![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
প্লেটে ভাত নিতে গিয়া কয়েকটা ভাত নিচে পড়ে গেলো। পরিষ্কার জায়গা, আমি টুপ করে ভাতগুলা প্লেটে তুলে নিলাম। পাশে'র জন ভ্রু কুঁচকায়ে একটু তাকাইলেন। আমি পাত্তা দিলাম না। তাই শেষ পর্যন্ত মুখেই বললেন
- এই ভাত তোলার কী দরকার!
আমি খুব বিনয়ের সাথে বললাম
- শুনেন, একজন কৃষক একটা ধানের গাছ পরম মমতা নিয়া লাগায়। যত্ন আত্তি করে কয়েক মাস। এই গাছে ধান ধরে। এই ধান কেটে বাড়ী নেয়, মাড়াই দেয়। তারপরে আগুনের আঁচে সিদ্ধ করে। এই সিদ্ধ ধান রোদে শুকায়। শুকানোর পর এই ধানকে মেশিনে ছাটা হয়, বস্তায় ভরা হয়। এই বস্তা থেকে চাল বাসায় নিয়ে আসা হয়। এই চাউল ধুয়ে, রান্না করা হয়।
এত টুকু বলে আমি থামলান। তিনি পলক না ফেলে আমার দিকে তাকায়ে আছেন। শেষে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম
- এতটা পথ যে চাউলটা পাড়ি দিয়ে আমার সামনে আসলো। তাকে না খেয়ে ফেলে দেওয়ার মানে কী দাঁড়াইলো জানেন? তার মানে দাঁড়াইলো, এই দীর্ঘ পথচলা'র পর ঐ চাউলগুলার জীবনটাই বৃথা। কারন ফাইনালি কারো না কারো খাদ্য হবে বলেই তার জীবনটা শুরু হইছিলো।
ভাতটা আমার খুব পছন্দের খাবার। খুব যত্ন নিয়ে, খুব মজা করে আমি ভাতটা খাই। উপরওয়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাইতে জানাইতে আমি ভাত খেয়ে খাচ্ছি। তৃপ্তিতে আমর চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর বুঝতে পারলাম, দুইটা অবাক চোখ আমার উপর হুচট খেয়ে খেয়ে পড়ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: হা হা দারুণ লাগল। খুবই ভাল লিখেছেন।