নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনেশুনে...

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

খারাপ ব্যবহার করলাম একটু আগে এক অপরিচিতের সাথে। আশ্চর্য, আমার কাছে এতে একটুও খারাপ লাগছেনা!



গোবর জিনিসটা আসলে গু ছাড়া কিছুই না, হোক সে গরুর। কিন্তু এই গু দিয়েও প্রাকৃতিক সার হয়, গ্যাস হয়, জ্বালানি হয়, হয় আরো অনেক ভালো কাজ। আমার আজকের এই খারাপ ব্যবহারটারও নিশ্চয়ই এমন কোন একটা ভালো আউটপুন হবে। এই ভেবেই খারাপটা লাগছেনা।



আমি নিজে তো ফেরেস্তা না। ফেরেস্তা হলেও আর দোষে-গুনে মানুষ হয়ে দুনিয়ায় আসতাম না। সৃষ্টিকর্তার আরশের কোন এক কোনায় বসে হয়ত তসবি জপতাম। দোষ আমার আছে, পাপ আছে, ভুল আছে। কিন্তু এই দোষ, পাপ, ভুলগুলোর জন্য আমি গর্বত না, আমি অনুতপ্ত। এমন অনেক ভুল আছে যেগুলো পিছনে গিয়ে শুধরে আসা সম্ভবনা। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন এমন ভুল আর না হয় সে চেষ্টাটা করে যাই। নিজের ভুলে, অন্যের ভুল থেকে নিজেকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা আছে। আর এই চেষ্টাটার জন্য আমি গর্বিত। এমন একটা চেষ্টা হয়ত ছেলেটার মাথায় ঢুকিয়ে দিতে পেরেছি, তাই আজকের খারাপ ব্যবহারের জন্য আমি অনুতপ্ত না।



ফেসবুকে একটা মেসেস আসলো, এরকম পিকচারে লাইক দেওয়া উচিত ভাইয়া। আমি তার ছবিগুলো দেখলাম। বেশ বড় বড় মানুষের সাথে ছবি আছে। ক্রিকেটার, এক্টর কোন কিছুই সেই লিষ্ট থেকে বাদ নাই। আমি তার সাথে মজা করে বলতে পারতাম, একেকটা ছবিতে কয়টা করে লাইক দিতে হবে বলেন, অতটা ক্লিক করি। কিন্তু কেন জানি, একেবারে কেন জানি মনে হলো - এত এত বড় মানুষদের কাছে গিয়ে ছবি তুলার সুযোগ যার হয়েছে সে লোক নেয়াৎ ছোট না। তবে এমন একটা লোক আমার মত অপরিচিতের কাছে লাইক ভিক্ষা করবেন কেন? ফোন নাম্বার চাইলাম, তিনি দিলেন।



ছেলেটা ক্রিকেটের ন্যাশানওয়াইড কি যেন লিগ ফিগে খেলে। আমি খেলা অতটা বুঝি না। কিন্তু এতটুকো বুঝলাম, ভালো খেলে। আবার পড়াশুনাও করছে, পলিটিক্যাল সাইন্সে। ভাবলাম, ক্রিকেটার না হয়ে যদি পাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে চাকরী পায়; তাহলেতো ভিক্ষাবৃত্তি দিয়ে দেশ ডুবাবে। বাংলাদেশের ভিক্ষার দিন বহু আগে শেষ হয়ে গেছে। এখন আমাদের অর্জনের দিন। তাকে বল্লাম, ভাই বড় বড় মানুষদের সাথে আপনারে আমি দেখছি। নিজে আপনি কত বড়? জিজ্ঞাসা করলাম আমাকে চিনে কি না? উত্তর দিলো, না চিনে না। এমনকি আমার প্রোফাইল পিকচারও সে দেখে নাই কোন দিন। বুঝলাম, সে ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠাইছে তার ছবিতে লাইক পাওয়ার জন্য। আর আমি একসেপ্ট করছি পাঠক বাড়ানোর জন্য। দুইজনেরই উদ্দেশ্য আছে।



খারাপ ব্যবহার বলতে, তাকে যা বলেছি তা হলো - ভাই ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়েন। আপনি শিক্ষিত, খেলোয়ার মানুষ। নিজে বড় হন, মানুষ এমনিতেই লাইক দিবে। আর লাইক ফাইক রিকোয়েষ্ট করে পাওয়ার জিনিস না। আমি আনফ্রেন্ড করলাম আপনাকে। তবে তা অবশ্যই সেই দিনের আশায়, যেদিন আমি আপনারে ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠিয়ে অপেক্ষা করবো, আপনি একসেপ্ট কবে করবেন।



ছেলেটা ভয়ানক মন খারাপ করেছে। দেখি এই লেখাটা তাকে ইনবক্স করে দেই। তবু তার মন খারাপটা প্রেরনা হিসাবে কাজ করে কি না। যদি তাতেও তার মন ভালো না হয়, তবে আমি দুঃখিত। সে যা আছে তা থাকবে ভেবে কষ্টটা তাকে দেইনি। সে যা হবে তা ভেবে কষ্টটা দিয়েছি। ভালো থেকো ভাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.