![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
মুরগি নিলাম। দুইটা ছেলে খুব সুন্দর কইরা কাইটা ছাইটা দিলো। দশ, দশ বিশটা টাকা দুইজনের হাতে দিলাম। এরা অবাক হয়ে বল্লো
- এইটা দিয়া কী করবো?
আমার কিছু বলা লাগলো না। দোকান মালিকই বলে দিলো
- রাখ, তোদেরকে বখশিস দিসে ব্যাটা।
এর আগেও বিষয়টা খেয়াল করছি আমি। আমরা হোটেলে গিয়ে টিপস্ দেই। কিন্তু অন্য পেশায় যারা আছে। তাদেরকে দেই না। কয় টাকাই বা এরা বেতন পায়? এর মধ্যে সবার আগে এরা চিন্তা করে রাখে, দেশের বাড়ী কত পাঠাবে। বাকী টাকা দিয়া থাকা, খাওয়া। টিপস হিসাবে পাঁচ, দশটা টাকা দিতে হয়। এইটা দিয়া এরা টুকটাক শখ, আহ্বলাদের কাজ করতে পারে।
আরেকবারের একটা স্মৃতির কথা বলি। একটা দোকানে ঢুকে এইটা সেইটা নিলাম। দশ কি বারো বছরের একটা ছেলে বুলেটের গতিতে সব রেডি করে দিলো। বেশ গুলটু গালটু চেহারা ছেলেটার। দোকান থেকে বের হওয়ার সময় ছেলেটার হাতে দশটা টাকা দিলাম। এই ছেলেটাও অবাক হয়ে বলেছিলো
- এইটা দিয়া কী করবো!
বল্লাম, চকলেট খাইয়ো।
হঠাৎ করেই দেখি, দোকানের মালিক কেমন যেন হাসি, হাসি, লজ্জা, লজ্জা মুখ নিয়ে তাকায়া আছে। কেন জানি মনে হলো, ছেলেটা হয়ত ভদ্রলোকের। বিকাল বেলা বাবাকে সাহায্য করতে আসে। উল্টা আমার লজ্জা লাগলো। এই ছেলে যদি দোকান মালিকেরই হয়। তাইলে, দশ টাকায় যে চকলেট পাওয়া যাবে তা কি সে খাবে?
ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম থাকতে হয়। হোক সে মুখের কথা, হোক সে অন্য কিছু। এক মুহূর্তের জন্যও যদি কারো সাথে দেখা হয়। তবু কোন না কোন মাধ্যমে যেন ভালোবাসাটা প্রকাশ পায়। ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কী!
©somewhere in net ltd.