![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
ডাক্তারদের প্রসঙ্গে বলি-
ভালোবাসা থেকে দাবি চলে আসে। আর অভিযোগটা এই দাবি থেকেই জন্ম হয়। ডাক্তারদের নিয়েও অনেক অভিযোগ করেছি। সবের মূলে ঐ ভালোবাসাটাই।
খুলে বলি-
ডাক্তারদের চেম্বারের, ডিউটির নির্দিষ্ট সময় থাকে। কিন্তু রোগ, বালাইয়ের নির্দিষ্ট কোন সময় থাকে না। তাই ডাক্তারদের সবসময়ই ব্যস্ত থাকতে হয়। ওভার ডিউটিতে অথবা ওভার ফোনে তাদের সমসময় অসুস্থ মানুষের পাশে থাকতে হয় (এই ফাঁকে বাংলা একটা মজার বানান বলে রাখি , সাস্থ্য লেখতে য-ফলা আছে, সুস্থ লেখতে নাই)।
যন্ত্র একটা নষ্ট হলে একটু পরে ঠিক করলেও হয়। কিন্তু মানুষের পাশে সময়মত ডাক্তার না থাকলে হয়ত মৃত্যু অনিবার্য। অভিযোগ, অনুযোগ পর্যায়ে আজ আর যাবো না। ডাক্তার বন্ধুদের দুইটা সুইট ঘটনা লিখবো আজ।
ঘটনা প্রথম:
আমার ব্যস্ত বন্ধু ডাক্তার অসীম। ...ইশটাকে যখনই ফোন দেই, তখনই হয় রুগী দেখে না হয় ক্লাসে থাকে। তাই পার্সোনাল সমস্যার কথা খুব একটা ওকে বলি না। আমাদের বাবু হওয়া ঠিক সপ্তাহ খানেক আগে হঠাৎ করে বউয়ের কাশের সাথে রক্ত গেলো একটু। ভয় পেয়ে গেলাম, ডাক্তার দেখালাম। ডাক্তার বল্লো ঘটনা কিছুই না, ভয় পাবার মত কিছু না। ঔষধও লাগবে না। কিন্তু ডিটেইলস জানার জন্য অসীমকে ফোন দিলাম। সে ডিটেইলস্ বুঝায়ে বল্লো। আমি পরে তাকে আপডেট আর দেই নাই। হুট করে দুই দিন পর সে নিজে ফোন দিয়ে আমাকে বকাঝকা শুরু করলো, কেন তাকে আপডেট দেইনি। এত ব্যস্ততার মধ্যেও তার মনে ছিলো!
ঘটনা দুই:
এবার ডাক্তারের নাম বলবো না। অনেক দূরের ডিস্ট্রিক থেকে ভদ্রলোক এসে আমার বাবুটাকে দেখে গেলেন। এতটুকুতেই শেষ হলে ভালো হতো। তিনি এমন একটা গিফট নিয়ে এসেছেন যা বাবু হলে পরিবারের লোকজনও সাধারণত দেয় না। এর কোন মানে হয়! এই মনিহার আমায় নাহি সাজে ...
থুক্কু ঘটনা আর অর্ধেকটা বড় করি প্লিজ।
নাহ থাক, এমন বড় মনের ডাক্তারদের অভাব নাই। অভাব না থাকুক, এমনটাইতো দরকার। আরে শরৎচন্দ্রইতো বলে গেছেন - এই বাংলার ঘরে ঘরে এত এত মা বোনের স্নেহ, সাধ্য কি তার পাশ কাটায়ে যাই। শরৎবাবু ডাক্তারদের কথা মাথায় রাখলে মা,বোনের সাথে বাপ,ভাইটাও হয়ত যুক্ত করে দিতেন ।
©somewhere in net ltd.