নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দর্পচূর্ণ

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

একটা গল্প বলি।
আমার বড় ভাই শরীফ। বাপের বড় ছেলেরা যেমন হয, তিনিও এর ব্যাতিক্রম না।
একবার কে জানি পানি খাবার গ্লাস বিক্রি করে গেলো তার কাছে। বুঝায়ে গেলো, এই গ্লাস হাত থেকে পড়লেও ভাঙ্গে না, পাথরের উপর পরলেও ভাঙ্গে না।

বিক্রেতা মহা ধুরন্ধর। এমন জায়গায় দাড়ায়ে গ্লাস বিক্রি করছিলো যেখানে সম্ভবত নরম কাঁদামাটি ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। হাত থেকে হয়ত সাবধানে দুই একবার ফেলে তাই প্রমানও দিতে পারছে যে, হাত থেকে পড়লে কিছুই হয় না।

বাড়ীতে সেই গ্লাস কিনে নিয়ে আসার পর এক হুলুস্থুল ঘটনা। মুখের কোন থেকে মুচকি হাসিই সরে না। ভাবটা এমন যে এই এক পিসই আন-ব্রোকেবল গ্লাস তৈরী হইছে দুনিয়া। আর সেই গ্লাসের মালিক এই মুহূর্তে (মুহূর্ত লেখতে হ এ দীর্ঘ ও কার, যারা খেয়াল করেন না তাদের জন্য বলা) স্বয়ং তিনি।

বাড়ীর সবাইকে এক সাথে জড় করলেন। এবার গ্লাসের মাটিতে রাখলেন মা'র মরিচ বাটা'র পাটা। উপর থেকে ফেল্লেন গ্লাস। আর ঝুরঝুর করে অগনিত টুকরা...। আমার বয়স তখন নিতান্তই কম। একমাত্র আমিই হেসেছিলাম। আর বাকীরা একবার গ্লাসের দিকে তাকায়। আরেকবার শরীফ ভাইয়ের দর্পচূর্ণ মলিন, হতাস মুখের দিকে তাকায়।
-০-
আমি কিছু কিছু সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ভুলটা করি।
বন্ধু আমার, আহারে বন্ধু আমার যাদেরকে মনে হয়। একেবার সরাসরি হৃদয়ের দাবি যাদের উপর করি। তাদের সাথে মজা করে দুই একটা কথা বলে ফেলি। দুই একটা দাবি খাটায়ে ফেলি। এবং তার ফলাফল হয় সেই আন-ব্রোকেবল গ্লাসের মত। আর আমার মুখটা তখন কেমন দেখায় কে জানে...

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

সুমন কর বলেছেন: শেষটুকুই বক্তব্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.