নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা কষ্টের কথা বলি

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৩

একটা কষ্টের কথা বলি। উপকার না করতে পারার কষ্ট।

আজ থেকে বছর বিশেক আগে। এলাকার এক লোক মজা করে বলতেন, তোরা মাসে যা বাজার করস তা আমার একদিনের বাজার। এই লোকের আজ চরম অর্থ কষ্টের দিন। ভাবলাম, ছোটখাটো কিছু একটা দাঁড় করায়ে দেই।

যেইখানেই চা খাইতে যাই, দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করি
- মামা দিন শেষে যা থাকে তাতে চলে?
- হ মামা চলে
- তিন, চাইরশো থাকে?
- কী কইন মামা। হাজার খানেক থাহে। কইলে কি লইয়া যাইবাইনগা!

ঝাল মুড়ি খাইতে যাই। একই টাইপ কথা হয়। সব চাইতে অবাক হইলাম নিজের বাসার সামনে। এক ভদ্রলোক তিনটা ফ্লাস্ক নিয়া বইসা আছে। একটায় গরম পানি, একটায় রেডিমেড চা। আরেকটায় লিকার। আজকাল অনেকেই চিনি ছাড়া চা খায় তাই। তার সর্ব নিম্ন আয় চারশো টাকা।

সিদ্ধান্ত নিলাম, একটা ভ্রাহ্মমান ভেন গাড়ী বানায়ে দিবো। ঝালমুড়ি, চা, সিগারেট বেচতে পারবে। দোকান দিয়ে হেল্প করার বাজেট আমার একার পক্ষে সম্ভব না।

এক বড়ভাই টাইপ বন্ধুর কথা মনে পড়লো। তনি আমাকে প্রয়ই বলতেন, মানুষকে উপকার করায় যেন তাকে পাশে রাখি। এই বন্ধু দিলেন কিছু টাকা। যা আশা করছিলাম, তার বেশীই দিলেন।

এলাকার সেই ভদ্রলোকের সাথে কথা হইলো। কয়দিন আগেও ভেন গাড়ীর দোকানে তার সম্মতি ছিলো। এখন নজর গেছে দোকানের পজিশন নেওয়ার দিকে। যা আমার টুটাল বাজেটের প্রায় পাঁচগুন! আমি বল্লাম
- এত টাকা কই পাইবেন!
তিনি নিশ্চিন্তে বল্লেন
- তুই দিবি এত, ওমুকে এত, তুমুকে অত...

ওমুক,তুমুকে কেউই সম্প্রদান কারকে কিচ্ছু দিবো না। তারমানে হয় টাকাটা পাইবো না। না হয় সুদে টাকা নিবো। আর তার ব্যবসার প্ল্যান এখন আর চা দোকান না। অনেক বড় কিছু।

আমি বল্লাম
- ভাই আমার কাছে যা আশা করতেছেন তা তো আমার দেওয়া সম্ভব না! সর্বোচ্চ আমি।দিতে পারবো এত!

আমি খুব অবাক হইলাম। আমাকে বল্লেন
- এইটা যদি দিতে না পারস, তাইলে আর কি করার। বাদ দে।

উনি হয়ত মনে করছিলেন আমি চাহিদার সবটা টাকা দিয়ে দিবো, এই কথা শোনে। অথচ আমি খুব অবলিলায় বল্লাম
- ঠিক আছে দিলাম বাদ।

তার আম ছালা সবই গেলো। দুপুর বেলা শুনি আরেক কষ্টের কাহিনী। এলাকার সেই লোক আমার এক কলিগরে ফোন দিসিলো, আমার দোহাই দিয়া দশ হাজার টাকা সাহায্য চাইছে। আমি আকাশ থেকে পড়লাম। আমারে ডিঙ্গায়া আমার কলিগ পর্যন্ত চইলা গেলো!

সাথে সাথে টাকা দিয়েছেন যে বন্ধু তাকে মেসেজ দিলাম। বল্লাম, ভাই লোকটারে আমি হেল্পটা করতে চাই না। অতএব, টাকা ফেরত নেন।

দুনিয়ার কোথাও কাজ বা পুঁজির অভাব নাই। মানুষ স্বভাবের দোষে বেকার থাকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

alamin ahmed বলেছেন: ঠিক

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

কাবিল বলেছেন: উনার মধ্যে কিছুটা লোভ আছে, এমন মানুষকে সাহায্য না করাই ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.