নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঁখি পাখী ফাঁকি...

১৩ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

বাসায় কাজের মেয়ে না রাখার এক অসুবিধা। গিন্নির খাটাখাটনি বেশী হয়। কিন্তু কাজের মেয়ে রাখার হচ্ছে ছত্রিশটা সমস্যা। উদাহরণ দেই
- চিন্তা করছো, সকাল সকাল আসতে বল্লাম। তাই আজকে আসলোই না! মনে করছে কাজ বেশী তাই ফাঁকি দিলো
- চিন্তা করছো, ফ্লোরটা এমন ভাবে মুছে গেলো মনে হয় ধুলাগুলাও টের পায় নাই। ইত্যাদি ইত্যাদি...।

কিন্তু নতুন যে কাজের মেয়েটা রাখা হইলো সে মনে হয় জাদু জানে। বাসায় যাওয়ার পর নিজের সংসারের গল্প শুরু হওয়ার আগে শুরু হয় কাজের মেয়ের সংসারের গল্প।
- বুচ্ছ আঁখির নাকি আজকে ইচ্ছা হইছে ফ্রাইড চিকেন খাওয়ার। দোকন থেকে ফ্রাইড চিকেন নিয়া গেছে। দুপুরে বাসায় রান্না করে নাই।
আমি বলি, ও আচ্ছা।
- আরে শুনো না, ওরতো কাজ করার দরকার নাই। সময় কাটেনা তাই কাজ করে।
হঠাৎ করে আমার মনে থাকেনা কার সম্পর্কে কথা বলছে। জিজ্ঞাসা করি, কার কথা বলতেছো?
- কেন আঁখির কথা!
- আঁখি কে?
- ওমা বল্লাম না, নতুন যে কাজের মেয়েটা।
- ও আচ্ছা।

যাই হোক, আঁখিকে মাইনের চাইতেও বেশী টাকা দেওয়া হলো। একবারও পড়া হয় নাই এমন থ্রীপিস দেওয়া হইলো। হঠাৎ একদিন খেয়াল করে দেখি বাসায় কাজের লোক নাই। বউরে বল্লাম
- বউ তোমার পাখী কই? আজকে আসবো না?
- পাখী আবার কে?
- আরে তোমার নতুন কাজের মেয়ে।
- ও ওর নামতো আঁখি।

কিছু বুজলাম না। এই নিয়া আর কোন কথা আগাইলোনা কেন। গিন্নি দেখি নিজে নিজেই কাজ করতেছে। পরে যা শোনলাম তা হলো, আঁখি আর আসছেনা। এবং ঘর থেকে কিছু টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। গিন্নিরে বল্লাম
- কত টাকা নিছে আন্দাজ করতেছো?
বউ অপরাধীর মত বল্লো, আরে হাজার বারোশো টাকা হইবো।
আমি সান্তনা দিয়ে বল্লাম, ছোট মানুষতো। হয়ত কোন দরকার ছিলো তাই না বলে নিয়ে নিছে। বেকুব মেয়ে, চাইলেইতো হইতো!

গিন্নির মরুভূমিতে মনে হয় বৃষ্টি আসলো। আমাকে সাপোর্ট দিয়ে বল্লে
- বলো, চাইলে আমি দিতাম না?

আমি মনে মনে বল্লাম, তোমার কাছে আমারই চাইতে ভয় লাগে। আর ও চাইবো!
মুখে বল্লাম, অবশ্যই দিতা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.