![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
সুন্দরী এক আপু'র পিছনে বহুদিন ঘুরে একটা বিদ্যা শিখেছিলাম ছোটবেলায়। পিঠা নষ্ট করার যাদু-বিদ্যা। কসম টসম কেটে, চোখ বন্ধ করে, হাতে হাতে ধরে ধ্যানে বসে তবেই এই বিদ্যা শিখতে হয়েছে। অতএব এই বিদ্যা ছোট বিদ্যা হওয়ার কথা না।
মা আমার এই বিদ্যার যন্ত্রনায় অতিষ্ট ছিলেন। পিঠা বানানোর সময় ভুজুং ভাজুং দিয়ে আমাকে দূরে সরায়ে দিতেন। ভুজুং ভাজুং এর নমুনা দেই।
-বাবু যা তো পুকুর পাড় গিয়া বইসা থাক্, বাতাসের দিক বদলাইলে মা'রে আইসা জানাইস্।
এর পরেও মা'র পিঠা নষ্ট হ'তো। তখন মা'র কাছে আমার পিঠা নষ্ট করার দোয়ার ক্ষমতা আরো বেড়ে যেত। বহুদিন মাইর মাইর ভাব খেত হয়েছে। শেষমেষ মাইরটা খেতে হয় নাই কোনদিন। তবে নষ্ঠ পিঠা খেতে হয়েছে। শাস্তি স্বরূপ না। নষ্ঠ পিঠা খেলে বিদ্যার ক্ষমতা হ্রাস পাবে এই আশায়। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ঘটনা আসলে নষ্ট করার দোয়া টোয়া কিছুনা। দেশের বাড়ীর পিঠার সাইজ হয় অনেক বড়। হোক সে ভাপা পিঠা বা অন্য কোন পিঠা। জন প্রতি একটাই যথেষ্ঠ। অতএব পিঠা নষ্টের দোয়ার টেনশানে হয়ত একটু আগে তুলে ফেল্লো তো কাঁচা থেকে গেলো। একটু দেরী করে তুল্লো তো পুড়ে গেলো।
এখন বড়বেলায় তো বুঝি, পিঠা নষ্টের বিদ্যা টিদ্যা কিচ্ছু না। এরপরেও মন্ত্রটা বড় ছন্দময় ছিলো তাই বলতে খুব ইচ্ছা করছে। কিন্তু ওস্তাদের কসম বলে কথা। তবে হ্যাঁ ওস্তাদের মত এমন সুন্দরী যদি কেউ এই বিদ্যা শিখতে চায় তো বিদ্যা ফেরত দেওয়া ভেবে তা শিখায়ে দিলে মনে হয় মন্দ হয়না।
(বউয়ের জন্য আফসোস, স্বামীর বিদ্যা বউয়ের জন্য কাজ করেনা)
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
মদন বলেছেন:
++++++++++++++