![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
ড্রাইভারকে না করলাম, তবু শোনলোনা। কাঁচ নামায়ে সেই কমন কথাটাই জিজ্ঞাসা করলো
- ভিক্ষা করতাস ক্যান্? বাসায় কাজ করবি?
বনানীর ট্রাফিক জ্যামে বসেছিলাম গতদিন সন্ধায়। ভিক্ষুক ছেলেটার বয়স হবে আট থেকে দশ বছর। কোলে আবার একটা বছর দুইয়ের বাচ্চাও আছে। ভিক্ষা চাওয়ার সময় চেহারায় একটা করুণ ভাব ছিলো। হঠাৎ করেই এই চেহারা বদলে গেলো। এখনের চেহারায় বেশ কনফিডেন্স আর বিদ্রুপের ছাপ। আমার ড্রাইভারের দিকে কটাক্ষের দৃষ্টি দিয়ে বল্লো
- নিজে করে ড্রাইভারী। আবার আমারে কয় বাসায় লইয়া যাইতে। ভাত খাইতে ভাত পায়না আবার সখ কত!
-০-
আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। একমাত্র সরকারী ও বেসরকারী উদ্দোগ ছাড়া এই দিবস শুধু খাতা কলমেই থাকবে। কারন ব্যক্তিগতভাবে কেউ এই শিশুদেরকে বিনাশ্রমে বাসায় নিয়ে আসবেনা। আর ভিক্ষা করে এরা যা পায় তার পরিমান নিতান্ত অল্প না। তার উপর আছে স্বাধীন জীবনের আনন্দ। এবং সাথে আছে জুতার আঠা জাতীয় জিনিস দিয়ে নেশা করার নিষিদ্ধ সুখ।
গরীব মা বাবা, পথ শিশু, শিক্ষার অভাব, ভিক্ষা এই সবগুলা কেমন যেন এক সূত্রে গাঁথা। সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা ছাড়া কোন আসু সমাধান আছে বলে মনে হয়না।
এরপরেও যাদের বাসায় ছোট্ট একটা শিশু কাজের মেয়ে, কাজের ছেলে হিসাবে আছে। তাদের প্রতি একটাই অনুরোধ, তাকে দিয়ে কাজ করানোর সময় জাষ্ট এতটুকু মনে রাইখেন, ও একটা শিশু। দ্যাট্স ইট।
২| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো বলছেন। কিন্তু এইসব অনেক পথ শিশুদের বাসায় নিয়া আইসা কাজ না করাইয়াও ভালো কিছু করানোর বা পড়াশুনা করাইয়া নিজেদের মত মানুষ করাটা রিস্কি। ওদের স্বভাস কিংবা অভ্যাস নষ্ট হইয়া যায় ছোট থাকতেই। অনেক আকাম নির্দ্বিধায় করতে পারে এদের প্রায় সবাই। আমাদের বাসায় আম্মু দুইটা পিচ্চিরে প্রায় প্রতিদিনই আইনা খাওয়াইতো। টুকটাক কাপড়চোপড় টাকাও দিত। কিন্তু যখন জানতে পারলাম দুইটাই ডান্ডি বা আঠা টানে, তখনই মানা কইরা দিলাম এইগুলা যাতে ধারে কাছে না আসে। আপনি বাচলে বাপের নাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিরাট ভাবনা?