নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা পথের বিকল্প খুঁজি না...............

সুপ্তময়

স্মৃতির পিছু টান,,,, মুখরিত সেই অধ্যায়,,,,

সুপ্তময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুমন্ত বিবেক ও বানিজ্যিক মানবতা

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

ইতিহাসের গতিপথ যখন পরিমান বা সংখ্যার অর্থাৎ বিজয়ীদের উপর নির্ভর করে; মানবতার সংজ্ঞা ও তখন পরিমান বা সংখার উপরই নির্ভর করবে কারন ইতিহাসের আলোচনার প্রধান বিষয় হচ্ছে মানুষ।মানবিকতা মানুষের প্রধান ধর্ম।বিশাল পৃথিবীতে একক সত্ত্বা এবং শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করে মানুষ।পৃথিবী ভ্রমন শেষে সবাইকে একক সত্ত্বা নিয়েই যেতে হয় কিন্তু শ্রেষ্ঠ জীব হয়ে ভ্রমনের পথে ইতিহাসের আড়চোখেই থাকে মানুষ ;অসহায়ত্বের শিকার হয়,সংখ্যায় অনেক কম বলে!!!তাই উত্তরাধিকারী সুত্রে মানুষের ভিড়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে ভ্রমন শেষ করাটাই অনেক কঠিন হয়ে পড়ে!!!

সৃষ্টিকর্তা বিবেক দিয়ে মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।মনুষ্যত্ববোধ বা মানবিকতা বিবেকের সঠিক দিক নির্দেশনার পরিচায়ক।মধ্যযুগের “স্রষ্টা’’ কেন্দ্রিক দর্শন থেকে বেরিয়ে এসে মানবসভ্যতা দেখা পায় ইউরোপীয় রেনেসাঁর।দর্শনের কেন্দ্রে ছিল মানবতা।পাশ্চাত্যের মানবতার বানিজ্যিক প্রচার এবং অতীতের সঙ্গে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতার প্রভাব আজ বিশ্বজুড়ে পরিলিক্ষিত। মুক্তবাজার অর্থনীতির ছদ্ধবেশে পুঁজিবাদের আগ্রাসন ও সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করে প্রাচীন সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা করেই চলেছে ইউরো-মার্কিন আধুনিকতাবাদ।পদভারে কম্পিত পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িকতা,জাতীয়তাবাদ কিংবা রাজনীতির বিশ্লেষণে সম্পর্কের তীক্ষ্ণতায় বিভেদ তৈরি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন রূপে।ফলে বিবেকের বিষয়ীকেন্দ্রিক(subjective) ব্যবহার থাকলে ও বাস্তব (objective)ব্যবহার হচ্ছে কেবল নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য।স্থান,কাল,পাত্রভেদে শুধুমাত্র মাত্রা পরিবর্তন হচ্ছে কিন্তু দিক একই থাকছে।মনুষ্যত্বের পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছে আধিপত্য।যদিও কোন ধর্মই মনুষ্যত্বকে অস্বীকার করে না,জাতীয়তাবাদ ব্যক্তির অনুভূতি ব্যতিত সম্ভব নয়,রাজনীতির প্রধান উৎস ও জনগন।জীবনের প্রতিটি ধাপেই মানবতার ট্যাবলেট খাইয়ে মানবতা বিসর্জন দিয়ে পাশবিকতার মাধ্যমে নতুন পরিচয়ে গড়ে উঠছি শিকারী হয়ে।গর্ববোধ করছি শিকারী কোন দলের সদস্য হিসেবে।

শিক্ষার উদ্দেশ্য ও প্রয়োগ,নৈতিক মূল্যবোধ সর্বোপরি ব্যক্তির পরিবর্তনের মাধ্যমেই সমাজের পরিবর্তন আর সমাজের পরিবর্তনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের পরিবর্তন সম্ভব।তাই কোন সমাজে বসবাস রত মানুষের আচার ব্যবহার এর মাধ্যমেই রাষ্ট্রের চিত্র ফুটে উঠে।একুশ শতকের স্নায়ু যুদ্ধে প্রাচীন এই বঙ্গদেশ ও এর প্রভাব প্রতীয়মান।সমর্থন দিয়ে,প্রতিবাদ করে,চুপ থেকে,নিয়ন্ত্রনহীন মতামত প্রকাশের মাধ্যমে বিভেদ সৃষ্টি করে যুদ্ধের কোন একটি ধাপে আমরাও অংশগ্রহন করছি।
ধর্ম-দর্শন-জাতিয়তাবাদ-মতবাদ-বিশ্বাস-রাজনীতি ব্যক্তিভেদে ভিন্নতা রয়েছে।এগুলো একসাথে গুলিয়ে ফেলা কখনই কাম্য নয়।প্রাচীন গ্রীক মিথলজীর সাথে রাজনীতি কিংবা দেশপ্রেমের সংমিশ্রণ এর ফলে সমাজ চিত্র কখনই সহজ হবে না বরং জটিলতা বাড়বে।কারন বিবেকজনিত পুরো কার্যক্রমই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।অতীত ও বাস্তবের অমিল বেশী থাকায় বিবেকের ভিন্নতা লক্ষনীয় হবে এটাই স্বাভাবিক।তাই সমাজের প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল উভয়ের সহনীয় আচরনই একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থার অলংকার।মানুষ বাদ দিয়ে যেমন শুধুমাত্র বাঙ্গালী হওয়া উচিৎ নয় আবার অতিমাত্রায় মানবিকতা দেখিয়ে বাঙ্গালীয়ানায় আঘাত দেয়া ও ঠিক নয়।কারন ইউরোপীয় রেনেসাঁর জারজ ঔপনেবেশিক শাসন আর পাকিস্থানী বর্বরদের কাছে ক্রমাগত মানবতা বিপর্যয়ের ধাপেই প্রায় চার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালীদের জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একত্রিত করে বিকশিত করেছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
তাই বিশ্ব সমাজ প্রতিষ্ঠায় সমাজের প্রতিটি স্তরে মানবতা লঙ্ঘন কারীদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই।ভুক্তভোগীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।
অসাম্প্রদায়িক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদ হোক আমাদের একমাত্র অহংকার । দেশপ্রেম কিংবা মানবতা মুক্তিপাক বাণিজ্যিক ব্যবহার থেকে ।
পরিশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মরণাপন্ন সহ কারাবন্দি চন্দ্র ঘোষকে করা উক্তি দিয়েই শেষ করছি “আমি মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখি। রাজনীতিতে আমার কাছে মুসলমান, হিন্দু ও খ্রিস্টান বলে কিছু নেই। সকলেই মানুষ।’’(অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা : ১৯১)
বিঃদ্রঃ মতামত গুলো একান্তই ব্যক্তিগত।ভুল ত্রুটি নিজ গুণে সংশোধন যোগ্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.