![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
আমেরিকান এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলাম
- গিন্নি কী করেন?
তিনি এক গাল হেসে উত্তর দিলেন
- তিনি একটা চাকরী করেন
- কী চাকরী?
ভদ্রলোক আবারো বিনয়ী হাসি হাসলেন, বল্লেন
- তিনি যে চাকরীটা করেন তা একই সাথে ভয়াবহ জটিল, মারাত্মক সম্মানের এবং অত্যন্ত পরিশ্রমের।
সেদিন আর কথা আগালো না। পরে তার গিন্নির অনেক গুনের কথা শুনলাম। তার পড়াশুনার ডিগ্রীগুলান শুনলাম। এত যোগ্যতা নিয়ে ভদ্রমহিলা করেনটা কী? অন্য আরেক দিন আগ্রহ ভরেই বল্লাম
- তিনি কোথায় জব করেন?
ভদ্রলোক আবারো বিনয়ের হাসি হাসলেন, বল্লেন
- তিনি সন্তানদের বড় করছেন।
এবং আক্ষরিক অর্থে ভদ্রলোক এই জন্য বউকে প্রতি মাসে একটা বেতন দেন। বেতন দেওয়ার পর সংসারের খরচ বাবদ যা টাকা লাগে তা দেন।
-০-
আমার গিন্নি জব করতেন। যেদিন প্রেগনেন্সি টেষ্ট করে পজেটিভ আসলো এর পরের দিন তিনি জব ছেড়ে দিলেন। তার এম.ডি. যথেষ্ট ভালো মানুষ। রেজিগনেশন লেটারটা হাতে নিয়ে বল্লেন
- তোমার যখন মনে হবে তুমি জব করতে চাচ্ছ, জাষ্ট কাম এন্ড জয়েন।
গিন্নি তার আত্মীয়স্বজনদের মধ্য থেকে কয়দিন আগে একটা ভালো জবের অফার পেলেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী করবো?
আমি তাকে বল্লাম, একটা কাগজের মাঝবরাবর দাগ দাও। বাম পাশে লেখো কেন জব করবো। আর ডান পাশে লেখো কেন জব করবো না।
এবার একটা একটা করে দুই পাশে পয়েন্ট লেখো আর একশোতে কত নম্বর দিতে চাও তা লেখো। শেষমেষ দেখো কোন পাল্লা ভারী।
উদাহরণ হিসাবে বল্লাম, যেমন ধরো জব করলে তোমার আলাদা একটা পরিচয় হবে সমাজে। সো এতে তুমি দিতে পারো ১০০ তে ৬০। জব করলে তোমার আত্মীয়-স্বজনেরা তোমাকে কোয়ালিফাইড মনে করবে, সো এতে দিতে পারো ১০০ তে ৭০। জব করলে তুমি মাসে মাসে নিজের অর্জণ করা টাকা পাবা, সো ১০০ তে ৫০। এমন করে সব পজেটিভ মার্কিং করো।
আবার জব করলে তোমার কাজের লোড হবে দ্বিগুন। অফিসের কাজ, বাসার কাজ। সো ১০০ তে ৮০ নেগেটিভ মার্কং। আবার জব করলে পুত্র প্রিয়কে সময় দিতে পারবা না, সো ১০০ তে ৯০।
গিন্নি কয়েক ঘন্টা পরে ফোন দিলেন। মারাত্মক একসাইটেড। বল্লেন
- এ্যাই শুনো না...
- বলো
- আমার তো গড় এ নেগেটিভ আসছে পচাশি আর পজেটিভ আসছে পনেরো।
আমি আমেরিকান ঐ ভদ্রলোকের মত এক গাল হেসে বল্লাম
- দেন রেইজ আওয়ার সান। অর্থাৎ তাহলে আমাদের পুত্রকেই বড় করো।
-০-
আমাদের মা অত শিক্ষিত ছিলেন না। কিন্তু তিনি ছিলেন ভীষণ আধুনিক। (মা কে এখন ছিলেন বলতে হচ্ছে, সন্তান হিসাবে তা মেনে নেওয়া বড় কঠিন, বড়ই কঠিন)। তিনি তার পাঁচ সন্তানকেই শিক্ষিত করেছেন। আশেপাশে অন্য মানুষদের শিক্ষিত করতে গেলে যে সাপোর্ট দরকার তা দিয়েছেন সাধ্যমত। আমাদের প্রচুর আত্মীয়-স্বজন আমাদের বাড়ী থেকে পড়াশুনা করতেন। আমার মা এই সুযোগ করে দিয়েছিলেন। একটা যৌথ পরিবারে এই সুযোগ করতে দেওয়ায় কতটা গঞ্জনা মা'র সহ্য করতে হয়েছে তা আমরা দেখেছি। কিন্তু আখেরে ফল হয়েছে ভালো। তাদের মধ্যে অনেকেই আজ কোটিপত।
-০-
কেউ কেউ যুক্তি দেন যে একটা মেয়ে পড়াশুনা করে লাভটা কী যদি তা কাজেই না লাগলো! আরে ভাই কাজে যে লাগলো না তা তো না। শুধু বাচ্চাটাকে মোটামোটি মানুষকরা পর্যন্ত একটু অবসরে থাকা। আগে, পরে জব করতে তো সমস্যা নাই! আর বাচ্চাটাকে সময় দেওয়ার মত যদি যৌথ পরিবার থাকে তাহলেও জব করতে কোন সমস্যা নাই।
এই বাচ্চা মানুষ করার কাজটা সবাই পারেন না। মায়েরা যা পারেন। আর এমন করে ভালোবাসার টানে সেক্রিফাই করে করেই তারা মা হন। মা হওয়া কি মুখের কথা!
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯
বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ভাল বলেছেন !
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: "কেউ কেউ যুক্তি দেন যে একটা মেয়ে পড়াশুনা করে লাভটা কী যদি তা কাজেই না লাগলো!"
আসলে যারা এমন কথা বলেন তাদের ধারণা পড়ালেখা করে জব করতে পারলেই তা কাজে লাগলো আর নয়তো তা অকেজো।
কিন্তু তারা এটা ভাবেননা যে একটা আদর্শ সুন্দর সুখী সংসার গড়তে হলেও পড়ালেখা দরকার। একজন মা যত শিক্ষিত এবং জ্ঞানী হবেন তাঁর সন্তানরাও তত সুন্দর ভাবে গড়ে উঠবে বলে আশা করা যায়। একটি পরিবার ম্যানেজ করা চাট্টিখানি কথা নয়। মা যত বেশি সন্তানদের এবং পরিবারকে সময় দেন সন্তানেরাও তত ভালোভাবে গড়ে উঠে এবং পরিবারেও শান্তি থাকে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪
সুখী মানুষ বলেছেন: আর হাজবেন্ড তো নিজেরই অর্ধেকটা পার্ট। বউ শিক্ষিত হলে হাজবেন্ডের ব্যবসা, চাকরীর পরামর্শদাতা হতে পারেন। হঠাৎ কোন বিপদ আসলে তা সামলাতে পারেন...
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬
হাসান মাহমুদ ১২৩৪ বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন
৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
নবণীতা বলেছেন: মা হওয়া যে মুখের কথা নয়,এটা যে বুঝতে পেরেছেন তার জন্ন্য ধন্যবাদ।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
সুখী মানুষ বলেছেন: নবণীতা আপু, আমি কয়দিন আগে মা হারাইছি। মা যে কী তা আমার চেয়ে বেশী আর কে বুঝবে বলেন?
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১১
অহন_৮০ বলেছেন: ভাল বলেছেন
৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
নবণীতা বলেছেন: ভাই,আপনার
৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১২
নবণীতা বলেছেন: মা হারানোর দুঃখে আমি দুঃখিত।
১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
নতুন বলেছেন: চমতকার একটা ভিডিও মা কে নিয়ে...
মেয়েরা অবশ্যই চাকুরী ব্যবসায় যেতে পারে... করা উচিতও...
কিন্তু যখন সন্তান আসবে তখন সন্তান মানুষ করার জন্য সময় দেওয়া উচিত....
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।