নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা পথের বিকল্প খুঁজি না...............

সুপ্তময়

স্মৃতির পিছু টান,,,, মুখরিত সেই অধ্যায়,,,,

সুপ্তময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৃশ্যপটে বাংলাদেশ ও দৃষ্টান্ত.....

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৪

মানুষ সামাজিক জীব।সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করার গুরুত্বই ক্রমান্বয়ে মানুষকে স্বাধীন ভূখণ্ড অর্জন ও টিকিয়ে রাখার সংগ্রামের দিকে অগ্রসর করে।প্রাচীন যুগ থেকে উত্তরাধুনিকতা পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক সংঘাতের মাঝেও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য শাসক,বুদ্ধিজীবি ও জনগণের ভূমিকা অপরিসীম।এ সকল উপাদানের সঠিক সমন্বয়ের উপরই নির্ভর করে রাষ্ট্রের সফলতা ও ব্যর্থতা।নিজ দেশের অতীত ইতিহাসের দিকে তাকালে মূল অংশে যা দেখতে পাইঃ
*এদেশের দর্শক শ্রেনীকে স্তব্ধ করা হয়েছে ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশী যুদ্ধের মাধ্যমে।যারা অপরিপক্ষ নবাবের পরাজয় উপভোগ করেছিল জনগনের ভূমিকায়।
*এদেশের বুদ্ধিজীবী ও প্রতিবাদীদের হত্যা করা হয়েছে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালের ১৪ ই ডিসেম্ভর পর্যন্ত।চিন্তার আগ্রহ ও ধরন বিনিষ্ট করা হয়েছে বাকীদের।
*এদেশের বক্তাদের হত্যা করা হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট ও ৩ রা নভেম্ভর এর মাধ্যমে।ফলে সুদীর্ঘ কাল ধরে স্বাধীনতাকামী মূল সাপ্নিকদের বেশীরভাগকেই হত্যা করা হয়েছে আর পরিনতি দেখানো হয়েছে বাকীদের।
*এরপর বেশ কয়েকটি যুগ পার করেছি আমরা কোন কিছু দেখা,চিন্তা করা,বলা থেকে বিরত থেকে শুধুমাত্র শ্রোতা হয়ে।
*শ্রোতার ভূমিকায় থাকতে থাকতে লেখার মাধ্যমে জেগে উঠা শুরু করে পুরো চক্রটি।শুরু হয় গনজাগরন।আর এই শেষ ধাপটিতে ও পূর্বের ন্যায় সক্রিয় হত্যা ও থামানোর কার্যক্রম।
শতবৎসর পূর্বে মস্তিষ্কে যে পোকামাকড় এর চাষ করা হয়েছিল তার ফলে ক্রমাগত রক্তক্ষরণের মাঝেই জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশ।শরীর জুড়ে যখন ক্যান্সারের জীবানু তখনই শুরু হয় ৭৫ পরবর্তী অধ্যায় ও চিকিৎসাধীন বর্তমান।
তাই শুনতে শুনতে যখন বিরক্ত হয়ে যাই তখন মাথা গুঁজে দেই বালুর ভিতর ঠিক উঠপাখির মত বাঁচতে চেষ্টা করি নিজেরা।কারন অতীতের আয়নায় যখন ইতিহাস দেখি তখন বীভৎস এক চেহারা ফুটে উঠে যার প্রিয় রং লাল, প্রিয় পানীয় রক্ত, প্রিয় ভাষা ধর্ম,রাজনীতি।ধর্ম আর রাজনীতিকে সাংঘর্ষিক করে নিজেরা ধর্মভীরু সেজে অরাজনৈতিক সুশীল হওয়ার চেষ্টা করি প্রতিনিয়তই।আঁকড়ে ধরি নিজেকে আর অতীতের বীভৎসতা সম্পর্কে সতর্ক করে যাই উত্তরসূরিকে।ফলে বীভৎসতা দেখার ভয়ে গৌরবউজ্জল অতীত থেকেও দূরে থাকছি অন্ধের ভূমিকায়।তবে উটপাখির মত ক্ষিপ্র গতিতে ও চলা হয় আমাদের কিন্তু ততক্ষনে স্মৃতিতে এসে জমা হয় প্রায় ২০০ বছরের ঔপনেবেশিক শাসন,২৩ বছরের নির্যাতন,সামরিক ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির আগ্রাসন।
খুব সল্প সময়ের জন্য হলেও মুক্ত হই আমরা,সপ্ন দেখি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার যেখানে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে সমাজের প্রতিটি স্তরে।শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড না হয়ে মৃত্যুদণ্ডের কারন হবে না কোন ব্যক্তি কিংবা পরিবারের জন্য। কারন শ্রোতা হিসেবে খুব কাছের অতীত থেকে “বাঙ্গালীদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না” এ কথাই শুনতে পায় আমাদের বর্তমান ।।
বিঃদ্রঃ ইহা আমার একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত।ভুল ত্রুটি নিজ গুণে সংশোধন যোগ্য।মতের পার্থক্য থাকলে বহিঃপ্রকাশ রুচিশীল হওয়া বাঞ্চনীয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

েমাহাম্মদ েমাজােম্মল হক বলেছেন: ধর্ম আর রাজনীতিকে সাংঘর্ষিক করে নিজেরা ধর্মভীরু সেজে অরাজনৈতিক সুশীল হওয়ার চেষ্টা করি প্রতিনিয়তই

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

সুপ্তময় বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.