![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
হারুণ আজকে মহা খুশি। দশটা টাকা দিলাম হাতে, টাকাটা নিলো ঠিকই কিন্তু টাকার দিকে নজর নাই। তোতলাইতে তোতলাইতে বললো
- তোমারে, তোমারে খালি আমি পাইনা। পাইনা আমি, তোমারে।
- কী হইছে হারুণ?
হারুণ খুশির চোটে এক মুখ থুতু ফেল্লো, অর্ধেক পরলো গেঞ্জির উপর। এই গেঞ্জিটা দিয়েই সে হাটু দুইটা পায়ের পাতা পর্যন্ত ঢেকে বসে থাকে মাটিতে। হারুণের হাসিই শেষ হয়না। হাসির জন্য কথা বলতে পারছেনা। আমি অপেক্ষা করছি, হারুন কী এমন কথা যা বলার জন্য অপেক্ষায় আছে।
- আমার তো দিন ফিরা গেছেগা।
আমিতো অবাক! হারুণের আবার দিন ফিরলো কিভাবে?
- বউ দুইডারে তো কামে লাগায়া দিছি বাসা বাড়িতে।
- তোমার বউ কয়টা!
হারুণ এবার খুব সাবধানে এদিক সেদিক তাকায়ে একটু আস্তে করে বল্লো
- তুমিতো আমার কাছের লোক। তোমারে আমি গোপন করুম?
এরপর আবার এদিক সেদিক তাকালো। মর্ণি ওয়াকে উত্তরা পাঁচ নাম্বার লেকের পাশে অনেকেই হাটেন। পাশের লোকটা নিরাপদ দূরত্বে যাওয়ার পর অনেকটা ফিসফিস করেই বল্লো
- তুমি তো দুইডার কতা জানতা। এবার বাড়ীতে গিয়া আরেকটা কইরা আইছি।
- গুড, ভালো করছো। নতুন বউ তোমার পুরানো বউদের কথা জানে?
এবার হারুণ সত্যি সত্যি মজা পেলো। তিরচি নজরে আমার দিকে তাকায়ে একটা মুচকি হাসি দিলো।
- তোমার যে বুদ্ধি! এই বুদ্ধি নিয়া তুমি চলো?
আমার বুদ্ধি যে অচল এই কথাতো দুনিয়াতে একজনই জানতো, সে আমর বউ। হারুণও টের পেয়ে গেলো! এবার হারুণের কনফিডেন্স বেড়ে গেলো। আমাকে উপদেশ দেওয়ার ভঙ্গিতেই বল্লো
- মাইয়া মানুষ অন্য মাইয়া সহ্য করে!
তারমানে সে ছুপা রোস্তম। আজ দেরী করে ঘুম থেকে উঠেছি। মর্ণি-ওয়াকের জন্য হাতে সময়ও কম। বাসার দিকে হাটা দিলাম। হারুণ পিছন থেকে বল্লো
- তুমি খালি আসো না। কত কথা জইম্মা থাকে।
-০-
হারুণ পাগল মানুষ। হয়ত সে কোন বিয়েই করেনি। হঠাৎ এই কথা তার মাথায় এসেছে।
হারুণকে নিয়ে অনেকগুলা লেখা লেখে ফেল্লাম। আসলে আমার জীবন হচ্ছে বাসা টু অফিস, অফিস টু বাসা জীবন। বাসার টুকটাক কথা তো লেখি। শান্তি নিয়েই লেখি। বাসায় গিয়ে অবশ্য এর যন্ত্রনা পোহাতে হয়। আর অফিসের কথা লেখাটা আমার পছন্দ না। সবাই সব কথা সমান ভাবে নিতে জানে না। দেখা যাবে সুন্দর একটা লেখায় হাজারটা প্যাঁচ বের হয়ে যাবে।
তাই অফিস বাদ দিয়ে দিনের অন্য ঘটনাগুলো যা পাই তাই লিখি। হারুণের সাথে সকাল বেলা প্রায়ই আমার দেখা হয়। লোকটা মজা করে কথা বলে। আর আমার এই মন মজা করে কথা বলা, শুনার কাঙ্গাল। জীবনটাকে সহজ করে দেখতে গেলে সবকিছুতেই মজার সন্ধানে থাকতে হয়।
মৃত্যু-দূত সামনে আসলেও যে মানুষটা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলতে পারে - "ওরে ভাইজান আপনে আজরাইল! আপনারেতো দেখি ভয় পাওয়ার কিছু নাই! করেন ভাই আপনার কাজ করেন" সেই জীবন নিঃসন্দেহে সুখী জীবন।
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: মৃত্যু-দূত সামনে আসলেও যে মানুষটা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলতে পারে - "ওরে ভাইজান আপনে আজরাইল! আপনারেতো দেখি ভয় পাওয়ার কিছু নাই! করেন ভাই আপনার কাজ করেন" সেই জীবন নিঃসন্দেহে সুখী জীবন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪০
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর আর সাবলীল