![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
চেইত্তা মেইত্তা একাকার...। আমারে কয়
- অরুণ ভাই আপনে তার লগে নরম স্বরে কথা কইলেন কেন? ঝাড়ি দিয়া বারোটা বাজাইয়া দিতেন। আমি হইলে তো...
আমি একটু ডেল কার্নেগী খাটাইলাম। তারে খুশি করার জন্য তারে সাপোর্ট দিলাম, বললাম
- আমিও আপনার মতই ভাবতাম, যদি বয়সটা আমার একটু বেশী না হইতো। আর সবচাইতে বড় কথা হইলো, গুরু'র নিষেধ আছে বলে ঝাড়িটা দিতে পারলাম না।
ভদ্রলোক অবাক হয়ে বললেন, গুরু'র নিষেধ মানে?
বললাম
- বাতাস আসলে যে বাঁশ হেলে দোলে নুয়ে যায় তা দেখছেন?
- হ দেখছি।
- কিন্তু বাঁশের কঞ্চি দিয়া যে বেড়া বানায় এইটা কি বাতাসে দোলে?
ভদ্রলোক এক নিমেষ চিন্তা করে বললেন, নাহ দোলে না।
বললাম, কবিগুরু এই কথাই বলে গেছেন
কহিল কঞ্চির বেড়া, ওগো পিতামহ
বাঁশবন, নুয়ে কেন পড় অহরহ?
আমরা তোমারি বংশে ছোটো ছোটো ডাল,
তবু মাথা উঁচু করে থাকি চিরকাল।
বাঁশ কহে, ভেদ তাই ছোটোতে বড়োতে,
নত হই, ছোটো নাহি হই কোনোমতে।
অতএব হুট করে রাগ করার দরকার নাই। নত হইলে মানুষ ছোট হয় না। প্রতিবাদও নত হয়ে, নরম হয়ে করা যায়। এইটাই শোভন।
©somewhere in net ltd.