![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
মোস্তফা ভাইয়ের কাছে একটা ফোন আসলো।
কার ফোন, কেমন ফোন বুঝলাম না। ফোনে তেমন কথাও বল্লেন না, ফোন রেখেও কোন কথা বলছেন না। জিজ্ঞাসা করলাম
- মোস্তফা ভাই, সব ঠিকঠাক আছে তো!
মোস্তফা ভাই আমার দিকে কেমন যেন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাইলেন। কেন জানি মনে হইলো, কোন বিপদ টিপদ না। তিনি একই সাথে আনন্দ আর আবেগ সামলাইতে পারতেছেন না। বল্লেন
- ইঞ্জিনিয়ার, আমারে তুই করে বল্লো!
বুঝলাম না, তুই করে বল্লেতো রাগ করার কথা! তিনি এত আনন্দ নিয়ে কেন বলছেন? তার পর বল্লেন
- ইঞ্জিনিয়ার, আমারে তো তুই বলার কোন মানুষ নাই। আমার যে কী লাগতেছে আপনারে বুঝাইতে পারবো না।
ঘটনা হইলো, মোস্তফা ভাইয়ের বাল্যকালের এক বন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় চলে গিয়েছিলেন ইন্ডিয়ায়। সেই বন্ধু এত বছর পর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিয়েছেন। মোস্তফা ভাইকে ইন্ডিয়া যাবার অনুরোধ করলেন। এবং অনুরোধ করলেন, তাদের বাড়ী যেইটা ছিলো ১৯৭১ এ তা এখন যার দখলেই থাক, যা ই থাক। সেখান থেকে যেন একটু মাটি নিয়ে যান তার জন্য।
-০-
মোস্তফা ভাই দেশের বাড়ী গিয়ে বোতলে করে মাটি ভরলেন। সেই মাটি নিয়ে গেলেন ইন্ডিয়া। সেই মাটি তুলে দিলেন তুই বলে ডাকা সেই বন্ধুর হাতে।
মাটি পেয়ে ভদ্রলোক অনেক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায়ে রইলেন। এর পর এই মাটি সারা শরীরে মাখাইলেন। আর শুরু করলেন পাগলের মত কান্না। আহারে মা, মাটি আর দেশ এই তিন বস্তুর মায়া এড়ানোর সাধ্য কারো নাই। এই মায়া আমরা কলিজার ভিতরে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। সমস্যা একটাই। এইটা পিওর ভালোবাসা। আর পিওর ভালোবাসা কখনোই দূরে না গেলে বুঝা যায় না।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১৭
প্রামানিক বলেছেন: দারুন কাহিনী। মা মাটি দেশ নিয়ে মানুষের মায়া মমতা শ্রদ্ধার কখনও কমতি হয় না।