![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
আমার বাসায় একটা অলিখিত নিয়ম আছে।
লিখিত না হলেও নিয়মটা আমার মৌখিক নির্দেশে অবশ্য-মান্য।
নির্দেশটা কাজের বুয়া কেন্দ্রীক।
১) বুয়ার সাথে যদি তার ছেলেমেয়ে কেউ থাকে তাহলে যেন তাকে টিভি'র রিমোট দিয়ে দেওয়া হয় ইচ্ছামত টিভি দেখার জন্য।
২) ঘরে বিস্কিট, চানাচুর যাই থাকুক বুয়াকে বা তার সাথে আসা বাচ্চাকে যেন দেওয়া হয়।
৩) বুয়া সপ্তাহে দুই একদিন না আসলে যেন তা বুয়ার ডে-অফ হিসাবে কাউন্ট করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী চলে আসছে। একদিন সকাল বেলা দেখি বুয়ার বছর তিনেকের বাবুটা টিভি দেখছে। টিভি দেখায় বেশ আয়েশী একটা ভাব আছে। পায়ের উপর পা তুলে, সোফায় হেলান দিয়ে বসে, হাতে রিমোট নিয়ে বসে টিভি দেখা। খুব মায়া লগলো। সাথে সাথে দুইটা জিনিস মাথায় আসলো। এক, ফ্রি একটা বেবি কেয়ার সেন্টার করার যদি আমার তৌফিক থাকতো। দুই, আমার আদরে বাচ্চাটা তার মায়ের প্রফেশানের জন্য হুমকি হয়ে যাচ্ছে না তো আবার? হয়ত অন্য কোন বাসায় গিয়ে সে টিভি দেখার জন্য বায়না ধরলো, তখন? জিজ্ঞাসা করলাম
- খালা, আপনার ছেলেটা অন্য বাসায় গিয়েও কি এমন চুপচাপ থাকে?
- হ খালু
নাহ, প্রশ্নটা ঠিকমত করতে পারলাম না। কিন্তু আমি তো উনাকে এউ প্রশ্নও করতে পারি না যে অন্য বাসায় গিয়েও সে এমন করে সোফায় বসে টিভি দেখতে চায় কি না। খালা একটু পর নিজে থেকেই বল্লেন
- খালু অন্য বাসায়তো ওরে নিয়া গেলে কেউ পছন্দ করে না। দরজার পাশে বসাইয়া রাখি।
মনটা খারাপ হয়ে গেলো, সত্যি সত্যি খারাপ। এতটুকুন একটা ছেলে! ওর তো এই বয়সে বোঝারই কথা না কোন সুবিধাটা তার জন্য আর কোনটা তার জন্য না। এই বয়সটাতে দুনিয়ার সবকিছুই নিজের মনে হয়। দীর্ঘ নয় বছর পর এই একটি মাত্র সন্তান এই মহিলার। এই প্রাণের টুকরাটাকে বস্তিতে ফেলে আসতেও তিনি পারেন না। তাই এই মানিককে সাথে সাথে নিয়ে তিনি ঘুরেন।
বাসা থেকে যাবার সময় তিনি সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বল্লেন
- খালু, গ্যাদা আমারে কয়, মা এই বাসার কাজ কোনদিন ছাইরো না।
আমি মনে মনে বল্লাম, ব্যাটারে তোর মায়ের যেন কোন বাসাতেই আর কাজ করতে না হয় এই দোয়া করি।
-০-
গত লেখায় উপদেশ দিয়েছিলাম। লক্ষ উপদেশের চাইতে নাকি একটা উদাহরণ বেশী কাজের। তাই উদাহরণ দিলাম। শিশুদের যেন কোথাও কোন অবহেলা না হয় প্লিজ। পরবর্তী জেনারেশনটা গড়ে উঠুক পরম মমতায়। এই শিশুরা বড় হয়ে মমতা দিয়েই সব সমাধান করবে। দেশটাকে ভরিয়ে দিবে পেয়ে আসা মমতারও অধিক মমতায়।
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৪
সাইফুর রহমান(সাইফ) বলেছেন: আপনার লেখা ও মানসিকতা দুটোই ভালো লেগেছে। সম্ভাবত সুখী মানুষ হওয়ার রহস্য আপনার লেখার মধ্যেই রয়েছে।
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৫
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: Aami kono MP/minister holay apnake poroshkrito kortam ekhon e...u will get reward from Allmighty at the day of Judgement In-sha-allah. R bloggerder valobasha to pachhchen ee.
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৩
মনিরুল হাসান বলেছেন: উদাহরণটা বেশি পছন্দ হলো না। যার পান্তা খেয়ে অভ্যাস, তাকে পান্তা খেতে দিলে তার কাছে খেতে খারাপ লাগবে না। কিন্তু যার পোলাও খেয়ে অভ্যাস, তাকে পান্তা খেতে দিলে তার খেতে খুবই খারাপ লাগবে। সুতরাং, যার পান্তা খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাকে পান্তা খাওয়ানোর অভ্যাস করানোই দরকার। প্রত্যেককে নিজ নিজ সুবিধানুসারে অভ্যস্ত করানো উচিৎ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
সুখী মানুষ বলেছেন: আপনার এই বিচারেই দুনিয়াটা চলছে। লেখকদেন মনের ভিতর একটা মায়ার ভুবন থাকে। ঐ মায়ার ভুবন থেকই আমার এই ভাবনা। মায়া দিয়ে বিচার করা শুরু করলেই সবাই পোলাও খেতে পারবে।
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৮
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: সাইফুর রহমান(সাইফ) বলেছেন: আপনার লেখা ও মানসিকতা দুটোই ভালো লেগেছে। সম্ভাবত সুখী মানুষ হওয়ার রহস্য আপনার লেখার মধ্যেই রয়েছে।
++++++++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৪
গোলক ধাঁধা বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ভাই, বেশ ভাল লাগল আপনার মানষিকতা।