নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পলাশের খিচুড়ি। আমাদের অর্থনীতি

০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

পলাশের খিচুড়ির অর্থনীতি
পলাশের খিচুড়ি। আমাদের অর্থনীতি

ধোয়াঁ ওড়ানো গরম খিচুড়ি, আলু ভর্তা ও পিয়াজ-মরিচ ভর্তাসহ পুরো প্যাকেজ মাত্র বিশ টাকা। সাথে ডিম ভাজি বা ডিম ভুনা নিলে দাম হয় সবসহ ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা । ফুটপাতের রঙ্গিন ছাতার নিচে বসে পলাশের ভুনা খিচুড়ির স্বাদ যতটা ভাল লেগেছে। তারচেয়ে ভাল লেগেছে দুনিয়ার তাবৎ অর্থনীতির সংজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে দ্রবমূল্যের বাজারে গত ৪ বছরে খিচুড়ির দাম স্থিতিশীল রাখার সংজ্ঞা।
গেল ৪ বছরে দুনিয়াব্যাপী চাল,ডাল,তেল,নুন দাম বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু যে ডাল, চাল,তেল, নুন মিলিয়ে যে খিচুড়ি হয়, পলাশের খিচুড়ির দাম বাড়েনি এক টাকাও। অর্থনীতির মারপ্যাচ ডিঙ্গিয়ে পলাশ কি করে সম্ভব করেছেন?


ধানমন্ডি ২৭ থকে একটু এগিয়ে মোহাম্মদপুর যাবার রাস্তায় পশ্চিম পাশে র‌্যাবের অফিসের সামনে পলাশের সাথে কথা হল।
আমি: খিচুড়ির চাহিদা কেমন?
পলাশ: বেচা-কেনা ভালই, ১০০ থেকে ১২০ প্লেট বিক্রি হয়।
আমি: খিচুড়ি সাথে দুই পদের ভর্তা, ২০ টাকায় পুষা ক্যামনে?
পলাশ: পুষায় লাভ একটু কম হয় কিন্তু লস নাই।
আমি: দিনে থাকে কত, মাস্তান পুলিশকে টাকা পয়সা দিতে হয়?
পলাশ : নাহ কোন ঝামেলা নাই এখানে।
আমি: এত কম লাভে দিন চলে?
পলাশ: এখন সময় খারাপ মানুষের কাছে টাকা পয়সা নেই। গরীব মানুষ আমার কাছে আসে। দাম বাড়ালে মানুষ খাবে কি?


মামুন পেশায় খেলোয়াড়। প্রশিক্ষণের জন্য থাকেন মোহাম্মদপুরে। হাজার হাজার কোটি টাকার অর্থনীতির ঢাকায় ২০ টাকায় দিন পার করার চেষ্টায় আছেন মামুন। প্রতিদিন পলাশের হোটেলের খাবার খেতে আসেন। একটু বেলা করে খেলে দুপুরের খাবারও হয়ে যায় বিশ টাকায়।

মামুনের পাশে বসে খাচ্ছেন আর এক মামুন পেশায় আটো রিক্সা (সিএনজি) চালক। থাকেন আগারগাঁও। সকালের নাস্তায় তার বরাদ্দ ৩৫ টাকা। জনগণের সরকার কিভাবে কোম্পানির মুনাফা রক্ষার কান্ডারি হতে পারে তা নিয়ে ঝাল মিটালেন। ব্যবসায়িরা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যায় নানা ফাঁদে ফেলে। নানা ভাবে দাম বাড়ায় সরকার দেখে না।

রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ীদের হাতে গেলে সবার আগে মুনাফা। মুনাফাই যেন সব। মানুষ বাঁচার অক্সিজেনের দামও তাড়া হাজার গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। চাহিদা সাথে জোগান কম হলে দাম বাড়ে, মূল্যস্ফীতির জন্য দাম বাড়্,ে আন্তর্জাতিক বাজার, রমজান-ঈদ-পূজা, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, করোনা কি যুক্তিতে দাম বাড়েনি পণ্যের। এত এত দাম বাড়ার অর্থনীতির তত্ত্বের মাঝে পলাশের খিচুড়ির অর্থনীতির তত্ত্বটা জানা প্রয়োজন। যা ৪ বছরে খিচুড়ি দাম বাড়াতে দেয়নি।


পলাশের খিচুড়ির অর্থনীতি আমাদের সাহস দেখায় বিকল্প অর্থনীতি সম্ভব। দূর্দিনে মুনাফা কমিয়ে ক্রেতাকে টিকিয়ে রাখা ব্যবসায়ী নীতি যদি আমাদের বড় বড় কোম্পানিগুলো চর্চ্চা করে। তবে আমরা অন্য এক বাংলাদেশ পাব।

আমাদের বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে হাজার কোটি টাকার বিল গেট্স পড়ানোর সাথে, একজন পলাশকেও পড়ানো প্রয়োজন। যেন শিক্ষার্থীরা জানতে বিকল্প মানবিক অর্থনীতি ভাবনা অসম্ভব নয়। ক্রেতাকে জিম্মি করে মুনাফা নয়, ক্রেতাকে টিকিয়ে রেখে যে ব্যবসা পলাশ চর্চ্চা করে তাই উদাহরণ হোক আগামীর তরুন ব্যবসায়ীদের।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:





অর্থনীতির কথা বলতে হলে, পলাশ ভালো উদাহরণ নয়; অর্থনীতির জন্য চাকুরী সৃষ্টি, শিল্পায়ন, বেকারত্ব কমানো, কৃষি খামারের উদাাহরণ দেয়ার চেষ্টা করেন।

০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আমার কাছে অর্থনীতি হিসেবে পলাশ উদাহরণ দেশের আর দশটা প্রথম সারির কোম্পানি থেকেও সেরা। তাই তাকে নিয়ে লিখেছি।

২| ০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার অর্থনীতি খিচুড়ির প্লেটে এসে থেমেছে।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩১

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: পলাশদের অবহেলা করা অর্থনীতির অবস্থা খুবই ভয়ানক হয়।

৩| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:




সস্তায় পেয়ে রাস্তার খিচুড়ি বেশী খাবেন না।

৪| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন,




পলাশ বলেছেন, "এখন সময় খারাপ মানুষের কাছে টাকা পয়সা নেই। গরীব মানুষ আমার কাছে আসে। দাম বাড়ালে মানুষ খাবে কি?"
একজন "মানুষ" পলাশ এর স্ব-উৎসারিত অনুভব নিয়ে লেখা। এমন যদি হতো সব ব্যবসায়ীরা!!!!!!!

অর্থনীতি না জানা পলাশের অমন ভাবনা পড়ুয়া / প্রাকটিসিং অর্থনীতিজ্ঞদের ভাবনার অগম্য। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে এমন বোধ থাকেনা! ক্ষুদ্র ঋনের ধারনা যদি বিশ্বব্যাপী সমাদর পেতে পারে তবে পলাশের এই ক্ষুদ্র মানবিক-অর্থনৈতিক বোধও সা্ধুবাদ পাওয়ার কথা।

খুব ভালো লিখেছেন - রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ীদের হাতে গেলে সবার আগে মুনাফা। ..................................পলাশের খিচুড়ির অর্থনীতি আমাদের সাহস দেখায় বিকল্প অর্থনীতি সম্ভব। দূর্দিনে মুনাফা কমিয়ে ক্রেতাকে টিকিয়ে রাখা ব্যবসায়ী নীতি যদি আমাদের বড় বড় কোম্পানিগুলো চর্চ্চা করে তবে আমরা অন্য এক বাংলাদেশ পাব।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩২

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: পলাশরাই উদাহরণ হতে পারে।

৫| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:২২

শায়মা বলেছেন: পলাশের জন্য শুভকামনা।

সমাজে এখনও অনেক ভালো মানুষ আছে। পলাশ তার উদাহরন।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৫

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: পলাশ ভাল ব্যবসার উদাহরণ

৬| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:


১ জন ভিক্ষুকও আপনাকে ১ দিনের আয় দান করতে পারবে; একজন মুদি দোকানদার চাইলে কিছু কমে আপনাকে মালামাল দিতে পারবে; ইহাতে বর্তমান অর্থনীতির কইছু আসবে যাবে না।

বর্তামনা অর্থনীতির সুচক বদলানোর মতো যায়গায় (চাকুরী সৃষ্টি, বেকারত্ব কমানো, কৃষিতে বিনিয়োগ, মানুষের শিক্ষায় বিনিয়োগ, স্বাস্হ্যখাতে বিনিয়োগ ) কাজ করার দরকার।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৪

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: পলাশ কিন্তু লস দেয় না। সে তার মুনাফার লাগাম টেনেছে। দেশের বড় তেল কোম্পানিগুলো লিটার প্রতি ২০ টাকার অধিক মুনাফা করেছে। এ মুনাফা কম করা যেতে পারে

৭| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি পলাশের খিচুড়ি খান; আপনার কোন বেকার বন্ধু থাকলে উহাকে পলাশের ঠিকনা দেন; কিন্তু পলাশের কর্মকান্ডকে "অর্থনীতির বক্তব্যে আনবেন না; আজকের অর্থনীতিতে পলাশ কোন ফ্যাক্টর নয়"।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:০০

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আজকের অর্থনীতিতে পলাশ কেন ফ্যাক্টর নয়?

৮| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৪২

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন:

পলাশরাই আসল ধনি লোক । অতিরিক্ত লাভ এর আশা ছেড়েই দিসে। কোন রকম পোষালেই হল। মাটির মানুষ পলাশের মতো অন্যসব ব্যবসায়ীরা হবেন আদৌ ?
আর অর্থনীতি । এদেশের ভিত্ত-শালীরা আমারই ঢাকাতে থার্সডে নাইট উপভোগ করে কোটি টাকার মদ খায় । অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায়? ঐ প্রতি সপ্তাহে পেট পুরে মদ খেতে পারলে হল।

৯| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:০১

সোনাগাজী বলেছেন:




বেশীরভাগ শিক্ষিতরা পলাশ আর খিচুড়ী নিয়ে থাকাতে, সাইফুর রহমান, মুহিত সাহেব ও কামাল সাহেব বাংগালীদের হাতে মোয়া ধরায়ে দিয়েছে।

১০| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:০৮

বিজন রয় বলেছেন: দুই বছর পরে পোস্ট দিলেন?

এতদিন কই ছিলেন?

১১| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: আজকের অর্থনীতিতে পলাশ কেন ফ্যাক্টর নয়?

-আজকের অর্থনৈতিক ভাবনায় পলাশী মনোভাব কোন ফ্যাক্টর নয়; যেখানে সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে (ম্যানুফেকচারিং, কৃষি ) না, চাকুরী সৃষ্টি হচ্ছে না, কোন বড় স্কেলের সার্ভিস নয়, দীর্মেয়াদী প্ল্যান নয়, সেগুলো অর্থনৈতিক ভাবনা নয়।

১২| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩১

জ্যাকেল বলেছেন: পলাশ'র মত মানুষের কোন বিবেচনা অর্থনীতির জন্য দরকারি না হতে পারে কিন্তু বাগানের প্রত্যেকটা ফুল মরে গেলে ঐ বাগান আর বাগান থাকে না। একজন গার্ডেনারকে সব ফুল'কেই আগলে রাখতে হয়। আমাদের ইকনোমি প্রবাসী কামলাদের পরিশ্রমের কারণেই টিকে আছে। গার্মেন্টস কামলাদের সেকন্ড বড় অবদান। আর চুরি করে সব উড়াইতেছে সো কলড পলিটিশিয়ান, এডভাইজার'রা।

১৩| ০৮ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পলাশ দারুন উদাহরন সৃষ্টি করেছে। ++++

১৪| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


পলাশের খিচুড়ি আমার বাসার কাছেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.