![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
- ঐ ইয়ে মানে হইছে কি শুনো, কিউট দুইটা খরগোশের বাচ্চা পাইছি খুব সস্তায়। খাঁচা সহ ৫০০ টাকা অনলি, আনবো?
- খবরদার জন্তু জানোয়ার নিয়া আমার ঘরে ঢুকবানা।
- কি বলো এইসব! জন্তু জানোয়ার হবে কেন? শাদা শফেদ দুইটা বাচ্চা।
- তোমারে শফেদ বাচ্চা আনতে তো কেউ মানা করে নাই। শুধু ঘরে ঢুকতে মানা করছি।
গিনিপিগের এত নাম শুনি। দেখতে যে এইটা ইঁদুরের মত তা কোনদিন খেয়াল করি নাই বই পুস্তকে। মানুষের সাথে তার শরীরের অনেক মিল। তাই মানুষের শরীরে পরীক্ষণীয় কোন ঔষধ পুষ করার আগে তা গিনিপিগে পুষ করে টেষ্ট করা হয়। হাজারে বিজারে গিনিপিগ প্রতিনিয়ত জীবন বিষর্জন দিচ্ছে মানুষের উপকারের কারনে। এমন একটা গিনিপগ কার না কিনতে ইচ্ছা করে? মানুষ হিসাবে আমাদের অবশ্য কর্তব্য হলো এই গিনিপিগ পুষে তাকে সেবা করা, সকাল বিকাল কুর্ণিশ করা। এমন একটা গিনিপিগও পুষার পার্মিশানও পাচ্ছি না।
ভার্সিটিতে যখন পড়ি তখন কচ্ছপ পালতাম। দুইটা কচ্ছপ ছিলো আমার। একটার নাম দুষ্ট রেখেছিলাম। অন্যটার নামং পুংটা। কচ্ছপ কি এত হাগা হাগে! মা গো মা, আ্যাকুরিয়াম পরিস্কার করতে করতে যখন আমার জান যায় যায় অবস্থা। তখন দুষ্ট পুংটাই আমাকে বাঁচালো। একদিন বাসায় এসে দেখি খোঁড়ায়ে খোঁড়ায়ে হাটছে এরা। আপা বল্লো
- এগুলো মরে যাবে, যা ছেড়ে দিয়ে আয়।
- মরে যাবে কিরে! কচ্ছপতো ৫০০ বছর বাঁচে!
- এদের পরিবেশে বাঁচে, আ্যাকুরিয়ামে না।
যুক্তি অকাট্য তাই ছেড়ে দিবো ঠিক করলাম। কচ্ছপরা প্রকৃতিতে সুন্দর, গোল্ডফিসেরা আ্যকুরিয়ামে। কিন্তু কচ্ছপগুলোকে যখন ঝিলের পাড় ছেড়ে দিলাম এরা কয়েক হর্স পাওয়ার গতিতে নিমিষেই নাই হয়ে গোলো। ধোকা হোয়াহে মেরে সাথ, অনেক বড় ধোকা।
এক ষ্টেপ আগে যাই। যখন কলেজে পড়তাম, তখন পিপঁড়া পুষতাম। জানালার পাশে একদিন দেখি পিপঁড়ার লাইন। একটু চানাচুড় দিলাম। লাইনটা আরো বড়ো হলো। বছরখানেক নিয়মতি খাদ্য দিয়ে আমি পিপঁড়া পুষেছি। পিপঁড়ার বিশাল বাসা হয়েছে। এদের মধ্যে সব পিপঁড়াই দেখতে প্রায় একই রকম। শুধু বড় মাথার একটা লাল পিপঁড়াকে বড় আলাদা করে আপন মনে হতো। কে জানে একটাই ছিলো এমন নাকি একটা একটা করেই প্রতিদিন বড় মাথার পিপঁড়া উপরে ওঠে আসতো। আচ্ছা এরা কি এই নিষ্ঠূর দুনিয়ায় নিয়মিত খাওয়া পেয়ে বুঝতো যে একজন অসীম মমতায় তাদেরকে এই খাওয়াটা খাওয়াচ্ছে? প্রকৃতির কোন প্রণীর কী ক্ষমতা তা সাইজ দেখে আন্দাজ করা যায় না। ভূমিকম্প হওয়ার মাসখানেক আগে এই পিপঁড়ারাই টের পায়। এরা অস্বাভাবিক ছোটাছোটি করে। আধুনিক কালে পিপঁড়ার গতিবিধি দেখে অনেক কিছু প্রিডিক্ট করা যায়। অবশ্য, হয়ত লাল পিপঁড়াটা দেখতেই আসতো প্রতিদন আমাকে।
-০-
অবশেষে: কোনকিছু পোষা আমার কাছে খুব গুরুত্বের। কারন কী জানেন? ধরেন একটা মানুষ যদি গোল্ড ফিস পুষে তাহলে তার মাথায় লালন পালনের একটা দায়িত্ববোধ চলে আসে। দূরে কোথাও গেলেও বাসায় কাউকে ফোন করে রিকোয়েষ্ট করে বলে
-আজ মাছের খাওয়া দিতে ভুলে গেছি, একটু খাওয়াটা দিয়ে দাও।
আবার সতর্ক করে এইটাও বলে
-এই দানা কিন্তু ৫ টার বেশী দিও না, গোল্ড ফিসের স্মৃতিশক্তি কয়েক সেকেন্ড থাকে। এরা খেয়েছি কিনা তা ও ভুলে যায়। পরে বেশী খেয়ে পেট ফুলে মরে যাবে।
অর্থাৎ একটা দায়িত্ববোধ, মমতাবোধ চলে আসে। আর মমতা, দায়িত্ব এগুলো হচ্ছে বটের বীজের মত। আকারে ছোট হলে কি হবে। একবার যদি মনে গেঁথে যেতে পারে তবে মহীরূহ হয়ে তা অন্তর ছেয়ে ফেলে। আর মায়াময় অন্তরের আমাদের বড়ই অভাব। ক্ষতি কি যদি পোষা প্রাণী পুষে এই অভাব আমাদের দূর হয়।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
মকসুদ মনি বলেছেন: 'ক্ষতি কি যদি পোষা প্রাণী পুষে এই অভাব আমাদের দূর হয়'----কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু প্রাণী পুষেই মনে মমত্ব তৈরি হয় নাকি মমত্ব থাকে বলেই ভালবেসে প্রাণী পুষা যায়? সেইটাই তো বুজতাছি না।
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
সুখী মানুষ বলেছেন: মমতা যার অন্তরে তারে নিয়ে কোন কথা নাই। কিন্তু পুষে যে মমতা বৃদ্ধি পায় তা মনে হয় ঠিক।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
মকসুদ মনি বলেছেন: যেভাবেই বৃদ্ধি পাই পাক। মমতাটাই হইল আসল কথা। মমতার ছায়ায় ঢাকা থাক সব বসত বাড়ী। মমতার ঘর বাড়ীতে ভরে যাক পৃথীবি।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
শাহীনএখন বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা লেখা।