![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
প্রিয়র পানি না খাওয়ার স্বভাবটা মনে হয় তার মা'র কাছ থেকে পেয়েছে। নয় মাস বয়সের বাচ্চা খাওয়া নিয়ে ঝামেলা করবে, স্বাভাবিক। কিন্তু তারে কিছুতেই পানি খাওয়ানো যায় না। এমনিতেই সারা দিনে তিনশো এমএল খিচুড়ী খাওযানো যায় না। এর উপর আবার সে খায়না পানি!
আমজাদ ভাই আমার মেজো ভাই। গত ১০ তারিখে দেশে এসেছেন প্রায় ১২ বছর বিদেশ কাটায়ে। তিনি বুদ্ধি করে পুঁইশাকের পাতার মাঝের নরম একটা অংশ নিয়ে দিলেন প্রিয়'র মুখে। তরকারী যে ঝাল হয়েছে তা না, কিন্তু প্রিয়'র জন্য তো প্রথম ঝাল! মুখে ওহ আহ করতে শুরু করলো।
মুখে পানি দিলাম গ্লাশ দিয়ে। আমার হাত টেনে নিয়ে সমস্ত পানি ফেল্লো তার মুখে। জামা টামা ভিজে একাকার, কিন্তু এই দিকে তার নজর নাই। এক ঢুক পানি খেয়েই ও কঠিন দৃষ্টিতে তাকালো তার আংকেলের দিকে। এই দৃষ্টিটাও সে তার মা'র কাছ থেকে পেয়েছে।
তাকিয়েই আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়ে, সমস্ত শরীর খিছুনি দিয়ে, চোখ মুখ বন্ধ করে, আঙ্গুলটাকে উপরে তুলে ওর আংকেলকে দিলো এক ঝাড়ি.... এ্যই....!
আবার ইশারা করলো, সে পানি খাবে, দিলাম পানি। সে আবার একটু পানি মুখে নিলো। আবার পানির গ্লাস থেকে মুখ তুলেই ওর আংকেলকে ঝাড়ি... এ্যই....!
এভাবে প্রায় আট থেকে দশ বার! আমি মনে মনে বলি-
এই ভাইয়ের সামনে আমরা কেউই মাথা উঁচা করে কথা বলি না। অথচ প্রিয়'র ঝাড়ি খেয়ে দেখি তার জ্যাঠা একেবারে ভয়েই খুন!
-০-
অবশেষে বুঝলাম, প্রিয়'র মা যখন আমাকে ঝাড়ে তখন কেন সে খিলখিল করে হাসে। ব্যাটা আমার আসলে তা রপ্ত করেছে এতদিন।
প্রিয় তার জ্যাঠার উপর থেকে রাগ কমিয়ে কোলে গেছে অন্তত মিনিট দশেক পর। রাগ দ্রুত পড়ে যাওয়াটা মনে হয় বাবা'র কাছ থেকে শিখেছে
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
পানির সমস্যা সমাধান হলো, কাঁচা মরিচ কিনতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রিয়র জন্যে শুভকামনা।