![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
একুশের চেতনা তখনো বুঝি না। তবে আমার দুই ভগ্নি একটা ফুলের বাগান করছিলো। ঐ বছরই প্রথম বুঝলাম, একুশে ফেব্রুয়ারী একটা স্পেশাল দিন। কারন আগের রাত সারা রাত জেগে থাকতে হয়। পাড়ার পোলাপান যেন সব ফুল ছিড়া বিনাস কনে না দেয়।
গ্রামের বাড়ী, ইলেক্ট্রসিটি নাই। রাত আটটা মানে গভীর রাত। আপাদের সাথে দশটা পর্যন্ত উত্তেজনা নিয়ে জেগে থাকলাম। সকাল বেলা উঠেই দেখি আমার দুই ভগ্নি নাই। ফুল বাগানে কোন ফুলও নাই। দৌড়ায়ে স্কুল মাঠে গেলাম। দেখি কলা গাছ কেটে ঘাড় বাঁকা করে রাখা। তার নীচে ফুল আর ফুল। আমার ভগ্নিদ্বয় আনন্দ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এই প্রথম বুঝলাম, এই দিনে ফুল বাগানের সব ফুল ছিড়ে ফেললেও রাগ করতে হয় না। একুশে ফেব্রুয়ারীর সাথে আমার পনিচয় এইভাবেই।
আর বড় হয়ে বুঝলাম, এমন মরনও সবার ভাগ্যে জুটে না। যে মরন হবে দেশের জন্য মরন, যে মরন হবে দশের জন্য মরন। যে মরনে বাগান উজাড় করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেও,বাগানের মালিক রাগ করে না, উল্টা গর্ব বোধ করে।
আমার মরন হোক তেমনি মরন
ফুলেল ভালোবাসায় সবে করিবে স্মরন।
©somewhere in net ltd.