকাদারদের ঢাকার গাছকাটা বৈধ নয়।
রাস্তার ধারে গাছ কাটলে প্রাথমিক ভাবে প্রতিহত করুন, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগকে জানান।
ঢাকা যেহেতু আপনার, ঢাকার মালিক আপনি।সুতরাং ঢাকার গাছ কাটলে রুখে দিন। আনন্দময় হোক আপনার ঢাকার জীবন।
ঢাকার বটতলা, আমতলা, জামতলা, বিড়িতলা নিরাপদ থাকুক ঠিকাদারদের হিংস্র থাবা থেকে। তারপরও যদি কেউ গাছ কাটে তবে আমাকে জানায়েন। পচা বুদ্ধি দিমু ভয়ানক পচা বুদ্ধি। তাহার জীবন যৌবন চলে যাবে সেই যন্ত্রণা থেকে বের হতে গিয়ে।
১১ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট স্টিকি করা হোক।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট স্টিকি করা হোক।
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: লিখাগুলো দুইবার এসেছে। ঠিক করে নিন।
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট স্টিকি করা হোক।
আমিও চাই এই পোস্ট স্টিকি করা হোক। প্রথম পাতায় কয়েকদিন থাকুক। মডুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক'কে ধন্যবাদ।
১১ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: পচা বুদ্ধিটা জানতে ভয়ানক ইচ্ছা করছে। আমার গ্রামের রাস্তার পাশের গাছগুলো কেটে ফেলছে একে একে।
১১ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ঠিকাদার নিজের জন্য গাছ কেটে নেয়। কাউকে কিছু বলতে হয় না
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগলো।