নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা গো... ও মা, মা, মা গো...

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

আমার মা আমাকে বাবু ডাকতেন।
অরুণ নামে আমাকে কোন দিন ডাকেননি। বাবুওযে আমার একটা নাম, অন্তত মা'র ডাকা নাম তা কোন দিন খেয়াল করিনি।

আমার মা মারা গেছেন ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ, রাত ৭ টা ৩০ এ। মা কোমা থেকেও ব্যাক করেছেন একবার। প্রায় অবচেতন থেকে ব্যাক করেছেন একাধিকবার। এবার কিছুটা সুস্থদেহে ঘুমালেন। পাশে আব্বা শুয়েছিলেন, বাড়ীর আরো কয়েকজন ঘরে বসেছিলেন। একজন আব্বাকে বল্লেন
- কাকু, শ্বাসটা মনে হয় চলতাছেনা। একটু দেখেন তো।
আব্বা মাকে ধরেই শুয়েছিলেন। হাত নাকের কাছে নিয়ে দেখেন, আর নাই। মুখটা হাসিহাসি করে চলে গেলেন। যাবার আগে একটু নড়াচড়াও করলেন না।
-০-
মা গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। নিয়মিত যে যাওয়া হতো, কথা হতো তা না। কিন্তু তিনি ছিলেন। মা থাকা আর না থাকার মধ্যে যে কি পার্থক্য তা যার গেছে সে ই শুধু বঝবে। তাই মা হারানো কোন সন্তানকে কেউ যেন কোনদিন কোন সান্ত্বনা না দেয়। যারা বলেন, মা বাপ চিরদিন থাকবে না, এইটা স্বাভাবিক। নাহ রে ভাই স্বাভাবিক না। সারাজীবনের সমস্ত দুঃখ এক করলেও এই দুঃখের ধারেকাছেও না। যে মৃত্যু এমন করে নিঃস্ব করে দেয়, যে মৃত্যু মাথার উপর থেকে সমস্ত আশ্রয় এমন হাহা করে শূন্য করে দেয় এই মৃত্যু কিছুতেই স্বাভাবিক মৃত্যু না। মা বাপ যেন কোনদিন কারো না মরে। এই অযৌক্তিক কথা কেমনে সম্ভব হবে, কবে হবে জানি না। তবে হোক, মা বাপ থাকুক আমৃত্যু।
-০-
আমার ছেলে প্রিয়কে কোলে নেই। তবু শান্তি লাগে না। উল্টা হুহু করে ভিতরটা জ্বলে যায়। কেবর মনে হয়, আহারে আমার মাওতো আমারে এমন আদরটা করছে, এর বেশীই করছে। আমা তে প্রিয়কে বাবার মায়া দিয়ে দেখি, আমার মা তো আমাকে মায়ের মায়া দিয়ে দেখতেন।

একদিন মা'র সাথে খুব যুক্তি দিয়ে কিছুক্ষণ ঝগড়া করলাম। রাগ করে ফোন কেটে দিলাম। কিছুক্ষণ পর মাকে ফোন দিয়ে বল্লাম
- মা রাগ করছো?
মা বল্লেন
- বাবু পেটে থাকতেইতো কত লাত্থি দিছো তখনওকি রাগ করছি?
আমি সাথে সাথে অফিস থেকে বের হয়ে গ্রামের বাড়ী চলে গেলাম। মা'রে ধরে কতক্ষণ কাঁদলাম। এখন আমি কারে ধরে কাঁদবো গো মা? :(
-০-
আমার মাকে আমার বাকি চার ভাইবোন আম্মা ডাকেন। আমি কেন জানি মা ডাকতাম। আমি ছোট ছেলে বলে আদরও করতেন আমাকে সবচেয়ে বেশী। এই আমি'ই আমার মা'র জন্য কিছুই করতে পারলাম না। মা অসুস্থ প্রায় বারো বছর ধরে। কেবল বলতেন, আমার পুতে না আইলে আমি মরতাম নারে বাবু। এই পুত হইলো আমার মেঝো ভাই আমজাদ। তিনি আমারেকা থাকেন। নাগরিকত্ব পেলেন সপ্তাহ দুইএক আগে। তিনি যদি সাথে সাথে টিকিট কেটে চলে আসতেন তাহলে মা'র অপেক্ষা কাটায় কাটায় মিলে যেতো। কিন্তু ভাই আমার চিন্তা করলেন, নিজের দেশে ভিসা নিয়ে ঢুকবো! যাই "নো ভিসা রিকোয়ার্ড" সিলটা মেরেই যাই। যদ্দিন খুশি থাকবো মা'র সাথে। তাই আমেরিকান পাসপোর্ট জমা দিলেন বাংলাদেশ এম্বেসিতে। এই পাসপোর্ট এখনো হাতে পেলেন না। মা আমার কাটায় কাটায় সময় দিয়ে তবেই চলে গেলেন। আমজাদ ভাই সান্ত্বনাহীন সীমাহীন কষ্ট নিয়ে অপেক্ষা করছেন পৃথিবীর উল্টাপাশে।
-০-
জীবনে বহু জানাযায় অংশ নিয়েছি, লাইনে দাড়িয়ে। কখনো লাইনের দিকে মুখ করে দাড়াইনি জানাযার আগে। এবার দাড়ালাম। মা বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন, তার কাছে অনেকে অনেক কিছু জমা রাখতেন। তবে তা মা'র সুস্থথাকাকালীন সময়ে। আমার জানামতে অসুস্থ হওয়ার পর মা সব রিটার্ণ দিয়েছেন। নতুন করে কিছু রাখেননি। তবু ফর্মালিটিজের জন্য বলা লাগলো, কেউ যদি কিছু পান তবে আমাদের কাছ থেকে না নিয়ে নিবেন এবং মায়ের কোন কাজে কর্মে কষ্ট পেলে মা'কে মাফ করে দিবেন। জীবনে এই প্রথম খেয়াল করলাম, জানাযায় দাড়ানো পরিবারের বাইরের মানুষগুলোর মধ্যেও কেউ কেউ কাঁদেন। আমি জীবনের অর্ধকের বেশী সময় ধরে থাকছি ঢাকায়। অনেককেই চিনলাম না যারা কাঁদছেন। তবে কিছু কিছু মানুষকে চিনলাম। এবং কারনটাও বুঝলাম। জজু ভাই কাঁদলেন। জজু ভাইয়ের মা মারা যাবার পর মা জজু ভাইকে খবর দিয়ে বাড়ীতে আনালেন। কয়েক রকম পিঠা করলেন। বল্লেন
-বাবারে মা তো আর ফেরত আসে না। যখনই মা'র কথা মনে পড়তো তুমি বাবা আমার কাছে আইসো।
জজু ভাই সেদিন কাঁদতে কাঁদতে পিঠা খেয়েছিলেন। আজকের কান্নাটা যেন সেদিনের কান্নার চেয়েও অনেকগুন বেশী।
-০-
মা'র জানাযার পর মনে হলো, আহারে মা'র মুখটা তো তবু এতক্ষণ দেখতাম, এখনতো তাও আর কোন দিন দেখতে পারবো না। মা'র কবরে নেমে মাকে শুয়ালাম। একটার পর একটা বাঁশ দিচ্ছি আর ভাবছি, আহারে মৃত্যু কি এত বড় সেপারেটর! মৃত্যু কি এমনই কষ্টের! কই আগেতো বুঝি নাই!

মাকে কবর দিয়ে ঘরে আসলাম। মা অসুস্থ হবার পর যে ঘরটাতে সবসময় শুয়ে থাকেন সে ঘরে আজ তিল ফালানোর জায়গা নাই। ঘরটা ভর্তী মানুষ। কিন্তু এই মানুষের ভীড়ে আমার সেই মানুষ নাই!
-০-
এ বাড়ীর ও বাড়ীর মহিলারা আসছেন। কাউকে কাউকে চিনি, অনেককেই চিনি না। অনেকেই আমাকে জড়ায়ে ধরে কান্নাকাটি করে বলছে
- অহন আইয়া কার কাছে হাত পাইতা কমু, জেডিগো এইডা দেন...।
বুঝতে পারছি, এইডা পাবেন না দুঃখে তিনি কাঁদছেন না, এইডা যিনি দিতেন তাকে হারিয়ে কাঁদছেন।

একজন খুব বয়স্ক মহিলা এসে বল্লেন
-বাবা তুমি আমার চিনতা না, আমি তোমার নোয়াবাড়ীর জেডি। আহারে রান্না করা তরতারী না থাকলে তোমার মায় কাঁচা শব্জি অইলেও দিয়া দিছে বাবা। এই বান্দায় কোন দিন কাউরে খালি হাতে ফিরায় নাই।

মা'র এই স্বভাবের সাথে আমরা পরিচিত। ছোটবেলায় দেখেছি, নিজের পড়নের কাপর খুলে অন্য মানুষকে দিয়ে দিয়েছেন। নিজে পড়েছেন পুরানো কোন এক রং উঠা কাপর।
-০-
আমার শৈশব কেটেছে আশেপাশে অনেক গরীব লোক দেখে। বাবা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক, মাস গেলে হাজার তিনেক টাকা বেতন পান। নিজেদের জমি থেকে টুকটাক ফসল হয়। এই নিয়েই আমরা আশেপাশের মানুষদের তুলনায় অনেক অনেক বড়লোক। আব্বার হাতে বেতন আসার সপ্তাহ খানেক পর আর টাকা থাকে না। কিন্তু মাসে একবার হলেওতো অন্তত কয়টা টাকা হাতে পান, এইটাই তখনকার সময়ে অনেক কিছু।

সবচেয়ে বেশী যে কষ্টটা আমি দেখেছি তা হলো খাওয়ার কষ্ট। বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে আমি বলি এই একটা কারনেই। আজকাল মানুষ দিনে অন্তত একবেলা হলেও খেতে পারে। আমি ছেলেবেলায় এমন অনেক দেখেছি, হয়ত দুই দিন কিছু খাননি। রান্না ঘরের কোনাটায় দাড়িয়ে মাকে ডাকতেন, শরীফের মা গো...। আমার মা চুপটি করে আঁচলের নীচে ঢেকে খাবার নিয়ে দিতেন। আমরা জয়েন্ট ফ্যামিলি। পরিবারের কেউ কেউ এত দেওযা থুওয়া পছন্দ করতেন না। অপমান করে বলতেন
- মনে হয় জমিদার বাড়ীর মাইয়া আছিলা!
আমার মা কাজী বাড়ীর মেয়ে ছিলেন। সম্মানে তুলনায় সম্পত্তি তেমন ছিলো না। আমার দাদার বাড়ী, নানার বাড়ী কোনটাই জমিদার বাড়ী না। খুব সামান্যই ছিলো। শুধু মা'র হৃদয়টা ছিলো অসামন্য বড়।
-০-
প্রতিবেশী এক দেবর বিদেশ যাবে। টাকা পয়সা মাইর খেয়ে খুবই নাজুক অবস্থা। তার বিপদটা মনে হয় মা একটু বেশীই ফিল করলেন। গলার চেইন খুলে দিয়ে বল্লেন, যা এইটা বিক্রি কর।

এই চেইন হয়ত মাকে তিনি বিদেশ দিয়ে ফেরতও দিয়েছিলেন। কিন্তু এর ভালোবাসাটা ফেরত দিয়েই যাচ্ছেন বছরের পর বছর। মা'র মৃতূর পর দেখলাম তার বউ সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। আমাদেরতো আর কারো কোন মানসিক শক্তি ছিলো না কিছু গুছায়ে করার।
-০-
মা'র একটা যাদুকরী শক্তি ছিলো। যেখানেই যেতেন মায়ার শিকল থেকে একটা নোঙ্গর ফেলে আসতেন। এই নোঙ্গর মাটি কমড়ে পড়ে থাকতো তাদের হৃদয়ে।

ঢাকায় আসলেন, হাসপাতলে ভর্তী। একদিন রাতে হাসপাতালে গিয়ে দেখি এইটাতো হাসপাতল না, এইটা একটা ফ্যামিলি আড্ডা। পাশের কয়েক বেডের রোগীরা এসে মার বেডে বসে আছেন। খাওয়া দাওয়া সব শেয়ার হচ্ছে। এদের মধ্যে সেলিনা আপা নামের একজনের সাথে সেই রকম খাতির হয়ে গেলো। বহু বছর সেলিনা আপার বাসায় আমাদের যাতায়তও ছিলো। টঙ্গীর দত্তপাড়ায় তার বাসা ছিলো। একটা পর্যায়ে ভাই বিদেশ চলে গেলেন, আমি ব্যস্ত হয়ে গেলাম। সেলিনা আপা হারিয়ে গেলো জীবন থেকে। তখন মোবাইলের জামানা ছিলো না। তাই কোন কন্টাক্ট নাম্বারও নাই।

ঢাকায় আরেকবার বার্ডেমে ভর্তী করালাম। কিছুতেই মা'র কোন উন্নতি হলো না। পরে এই অবস্থায় অধৈর্য হয়ে মা চলে গেলেন কুমিল্লায়। সেখানে গিয়ে দেখালেন ডাক্তার শশাংক দা'কে। এরপর এই ডাক্তার শশাংক হয়ে গেলেন মা'র ছেলে শশাংক। গত পাঁচ বছরে আমি মাকে যতবার ফোন দিয়েছি তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী ফোন দাদা দিয়েছেন মাকে। একটু পরপর সুগার লেভেল, প্রসার ইত্যাদি জেনে জেনে ঔষধ চেঞ্জ করে দিতেন বড় ভাইকে, বড় ভাই এই অনুযায়ী নার্সের কাজটুকু করতেন।

আমি শশাংক দাকে প্রায়ই বলি, দাদা আপনার উসিলায় মা গত পাঁচটা বছর বেঁচে ছিলেন। মা'র এই ছেলেও মা'র মৃত্যুর পর এসেছিলেন। মা'র কবরে ফুল দিয়ে সম্মান জানিয়ে গেছেন তার ধর্মের রীতি অনুযায়ী। যে মায়ার টানে তিনি এসেছিলেন এই মায়ার কোন ধর্ম থাকে না। এই মায়ায় যে ভালোবাসা থাকে তা আমার মা তৈরি করতে জানতেন। দাদা পরে সারা রাত ছিলেন আমাদের সাথেই।
-০-
ছোটবেলায় আমাদের কৃষিকাজ ছিলো। জমিতে ২০ জন ৩০ জন লোক কাজ করতে যেতেন। মা প্রতি বেলা ৪০/৫০ জনের রান্না করতেন। প্রতিদিন রাত নয়টা দশটার দিকে মা'র পিছু পিছু আমরা কুপি (প্রদীপ) নিয়ে পুকুরপাড় যেতাম। মা আমার কোন দিন সন্ধার আগে গোসল করতে পারেন নি।

এমনও হতো, হয়ত মা সব কাজটাজ সেরে রাত এগারোটার দিকে শুইতে যাবেন তখন দেখা গেলো আব্বা কয়েক কেজি মাছ নিয়ে বাড়ী ফিরলেন। তিনি আবার উঠে এই মাছ কুটে, ধুয়ে গভীর রাতে শুইতে যেতেন। এরউপর আবার মাঝে মাঝে ছিলো মুসাফিরের আগমন। ছোটবেলায় আমাদের আশেপাশে বড় কোন রাস্তা ছিলো না। প্রচুর মুসাফিরের আনাগোনা ছিলো। যারা পায়ে হেটে দূরে কোথাও যাচ্ছেন তাদের সে পথ হয় ছিলো কয়েক দিনের। মাঝে তারা বিভিন্ন বাড়ীতে থাকতেন, খেতেন। তাদেরকেই মুসাফির বলতাম। নিয়ম ছিলো মুসাফির আসলে ভালো খাবার দিতে হতো। ভোর পাঁচটায় উঠে যে মা রাত বারোটা পর্যন্ত অমানবিক খাটুনি খেটে শুতে গেলেন তিনিই হয়ত একটু পর হাক শুনলেন
- মাগো আমি মুসাফির। পাড়ার মসজিদ থেকে আপনাদের বাড়ীর সন্ধান দিলো গো মা, আপনারা নাকি মুসাফির খাওয়ান...

ব্যাস মা আবার উঠে গেলেন। মুরগীর খাঁচা থেকে মুরগী ধরলেন, রান্না করলেন, মুসাফির খাওয়ালেন। মুসাফিরের শুয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে নিজে হয়ত আর এই রাত শুয়ার সময়ই পেলেন না। হয়ত অপেক্ষা করছেন একটু পরেই ফজরের আজান, নামাজটা পড়েই কাজে হাত দেই...।

এই মা এখন আমার শুয়ে আছেন। এখন আর তার কোন ব্যস্ততা নাই। শুধু অপেক্ষা। সারা জীবন তিনি যা দিয়ে গেছেন তার বিনিময়ে উপরওয়ালা তাকে কী দেন এইটাই দেখার অপেক্ষা।
-০-
মা গো, মা ছাড়া সন্তান ছাড়া আরতো কেউ বুঝবে না গো মা এই কষ্ট। মা গো... ও মা, মা, মা গো...।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

অপ্রতীয়মান বলেছেন: মা, এর বিপরীতে কোন পরিপূরক দাড় করানো সম্ভব না।

আপনার মা'য়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসীব করুন।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

প্রামানিক বলেছেন: মা-এর বিকল্প কিছু নাই

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

দেবু সেন বলেছেন: মায়ের বিকল্প আর কিছু নেই। মা যে পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা। মা, বাবার চেয়ে পৃথিবীতে আপন কেহ আছি আমি তা বিশ্বাস করি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.