নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিঙ্গাপুর কতটা দূর...

২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

সিঙ্গাপুর কতটা দূর...

পথের দূর বলছি না। পথের দূর মাপা গুগুল মেপে দুইটা ক্লিক মাত্র। বলছি আমাদের দেশটা যতদূর এগিয়েছে তারচেয়ে কতদূর সিঙ্গাপুর এগিয়েছে এই কথা।



সিঙ্গাপুর নিয়ে মানুষের কমন কতগুলো কথা হলো-

১) সিঙ্গাপুরের রাস্তাঘাট এত পরিস্কার যে পথের ধারে বসে ভাত খাওয়া যায়। কথা কিছুটা সত্যা। তবে এমন পরিস্কার রাস্তা তো আমাদেরও আছে! ঢাকা এয়ারপোর্ট রোডটা কিছুতেই সিঙ্গাপুরের রাস্তার চেয়ে খারাপ কিছু না।



২) রাস্তায় থুতু ফেল্লেও জরিমানা দিতে হয়। কচু কথা। জরিমানাটা করবে টা কে? পুলিশতো রাস্তাঘাটে তেমন দেখাই যায়না। তবে হ্যাঁ পুলিশের সামনে থুতু ফেল্লে হয়ত জরিমানা দিতে হয়। মজার কথা হলো, আইনটা সবাই মানে। ভিনদেশ থেকে আসা মানুষজন থুতু টুতু ফেলে টুকটাক।



৩) পাবলিক স্পেসে সিগারেট খাওয়া নিষেধ। মোটেও তা না। প্রায় প্রত্যেকটা জায়গাতেই হলুদ মার্ক করা কিছু জায়গা থাকে। এমনকি পাশাপাশে কোন রেষ্টুরেন্ট এ অনেক গুলো বেঞ্চ থাকলেও পাশে কয়েকটা বেঞ্চ থাকে হলুদ মার্ক করা এরিয়াতে। এখানে সিগারেট খাওয়া যায়।



৪) রাস্তাঘাটে মানুষ পারাপারেরও সিগনাল সাইন আছে। খুব তাড়া থাকলে সিগনাল ছাড়াই মানুষজন হুটহাট রাস্তা ক্রস কর। তবে খুবই নগন্য। কিন্তু পথচারী পারাপারের সিগনাল জ্বলে ওঠলে কোন গাড়ী তা অমান্য করে না। মোটের উপর আইনটা তারা মেনে চলে।



৫) সিঙ্গাপুরে দোকান থেকে কোন কিছু চুরি করা যায়না। বোগাস কথা। চুরি ঠেকাতে হলে আরএফ আইডি ব্যবহার করতে হয়। ছোটখাটো দামের প্রোডাক্টে আরএফ আইডি লাগাতে গেলে খাজনার চাইতে বাজনার দাম বেশী হয়ে যাবে। তাই চুরি ঠেকাতে এরা সহজ একটা বুদ্ধি করেছে। একটু মূল্যবান জিনিসগুলো হাতে নেওয়ার আগে এর দাম কাউন্টারে গিয়ে দিয়ে আসতে হয়। এর পর পণ্য হাতে পাওয়া যায়। এখন আপনি অন্যকিছু ঘুরে ঘুরে ট্রলিতে নিয়ে সপিং করেন। নো ইস্যু।



৬) সিঙ্গাপুরে বাসজার্ন খুবই আরামদায়ক। বিশ্বাস করেন এই সিস্টেম যদি বাংলাদেশে হয় তাহলে পাবলিক আস্ত গাড়ি মাথায় তুইল্লা আছাড় দিয়া ভাঙ্গবে। কারন গাড়ির জন্য চল্লিশ পঞ্চাশ মিনিটও ওয়েট করতে হয়। এরপর দেখা গেলো বাসে তিল ধারনের জায়গা নাই। সো, ওয়েট ফর এনাদার আওয়ার। আর বাসের কার্ড করা না থাকলে আপনি মাঠে মারা পড়েছেন মনে করবেন। ভাড়া যদি হয় দেড় ডলার আর আপনার পকেটে আছে ১.৪৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ ডলারের নোট। তাহলে সো সেক্রিফাই। পাঁচ পয়সা কম নিবে না। অথচ আপনার পঞ্চাশ ডলারের নোটটাই ড্রাইভারের পাশে কাউন্টারে ফেলে দিতে হবে। নো ফেরত।



বাপরে...অনেক বড় হয়ে গেছে লেখা। আজকের মত থাক :)



তবে সারাংশ যদি টানি। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর খুব একটা বেশী দূরে যে তা না। সরকারের মূল কাজের মধ্যে একটা কাজ ইনক্লুড করতে হবে। তা হলো, পাবলিক এওয়ারনেস। দরকার হলে, সরকারী খাতের টাকা খরচ করে সারা বছর সচেতনতা মূলক বিজ্ঞাপন দেওয়া হোক টিভি, রেডিও, পত্রিকা, বিলবোর্ড ইত্যাদিতে।



ভেবে দেখুন, সিঙ্গাপুরের বেশীরভাগ ওয়ার্কারই মনে হয় বাংলাদেশী। তার মানেটা কি? তার মানে হলো আমরাই সিঙ্গাপুরকে তৈরী করেছি। রাস্তাঘাট, বিল্ডিং সবই আমাদেরই করা। যারা সামান্য কয়টা টাকার বিনিময়ে অন্যের দেশ গড়ে দিয়ে আসতে পারে। তারা নিজের দেশ গড়তে পারবে না!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আসলেই তো ।
শেষ কথা গুলো মনে ধরলো ।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অন্যের দেশে গিয়ে নিয়ম মেনে চলা এক জিনিশ আর নিজদেশে নিয়ম মেনে কষ্ট করে নিজ দেশ গড়া আরেক জিনিশ ,

হবে না আমাদের কিছুই ঐ রকম যত দিন না এক জন আরেক জনকে সম্মান করতে শিখবে !!!!!!!!!!!

২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

সুখী মানুষ বলেছেন: যদি মোমিন হও নিরাশ হয়ো না :)
আসুন না, আমি আপনিই সম্মানটা করা শুরু করি...

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভেবে দেখুন, সিঙ্গাপুরের বেশীরভাগ ওয়ার্কারই মনে হয় বাংলাদেশী। তার মানেটা কি? তার মানে হলো আমরাই সিঙ্গাপুরকে তৈরী করেছি। রাস্তাঘাট, বিল্ডিং সবই আমাদেরই করা। যারা সামান্য কয়টা টাকার বিনিময়ে অন্যের দেশ গড়ে দিয়ে আসতে পারে। তারা নিজের দেশ গড়তে পারবে না!



সমস্যা তো আসলে যারা আমাদের মাথার উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন তাদের। দেশকে ঠিক পথে নেবার ইচ্ছা থাকলে এতদিনে বাংলাদেশও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া হতে পারতো।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

শুঁটকি মাছ বলেছেন: শেষের কথা গুলো ভালো লাগল!
পোস্টে প্লাস

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: এর চেয়ে পরিচ্ছন্ন দেশ আর হয়না। বাসে উঠতে শুধু কার্ড টাচ করলেই হয়, নগদ টাকা-পয়সা লেনদেনের বালাই নেই। একই কার্ড ট্রেনে উঠতেও কাজে দেবে। প্রতি ৩ মিনিট পর পর ট্রেন আছে, বাসে উঠার সময়ই নেই। কোথাও যানজট দেখিনি।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪১

বোকামানুষ বলেছেন: শেষের কথাগুলো দারুণ লাগলো

আসলেই সিঙ্গাপুর খুব বেশি দূরে না যদি আমরা সবাই মিলে কাজ করতাম

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

এেলােমেলা সব বলেছেন: যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা প্রশ্ন, আপনি কি আজ রাজশাহী থেকে সাগরদাড়ী ট্রেনে উঠেছিলেন?

২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

সুখী মানুষ বলেছেন: নাহ ভাই আমি সেই জন নই।
আমার মত কাউকে দেখেছিলেন কি?
দেখা যার সাথেই হোক, আমার মত দেখতে হলে জিজ্ঞাসা করলেই পারতেন - ভাই, আপনি কি সুখীমানুষ?
উনি যদি সুখী হতেন তবে হয়ত বলতেই পারতেন হ্যাঁ আমি সুখীমানুষ। আই ডোন্ট মাইন্ড। জগতের সবাই সুখী হোক...

৮| ২৫ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪

এেলােমেলা সব বলেছেন: হ্যা ভাই আপনার পো পিকের মতোই দেখতে ছিলেন উনি, উনি সিংগাপুর থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.