![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
বাসায় গিয়া শোনলাম, পুলিশ আমার খোঁজে আসছিলো।
প্রায় এক যুগ আগের ঘটনা। আমার নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ হয় হয় অবস্থা। ছোটখাটো সব অন্যায় কর্ম মনে করা শুরু করলাম। হয়ত কোন দিন জানালা দিয়া টুপ কইরা পলিথিন ফেলছিলাম। ভাবলাম প্রতিবেশী কেউ কি এই জন্য কমপ্লেইন করলো! তখন এয়ারপোর্টে রাস্তার ধারে মেগাজিনের দোকানে খুব দঁড়ায়ে থাকতাম। সব ধরণের মেগাজিনই একটু আধটু পড়তাম। ভাবলাম, এই জন্য না তো!
যাই হোক, যেহেতু থানায় যাইতে বলছে। ভয়ে ভয়ে থানায় গেলাম, দক্ষিনখান থানা। গিয়া পরিচয় দিলাম। ডিউটি অফিসার খুবই ভালো ব্যবহার করলেন। বল্লেন, ভাই এস আই মোজাম্মেল সাহেবের কাছে যান। উনি আপনার বিষয়টা দেখতেছেন। ভয় কিছুটা কাটলো। কিন্তু আমার আবার কী বিষয়!
গেলাম মোজাম্মেল সাহেবের কাছে। একেবারে কম বয়সের একজন অফিসার। একেবারে হাত ঝাকায়ে হেন্ডশেক করলেন। পরিচয় পেয়ে বল্লেন
- ও রে ভাইজান আপনি? আপনার ভাই কি একজন আমেরিকায় থাকেন?
বল্লাম, হুম। তখন একটা ফরম পূরণ করতে বল্লেন। বিষয় হইলো, পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে একটা ডাটাবেজ করবে। কে কোন দেশে থাকে। এবং কে আনুমানিক কত ডলার দেশে পাঠায়। বিপদ নাই দেখে, ভানু বন্ধোপাধ্যায়ের মত আনন্দে বলতে ইচ্ছা করলো - উইঠ্যা বসি, উইঠ্যা বসি।
ভদ্রলোক খুবই আদর করলেন! থানার নীচে নিজে নামলেন। চা খাওয়ালেন। এখন আমার অনেক সাহস। মজা করে বল্লাম
- ভাই সারা জীবন শুনছি, পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। এখন দেখি উল্টা পুলিশের কাছ থেকে খেয়ে গেলাম।
তখন আমার মোবাইল ফোন নাই। মোজাম্মেল ভাইয়ের মোবাইল নম্বর নিয়ে আসলাম। অনেক দিন পরে ফোন দিয়ে দেখি নম্বর বন্ধ। তারপর থেকে উনার কথা মনে হলেই ফোন দেই। কিন্তু নম্বর বন্ধ থাকে। কোন দিন মোজাম্মেল ভাইয়ের সাথে দেখা হইলে একটা কথা বলবো্। কথাটা হইলো
- ভাই, আপনি আমার কপালে লক্ষী দিয়ে গেছেন। কারন এতটা বছর পর্যন্ত পুলিশ বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে শুধু খেয়েই গেলাম
-০-
পুলিশ নিয়ে সবারই কমপ্লেইন কম বেশী আছে। কিন্তু ষোল কোটি মানুষের দেশে তুলনামূলক কত কম পুলিশ তা জানেন? একটা বার ভেবে দেখেন তো, পরিবারের সুন্দর মুখ গুলো দেখে মানুষগুলো অফিসে আসেন। অফিসে এসেই সারাটা দিন চোর বাটপারদের নিয়া ব্যস্ত থাকতে হয়। গাঁ শিউরে উঠার মত অপরাধের তদন্ত করতে হয়।
চলতে চলতে কোন পুলিশের সাথে পরিচয় হলে, বন্ধু বানিয়ে নিন। পুলিশের কষ্টটাও বুঝবেন। বিপদের দিনে কাজেও লাগবে। সো সিম্পল
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
সুখী মানুষ বলেছেন: চলেন দুই ভাই তার কাছে যাই একদিন। ৩৬০ টাকা বিল যদি উনারে দিয়া না দেওয়াইতে পারি তাইলে আপনার পকেথ থেকে দেওয়াবো। খুশি?
২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
কাবিল বলেছেন:
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
বিষের বাঁশী বলেছেন: খুব সিম্পল!
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
যোগী বলেছেন:
অপরিচিত একজন মানুষের টাকাই কিছু খাইতে পারলেই সে আপনার কাছে ভালো হোয়ে গেল??? আপনার মত এই অদ্ভুত মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে অনেক বেশি আর সেই কারনেই আমাদের দেশ থেকে সজনপ্রীতি আর দুর্নিতি কিছুতেই যাবে না।
০২ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
সুখী মানুষ বলেছেন: আমিও কিন্তু অনেকের কাছে অপরিচিত। আমিও কিন্তু অনেকদেরকে এমন করে খাওয়াই।
আর আমি নিজেও চাইনা স্বজনপ্রীতিটা বাংলাদেশ থেকে উঠে যাক। দুর্নীতি উঠে যাক তা চাই। এবং যে স্বজনপ্রীতিতে ব্যাক্তিগত লাভের যোগ থাকে তা কিন্তু আর স্বজনপ্রীতি থাকে না। তখন তা দুর্নীতিই হয়ে যায়।
আশা করি আপনার উত্তর আমি দিতে পেরেছি।
৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০০
যোগী বলেছেন:
স্বজনপ্রীতিতে ব্যাক্তিগত লাভ থাকলে অস্বজনরা বঞ্চিত হয় আর সেটাকেই দুর্নীতি বলে আবারও বলছি সেটাই কিন্তু দুর্নীতি। আমরা এটা বুঝিনা বলেই কোন দুর্নীতিবাজই নিজেদের নীতি কে দুর্নীতি মনে করে না। তাই এই ভয়াবহ ব্যাধি থেকে কখনো বের হতে পারিনা।
জানি এই কথা আপনি মানতে পারবেন না। একটা উন্নত দেশের একজন সাধারন ইলেক্ট্রিক লাইনম্যানকে কিছুতেই এক কাপ চা আপনি খাওয়াতে পারবেন না, যদি সে ডউটিতে থাকে।
০২ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
সুখী মানুষ বলেছেন: আপনার কথায় অকাট্য যুক্তি।
কিন্তু আমি তো বিশাল ভাবনায় পড়ে গেলাম রে যোগী ভাই
কারন কাজ করি মিডিয়াতে। অফিসিয়াল আওয়ার বলতে কিচ্ছু নাই। ঢুকি সেই সক্কাল বেলা। বের হই রাতে বা গভীর রাতে। আমাদের কাজের ধরণটাই আড্ডার মত। আর না হয় এত দীর্ঘ সময় কাজ করা যায় না। এতে কী হয়? চা নাস্তা সারা দিনই লেগে থাকে। হয় খাই, না হয় খাওয়াই। কিন্তু কোন ভাবেইতো মনে হয় নাই এতে কোন স্বজনপ্রীতি আছে।
কি করা যায় বলেন তো! ভাবনায় ফেলে দিলেন, সত্যি ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: কি আর কমু, আপনি পুলিশের কাছ থিকা চা বিস্কুট খাইলেন, আর আমার এক চাচাতো ভাই পুলিশ, তারে দিয়া ছোট একটা কাম করাইছিলাম, হে আমার পকেট থিকা জোর কইরা ছত্রিশ ট্যাকা বাইর কইরা নিয়া চা বিস্কুট খাইছে। আমি তহন বেকার। সেই সময়ের ছত্রিশ ট্যাকার জন্য আমার কইলজার ভিতর যে কি জ্বলা জ্বলছে সে কথা কইবার পারতেছি না।