![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
ছোটবেলায় একটা দা এর শখ ছিলো।
বটি দা টাইপের দা না। কাঠের আছার ওয়ালা দা। কৃষ্ণধন নামের কামারের কাছ থেকে আব্বা একটা দা বানিয়ে দিলেন। স্কুলে বসে থাকি, মন পড়ে থাকে দা এ। বাড়ী ফিরেই দা হাতে নিয়ে ওঠানের এমাথা ওমাথা ঘুরে বেড়াই। আমার দাদী বলতেন
- কচু কাটতে কাটতে মানুষ কাটা শিখে
- বুবু আমিতো কচু কাটিনা
- আরে এইডা তো কথার কথা
- বুবু, কথার কথা তো নাকি বাজেকথা। তুমি বাজে কথা কইবা কেন?
- কি আমি বাজে কথা কই? তোর বাপ আইজ আসুক...
এই দা দিয়ে আমার কিছুই কাটা হয় নাই। ভয় ছিলো যদি কোন দিন ভুলেও কচু কেটে ফেলি!
ছোটছোট কবিতা লেখতাম একসময়। এক সুন্দরী কন্যা নাকি আমাকে ভালোবাসতে গিয়েও বাসে নাই কারন আমি কবিতা লেখি। অতএব কবিতা লেখা প্রায় বন্ধই করে দিলাম। কেউ এতে কষ্ট পায়নি। কারন কোন পাঠকই আমার ছিলো না।
কোথায় যেন পড়লাম, শরৎচন্দ্রের বই যে পরিমানে বিক্রি হতো তার অর্ধেকের অর্ধেকও রবীন্দ্রনাথের বই বিক্রি হতোনা। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত মেধাবীদের জন্য। যার দুই লাইন ব্যাখা করার জন্য পরীক্ষায় নাম্বারও দেওয়া হয়। আর শরৎচন্দ্র হলেন, আমজনতার জন্য। যার দেবদাস না পড়েও মানুষজন খোটা দেয়, কি রে দেবদাস হইলি মনে হয়?
একটা সময় ছোট ছোট করে প্রতিদিনের কথাবার্তাগুলো ষ্টেটাসে দিতে শুরু করলাম। গল্প না ঠিক, যা দেখি, যা ভাবি তাই লিখি। এবার দেখলাম বন্ধুরা এট লিষ্ট পড়ছে। আমার পাঠক তৈরী হয়নি। বন্ধুরাই দুই একজন পুরাটা না পড়লেও হালকা করে চোখ বুলাচ্ছে। নবীন লেখক তাই তাদেরকেই পাঠক বলে ধরে নিয়ে খুশি হচ্ছি।
আজকের একটা উদাহরণ দেই।
বন্ধু হাম্মাদ আলীর বিয়ে থেকে মাত্রই বাসায় ফিরলাম। হাম্মাদের মা বিয়ের ব্যস্ততার ফাঁকে আমার কাছে এসে বল্লেন
-বাপ তোমার লেখাগুলো আমি পড়ি। মা রিলেটেড লেখাগুলো ওত সুন্দর করে তুমি কিভাবে লেখো!
আমি বিনয়ে, খুশিতে আবেগাপ্লুত হয়ে গেলাম। পাঠক হিসাবে খালাম্মা আমার স্মৃতিতে প্রথম হয়ে থাকবেন। আমার শুরুটা অন্তত একজন রুচিশীল, সুশিক্ষিত, শ্রদ্ধেয় গুরুজন দিয়ে শুরু হলো।
কয়েক মাসের বাচ্চা নতুন নতুন উল্টানি খেতে শিখলে মা বাবা বারবার চেয়ে থাকে। কখন উল্টাবে এই আশায়। বিষয়টা ঠিক উল্টে গেলে ঠিক করে দিবে তা না। বিষয়টা হলো নতুন একটা জিনিস বাচ্চাটা শিখেছে তা একটু দেখা, আনন্দ নিয়ে দেখা। আমার হয়েছে এই অবস্থা। একটা ষ্টেটাস দেওয়ার পর কিছুক্ষণ পরপর খেয়াল করি, কেউ কি লাইক দিলো? কেউ কি একটা কমেন্ট করলো? বড় মানুষগুলোও কিন্তু অনেকটা এমন হন। আমি যতদূর জানি, আবেদ ভাইয়ের মত বড় মানুষও সকাল বেলা নিজের লেখাটা পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পর পড়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকেন। অথচ তিনি রাতে বাসায় যাওয়ার সময়ও ফাইনাল প্রুফ দেখে গেছেন এই লেখার।
আমি পজিটিভ সাইকোলজির মানুষ। কোন কিছুই নেগেটিভলি ভাবতে ইচ্ছা করেনা। আর আমার লেখালেখির মূল উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে, আমার সুন্দর ভাবনাগুলো অন্যদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া। কারো মনে কষ্ট না দিয়েও যে মজা করা যায় তা ছড়িয়ে দেওয়া। পজেটিভ চিন্তায়, নর্ভেজাল মজায় সমাজে একটা গ্রুপ তৈরী হোক। কেউ চরম মন্দের মধ্যেও পজেটিভ খোঁজে পেলে তাকে অন্যরা অরুণীয় ভাবনা ভাবছে বলুক। আমি যেন হই সুন্দর চিন্তর, পজেটিভ চিন্তার মশালধারী লেখক।
ফেসবুকে বন্ধুদের বাছাই করে আগে আ্যাড করতাম। এখন মনে হচ্ছে হোক না, বন্ধুই তো হতে চাচ্ছে। আর আড়ালে একটা ভাবনা থাকে, যাক এর মধ্যেও হয়ত একজন পাঠক পাওয়া যাবে। তাই আমার কোন লেখায় যদি কোন অযাচিত মন্তব্য কেউ খেয়াল করেন প্লিজ রাগ করবেন না। আমাকে ইনবক্স করে জানিয়ে দিন। আমি ঐ বন্ধুকে মন্তব্য পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করবো। আর আমার বন্ধু সার্কেলের অনেককেই এখন আমি ভালোভাবে আমি চিনি না। তাই আমার বন্ধুদের মধ্যে মন্তব্যের মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি হলে যেন তা অবশ্যই সহজে সমাধান হয়। এই অনুরোধ রইলো।
দা এর কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম। কচু কাটার ভয়ে দা দিয়ে কোনদিন কোন কিছু কাটিনি। পাছে কচু কাটতে কাটতে মানুষ কাটা শুরু করে দেই এই ভয়ে। এখন মনে হচ্ছে ষ্টেটাস লেখতে লেখতেও একটা উপন্যাস হয়ে যেতে পারে। এখন ষ্টেটাস লেখাটা বন্ধ করতে চাই না। দেখি না মরে যাওয়ার আগে অসীম সময়গ্রন্থিতে একটা নুড়ি ফেলে যেতে পারি কি না।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সরি ( পড়ে ) বানানটা অনেক বার চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারলাম না ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
সুখী মানুষ বলেছেন: বানানে কি আসে যায়? আপনি পড়লেন মানে আমার ভাবনাগুলো ঢুকে গেলো আপনার মাথায়। ভালো হলে তা কর্মে লেগে যাবে আনমনেই। রং যেন মোর মর্মে লাগে, রং যেন মোর কর্মে লাগে। রবীন্দ্রনাথের এই রং যেন ছড়িয়ে যেতে পারি এই আশীর্বাদ চাইবো।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
সুমন কর বলেছেন: সুন্দর গোছানো লেখা। পড়ে ভাল লাগল।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
সুখী মানুষ বলেছেন: যান অটোগ্রাফ দিয়ে দিলাম
সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাই।
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো +++
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখাটা পড়ে ভাল লাগল +++
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: লেখককে অনেক ধন্যবাদ ,পাঠক কে ধরে রাখার যাদু আছে আপনার লেখায় ।এ কটা গানের কলি মনে পডে গেল " অনেক কথা যাও গো বলে কোন কথা টি না বলে "। ভাল থাকুন সব সময় ।