![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
মশা মারার একটা যন্ত্র আনলাম। কলি যুগের মশা, এত স্মার্ট! আশপাশ দিয়া ঘুরঘুর করে। কিন্তু যন্ত্রের ভিতর ঢুকে না। ভাবলাম, যন্ত্রটা মনে হয় কাজ করে না। ম্যানুয়ালি দুই হাতে চাপড় দিয়া একটা মশা মারলাম। কিন্তু মশাটা খুবই রুগ্ন। হাতের মধ্যে প্রায় গলে গেলো। এই মশা যন্ত্রের উপর ফেলে টেষ্ট করার কোন গতি নাই।
বহু চেষ্টায় একটা মশাকে আধমরা অবস্থায় কাবু করতে পারলাম। তারপর ঠ্যাং ধরে যন্ত্রের উপর ফেল্লাম। ঠাসসসস করে শব্দ হয়ে মশাটা পুড়ে গেলো। আহা, শান্তি। তারমানে যন্ত্র ঠিক আছে। এরপর থেকে অপেক্ষা করে বসে আছি। মশার গুষ্ঠি! হাতে, পায়ে সমানে কামড়াচ্ছে, কিন্তু যন্ত্রের ধারেকাছেও যাচ্ছে না!
প্রায় ঘন্টা তিনেক পর ঠাসসসস করে শব্দ হইলো। দেখি একটা মশা কুপুকাত! আনন্দে ডগমগ হয়ে বললাম
- শুনছো!
তিনি ভ্রু কুঁচকে তাকাইলেন। কিছু বললেন না। বললাম
- এত বড় শব্দ হয়ে মশাটা মরলো, শোনো নাই!
আমার দিকে না তাকায়ে, শীতল গলায় বললেন
- তিন ঘন্টায় দুইটা মশা! মারাত্মক সাকসেস রেশিওতো! যাও এই খুশিতে আতশবাজি ফুটাও।
কথাগুলা যে অপমানের তা না বুঝার মত বেকুব আমি না। তারপরেও চেপে গেলাম। কারন, মশাতো আশলে মরছে একটা। প্রথমেরটাতো নিজে মাইরা যন্ত্রের উপর ফেলছিলাম!
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রথমেরটাতো নিজে মাইরা যন্ত্রের উপর ফেলছিলাম!
মজা পাইলাম