![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
আমরা কতটা স্বার্থপর তার প্রমান দেই?
গতদিন (১/১১/১৪) ন্যাশনাল গ্রীডে পাওয়ার ফেইলিওর হলো।
কত কত শত শত নোংড়া মন্তব্য, নেগেটিভ মন্তব্য যে শুনলাম, পড়লাম!
কেউ একটাবার মিডিয়াতে ফোন দিয়ে বলে নাই, ফেসবুকের নিউজফিডগুলোতে কমেন্ট করে বলে নাই - "ভাই, ইঞ্জিনিয়ারদের কাইন্ডলি বলেন যেন সেইফলি কাজ করেন। হোক, ঘন্টাখানেক দেরী। তা ও সেইফটি ফারষ্ট"।
সরকারের কপাল খারাপ।
কেন জানেন? কারন সরকারওতো আমাদের মতই বাংলাদেশী।
বাংলাদেশী হবে আর কপাল খারপ হবে না এমনটাতো হইতেই পারে না।
-০-
কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় আপনার আমার কী ক্ষতি হয়েছে? লাইট ছিলো না, ফ্যান ছিলো না। আরো যারা বড়লোক তাদের হয়ত এসি ছিলো না। এই তো? একেকটা ইন্ডাষ্ট্রির কত ক্ষতি হয়েছে ভেবে দেখুন তো। যদিও জিজ্ঞাসা করা সম্ভব না, তবু নিশ্চিৎভাবে বলতে পারি সরকারের টেনশান হয়েছে আমার আপনার কষ্টের চেয়ে কয়েক কোটি গুন বেশী।
আমার এই লেখার কোন পাঠকের যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লেভেলে কোনদিন কথা হয়। জিজ্ঞাসা করে দেখে নিবেন প্লিজ তিনি কতটা টেনশানে ছিলেন।
ভাইরে কোন সরকারই চান না দেশের প্রোডাকশানে কোন ক্ষতি হোক। আখেরে ক্ষতিটা সরকারেরই। উন্নতির কথা আমরা জনগণরা স্বীকার করিনা। কিন্তু সামান্য সমস্যা হলে যে পাবলিক ইস্যু হয়ে যায় তা সরকার ভালোমতোই জানেন। তাই ন্যাশনালগ্রীডে পাওয়ার ফেইলিওর নিয়ে যখন আপনি আমি চিল্লাচিল্লি করছি তখন সরকার, প্রকৌশলী সবাই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাওয়ার কিভাবে অন করা যায় তা নিয়ে।
-ব্যাক্তি সুখে থাকে কিভাবে জানেন? অভিযোগর চোখে না, ভালোবাসার চোখে সবকিছু দেখলে।
-দেশ কিভাবে উন্নত হয় জানেন? নেগেটিভ না, পজেটিভ মেন্টালিটির জনগণে।
-০-
বিধাতার দেওয়া শরীর নামক যন্ত্রটাতেও ব্যাকআপ অর্গাণ আছে। একটা চোখ নষ্ট হলে, আরেকটা চোখ আছে। হার্ট, লিভারের মত অর্গাণের কিন্তু কোন ব্যাকআপ নাই। এর পরেও মানুষ অন্ধ হয়, হার্ট ফেইলিউর হয়ে মারা যায়। তেমনি করে ইলেক্ট্রিক সিষ্টেমেও অনেক ব্যাকআপ আছে। এর পরেও ফেইলিওর হতেই পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে, এই ফেইলিওর ঠিক করা সম্ভব, ঠিক হয়েছেও।
-০-
সরকার এবং ইলেক্ট্রিক সেক্টরের সবাইকে আমি ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
একদিন ফেইলিওর হওয়াতও আমরা বুঝি নাই কী জিনিস আপনারা ক্রমাগত দিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। বরং উল্টা দোষ দিলাম। এই জন্য আপনাদের সাথে আমি সমব্যথী।
আমার শ্রদ্ধা, ধন্যবাদ, সমব্যথী হওয়ায় জাতির কিছু যায় আসে না। কিন্তু ক্ষুদ্র একটা সুঁই এর আঘাতেও বিশাল একটা বেলুন ফেটে যায়। আমি না হয় সুঁই হয়ে আপনাদের দুঃখ বেলুন ফুটায়ে দিলাম।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
সুখী মানুষ বলেছেন: সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেন, আপনি আতেল নন। অবশ্য জানি না, গালাগালি করা লোকদের একজন আপনি কি না।
সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেই, আমি গালাগালি করা লোকদের কেউ না।
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩২
তোমোদাচি বলেছেন: Atlami post
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
গৃহত্যাগী পূর্ণিমার আলো বলেছেন: আপনার পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি ভালো লাগলো। কিন্তু কোন দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যদি এমন হয় যে একটা প্লাগ খুলে দিলে সারাদেশ অচল হয়ে যাবে তখন ওই ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। এখনকার দিনে বিদ্যুৎ একটি মৌলিক চাহিদা হয়ে উঠেছে এটা অবশ্যই একটা ছেলেখেলার বিষয় নয়। আর দেশ চালানোর দায়িত্ব জনগন সরকারকে দিয়েছে তাই দেশের অব্যবস্থাপনার ভারও তাদেরকেই নিতে হবে।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
সুখী মানুষ বলেছেন: ভাইজান, আপনার কথা অবশ্যই যুক্তির। কিন্তু আমরাতো এতটা বড়লোক দেশ না যে সব ব্যবস্থা ফেইল-টলারেন্স সহ সম্ভব। কিন্তু ধীরে ধীরেতো উন্নত হচ্ছে। রাশিয়ার চাইতে শতগুন ছোট একটা দেশে রাশিয়ার চাইতে বেশী মানুষ বাস করি। এমন দেশের সার্ভিস দেওয়া চারটেখানেক কথা না। তবুতো ১২ ঘন্টার মধ্যেই সব চালু করা সম্ভব হয়েছে। পরের বার হয়ত ১২ মিনিট লাগবে। এই শিক্ষা নিশ্চই সরকারকে পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
ইউরো-বাংলা বলেছেন: কিছু কিছু পত্রিকা ও টিভি মিডিয়াতে সংবাদ এসেছিল -ভারত থেকে বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাবার জন্যই দেশের এই অবস্থা।
আপনি কি উক্ত সংবাদটি ধামা-চাপা দিতে চান ?
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
সুখী মানুষ বলেছেন: ভাই আমি ধূলাবালি। আমি চাপাটাপা দিলেও যা না দিলেও তা।
তবে প্রকৌশলী হিসাবে শুধু আমি ফিল করেছি এমন পরিস্থিতিতে কতটা মানসিক প্রেশার নিতে হয়। তারপরেও গালাগালি শুনতে হয়।
নিশ্চয়ই দেশের মানুষ ধীরে ধীরে পজেটিভ মেন্টালিটির হবে।
হয়ত সেদিন খুব দূরে না যখন এমন সমস্যা হলে আমরাই বাসার চার্জ লাইটটা নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়ে যাবো যেন ইঞ্জিনিয়াররা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন।
৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
যোগী বলেছেন:
ভালো কথা বলেছেন।
৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
লুলুপাগলা বলেছেন: মাদা.. ুতরা সারা বছরতো গায়ে হাওয়া লাগাইয়া ঘুরে আর দূর্নীতি-চুরির টেকা পকেটে ভরে। ঠিকমত কাজ করলে কোন রকম প্রকৃতিক দূর্যোগ ছাড়াই এই রকম সারাদেশে ব্লেকআউট কেমনে হয়? মাদা.. ুতরারে হাতের কাছে পাইলে আগে ফুটবলের মত কতক্ষণ লাত্তাইতাম তার পরে কাজে লাগাইতাম।
৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি হচ্ছেন গিয়ে একটা আস্ত বলদ। আপনাকে শীঘ্রই হাল চাষে লাগানো দরকার। নইলে আপনি সরকারের টেনশনে টেনশিত হতে হতে হার্ট এটাক করে ফেলতে পারেন!!!!
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
সুখী মানুষ বলেছেন: বলদ যেহেতু বলছেন, দুধ তো আর দেওয়ার মুখ রাখেন নাই।
তাও গায়ের মাংস যদি আপনাদের কোন কাজে লাগে।
আফটার অল পরের কাজে তো লাগলাম।
মানব জীবনে বলদ হইলেও জন্ম স্বার্থক।
৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৯
মুকতোআকাশ বলেছেন: সুখী মানুষ, নিজে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পাঠ্য বিষয় ভুলে গেলেন? প্রথমেই তো সেফটি বিষয়ে পড়ানো হয়। আপনাদের পেশাগত দায়িত্ব জনগণ কে মনে করে দিতে হবে কেন?
সরকারের টেনশন বেশি ছিল, জনগণ গালি দিবে তাই। জনগণের অসুবিধার জন্য নয়।
প্রডাকশনের ক্ষতি হলে সরকারের কোন ক্ষতি হয় না। তারা কষ্টেও থাকেনা। অর্থনৈতিক ক্ষতি হলে জনগণেরই ক্ষতি হয়। সরকারের সব কিছু ঠিক মতই চলে।
সরকার গুলো আমাদের দয়া করে বিদ্যুৎ দেয় না। জনগণ পয়সা দিয়ে কিনে নেয়। এটা সরকারের দায়িত্ব। জনগণের মৌলিক চাহিদা মিটাবার অঙ্গিকার করেই সরকারের দায়িত্ব নিয়েছে। কোন দয়া করেনি। তাই বিদ্যুৎ দিয়ে কৃতজ্ঞতা পাবার মত কোন কাজ করেনি সরকার। বরং মুহুর্মুহু দাম বাড়িয়ে জনগণকে আরও ক্ষতি গ্রস্থ করেছে।
গৃহত্যগী পূর্ণিমার আলোকে বলেছেন- আমরা তো অতটা বড়লোক না যে সব ব্যবস্থা ফেইল-টলারেন্স সহ সম্ভব। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তাই যদি হয় তবে বিদেশে যাবার সময় অত লটবহর নিয়ে যাবার দরকার কি? একেক বার ১০০/১৫০ লোক নিয়ে যাবার অত আদিখ্যেতা কিসের?
ইউরো বাংলা কে বলেছেন- সেদিন হয়ত খুব দূরে নয় যখন এমন সমস্যা হলেই আমরাই বাসার চারজার লাইট নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়ে যাব, যেন ইঞ্জিনিয়াররা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে।
কেন বিদ্যুৎ অফিসের চারজার লাইট কি হয়েছে? তাদের ব্যাকআপ সাপোর্ট নাই? তাদের সেই বরাদ্দ কি হয়েছে?
সরকার কে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাবার চেষ্টা না করে বরং জনগণ কে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করুণ।
৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা কতটা স্বার্থপর তার প্রমান দেই? না বলে বলা যায়
আমরা কতটা দলান্ধ তার প্রমাণ এই পোষ্ট!!
কোটি কোটি নাগরিকের কয়েক মিনিট বা ঘন্টার নয়- ১০-১৪ ঘন্টার জাতীয় দুর্ভোগে সরকারই যেখানে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাখ্যা হিসাবে কি বলে জনগণের সহানুভূতি পাওয়া যাবে তা ভাবতে সেখানে এমন লোকও দেশে আছে!!!!
বিস্ময়কর।!
আজকের বিদ্যুত বিপর্যয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশকে কি মেসেজ দিলো ?
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছে। কারণ সারা দেশে এক সাথে বিদ্যুত চলে যাওয়ার,এই ধরনের নজির নেই..ভারত থেকে বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি করে..অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের কথা অনুযায়ী দেশে বিদ্যুত উত্পাদন যদি ১০ হাজার মেগাওয়াট হয়,তাহলে বাকি ৯৫০০ মেগাওয়াট কোথায় গেল ?? নাকি ভারত থেকে আরো বেশি বিদ্যুত আমদানি হয় ? ভারতে যেখানে ২৫% মানুষ এখনো বিদ্যুত পায়নি , সেখানে কোন স্বার্থের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে বিদ্যুত দিয়েছে ভারত ??
বর্তমানে অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার সামিট গ্রুপ ও আওয়ামীলীগের ব্যবসায়ীদের কুইক রেন্টালের নামে হরিলুটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।কুইক রেন্টালের কারণে বছরে দেশের ক্ষতি ৬ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। যা যাচ্ছে আওয়ামীলীগ ও তাদের আইটি উপদেষ্টার পকেটে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত গত ৫ বছরে শুধু কুইক রেন্টাল দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের পকেটে গেছে ৩১ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। যা বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের ৫ বছরের মোট বিদ্যুত বাজেটের আড়াই গুন বেশি।
এই বিষয়ে আপনার মত কি, জানাবেন??
১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
সেজুতি_শিপু বলেছেন: সরকারওতো আমাদের মতই বাংলাদেশী ... সত্যি?
ভালো কথা বলেছেন। পজেটিভ মেন্টালিটি খুব প্রয়োজন ।
১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: শুশীল বা সুন্দর নাপিত হবার খায়েস হইছে নাকি জনাব? যখন বছরে ৩/৪ বার বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো হয়েছিল তখন ২/১ লাইন লিখছেন? বড় দরদী হইছেন!!
আমি জনগন, আমিই সরকার তাই সবার আগে আসবে আমার চাহিদার কথা। আমার টাকায় সরকার চলে, আমি সরকারের টাকায় চলিনা। এই ১২/১৪ ঘন্টা কি প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্য মন্ত্রী আম জনতার মতো অন্ধকারে ছিলো?? ছিলোনা, বিকল্প ব্যবস্থায় ঠিকই তারা আলোকিত হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
তোমোদাচি বলেছেন: Atlami post