![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
ঈদ রিলেটেড একটা কথা বলবো। কিন্তু তার আগে একটা ছোট্ট ভনিতা করে নেই -
"ছোটলোক" শব্দটার ধার দিনে দিনে কমতে কমতে এখন এইটা একটা সুইট গালি হয়ে গেছে। বন্ধুদেরকে আদর করে আজকাল বলতে শুনা যায়
'তুই এত ছোটলোক কেন বলতো! ৫০০ ধার চাইলাম আর ৫০০ ই দিলি! একটু বিবেচনা কইরা দেখবি না যে বিপদে আছি? দে কোনার ঐ নোটটাও দে...'
তার মানে টা কি? মানে হলো, এভরিথিং ইজ চেঞ্জিং, চেঞ্জিং ফর গুড। আসলেইতো ছোটলোক, বড়লোক নাইতো। যা আছে তা হলো কম ইনকাম করা লোক আর বেশী ইনকাম করা লোক। মানুষ হিসাবে আমরা সবাই সমান।
ভনিতা শেষ, এবার মুদ্দা কথায় আসি। সামনে ঈদ, রবি সুন্দর একটা আ্যাড দিচ্ছে। রিচার্জ করলেই তারা এর একটা অংশ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের (দেখুন গরীব বলে নাই, ভাবনাগুলো কত সুন্দর হয়ে যাচ্ছে দিনকেদিন) ঈদের জামা কিনতে খরচ করবে। ধনাদের অনেকেই হয়ত লোক দেখানোর জন্য হলেও কিছু না কিছু খরচ করবে। লোকদেখানোর ফাঁকে কয়েকজন হলেও সুবিধাটা পাবে।
আমার প্রস্তাবটা হলো। আমার আপনার ধারে কাছেই হয়তো কোন না কোন বন্ধু, আত্মীয় আছে যারা খুব ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে না। তারাও সুবিধাবঞ্চিত। কিন্তু বলবে না এই কথা। শুধু একটু চোখটা খুলে দেখুন, ঠিকই পেয়ে যাবেন। হয়ত তুমুক খালাতো ভাইয়ের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ধরলাম সংসারে সবার জন্য জামা কাপড় কিনতে পারবেন না। ধরলাম একজনের জন্যও জামা কাপড় কিনতে পারবেন না। একটা জিনিস কিন্তু পারবেন। দুই প্যাকেট সেমাই, এক লিটার দুধ, বাচ্চা থাকলে চকলেটের একটা ব্ক্স এইসব কিনে একটা সুন্দর ব্যাগে করে হাসতে হাসতে গিয়ে দিয়ে আসুন।
ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া আমরা একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু দেখি না। কাছের সুবিধাবঞ্চিতদের দেখলে দূরের মানুষ এসে দেখে দিতে হবে না। আসুন না কাছের মানুষগুলোর পাশে দাড়াই। পরীক্ষিত এবং প্রমানীত একটা সত্য বলি, এতে করে আপনি নিজেকে আরো বেশী শ্রদ্ধা করতে পারবেন। আর একটু বেশী সুখী মনে করবেন নিজেকে। কি হবেন সুখী এই ঈদে?
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
অতঃপর জাহিদ বলেছেন: নিজের জামাকাপড় নিজেই কিনতে পারি না সুবিধা বঞ্চিত দের কেমনে দেখবো!
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। এমন হলে ভাল হতো ।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
রাজিব বলেছেন: সমস্যা একটাই। আমরা স্বার্থ ছাড়া চিন্তা করতে পারিনা। গরীবকে দিলে সওয়াব হবে এটা সবাই জানে এবং মানে। খালাতো ভাইকে দিলে কি লাভ হবে? না এটা আমার কথা নয়- অনেকেই তা মনে করে। তাই রিকশা ওয়ালা ৫ টাকা বেশি চাইলে তা নিয়ে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়াতে পারে যদিও সে অনেক কষ্ট করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শীতে কেঁপে আপনাকে নিয়ে যাচ্ছে।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
সরল মেয়ে বলেছেন: মানুষ আসলেই বিচিত্র প্রাণী। চোখের সামনের কিছুই দেখতে পায় না। আগে ঘর, তবে পর। আত্মীয়-স্বজনের সাধ্যে না থাকলে তাদের দিয়ে তারপরে তো অন্যদের দেয়া। কিন্তু লোকদেখানোর ফ্যাশনে অনেক বড়লোকেরাই সেটা করে না। বরং গরীব আত্মোয়-স্বজন থাকলে পরিচয় দিতেও লজ্জাবোধ করে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। এমন অনেকে আছেন, যারা লজ্জায় মুখ ফুটে তাদের অভাবের কথা বলতে পারেনা। কাছের এই মানুষগুলোকেই সাহায্য করা উচিৎ।
ধন্যবাদ, সুখী মানুষ।