![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
দুই বাচ্চা রেখে এক ভদ্র মহিলা পর পুরুষেস হাত ধরে ভেগে গেছে। মানুষজন তাই জানে, তাই বলে। ঘটনাটাও তাই।
পাশাপাশি দুইটা পাখী বসে আছে। কী মনে হবে বলুন তো? আহারে কি রোমান্টিক জুটি, তাই না? এবার আসুন, এই ঘটনাকে ঘুরায়ে দেই? এমন হতে পারে না পাখী দুইটা আসলে ভাই-বোন? বা মা-ছেলে? আমরা মানুষ্য দৃষ্টিতে কিন্তু যা দেখি তাই বিশ্বাস করি। দেখার আড়ালেও যে একটা ঘটনা থাকতে পারে তা ভেবে দেখি না।
এবার আসি ঐ ভদ্র মহিলার ঘটনায়। বাচ্চা হইতে গেলে যে বিয়ে লাগে না এই বিষয়টা এখন টিভি, সিনেমা দেখে বাচ্চা পোলাপান পর্যন্ত জানে। তারা হয়ত এইটা ভেবে দেখেনা যে, বিয়ের পরে হোক আর আগে - বাচ্চা হইতে ভালোবাসাও লাগে না। ঐ ভদ্র মহিলার ক্ষেত্রে ঘটনা হয়েছে তাই। বিয়ে হয়েছে, ভালোবাসা হয় নাই। নারী হৃদয়ের আকুল করা ভালোবাসার সন্ধান ঐ ভদ্র মহিলার হাজবেন্ড কোন দিন করেন নাই। ভদ্র মহিলা হয়ত সারা দিন গুনগুন করে আয়না দেখেছেন আর কাজল দিয়ে সেজেছেন। তবু ভদ্রলোক একটা দিন একটু বলেন নাই
- বউ করছো কি! বেহেস্তের হুরদের তো জাইত মাইরা দিলা! এত সুন্দর লাগতেছে কেন তোমারে!
ভদ্র মহিলাও লজ্জা পেয়ে বলার সুযোগ পায় নাই
- আপনের খালি আছে মিছা কথা আর মিছা কথা।
দশ বছরের সংসারে যে দশ বারো বার কিছুক্ষণের জন্য কাছে গিয়েছিলেন এরই ফসল হলো দুই সন্তান। যে সংসারটায় ভালোবাসার বন্ধনই তৈরী হলো না, সে সংসারে একটা জিনিসের অভাব ছিলো না। সেটা হলো, কথায় কথায় খোটা মারা , ছোট করা, হেয় করা আর গায়ে হাত তোলা।
আশপাশ থেকে এমন দৃশ্য দেখে কেউ যদি মনের অজান্তেই অসীম মায়া নিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে কি ঘটবে? কি ঘটাটা স্বাভাবিক হবে? মহিলা আনমনেই একটু একটু করে লতার পত প্যাঁচানো শুরু করবেন। ভালোবাসা পাবার এবং দেবার দুর্বার চুম্বকের টান নিয়েই মানব সন্তান দুনিয়াতে আসে! এই চুম্বকের টান অগ্রহ্য করা যে অসম্ভব।
-০-
জেনেশুনে রবীন্দ্রনাথ যদি বিষ পান করতে পারেন তাহলে বিতর্কের সকল দায়ভার কাঁধে নিয়ে আমিও বলতে পারি - নারীর কলঙ্কে আমার বিশ্বাস নাই। নারীর মমতায় আমার বিশ্বাস আছে। যে নারী ছলনা করে, সেই ছল দেখার জন্যও পুরুষ শত বছরের সাধনা করে। যে নারী আঘাত করে, সেই আঘাতই পৌরষ জাগায়। মেধায় ও মননে, প্রীতি ও স্মরণে নারী পারে পুরুষকে অনেক পিছনে ফেলে যেতে। তবু বেশীর ভাগ নারীই দমে যান পুরুষের প্রতি তীব্র ভালোবাসারই টানে। অনেক বেশী বেতনে চাকরীটাও হয়ত করেন না বা ছেড়ে দেন এই সংসারেরই টানে। যা দেখি তা দিয়ে নারীর মূল্যায়ন করলে যুক্তিতেই জেতা যাবে, জীবনে নয়। জগতে সবাই স্বাধীন। সুখ, সম্মান, ভালোবাসার সন্ধানের অধিকার সবারই আছে। সামাজিক বন্ধনের চেয়ে ভালোবাসার বন্ধন যেদিন বেশী মূল্য পাবে সেদিনই স্বর্গ আর মর্তে কোন ফাড়াক থাকবে না।
নারী তোমার মুক্তি যেন হয় ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বন্ধনে।
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: নারী তোমার মুক্তি যেন হয় ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বন্ধনে। ++
ভালো থাকবেন ভ্রাতা
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
মহসিনা বলেছেন: নিজেকে আজ এই লেখায় হারিয়ে ফেল্লাম।অসাধারণ হয়েছে।সত্যি আমাদের মুক্তি যেন হয় ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বন্ধনে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৯
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: shironamta khub valo laglo.