নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথা

অনউর্বর মস্তিস্কের চিন্তা - ভাবনা

শ্ঊভ

আমি একজন ছাত্র

শ্ঊভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিনন্দন কেশব রায়

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করত একটা ভাঙারির দোকানে । স্কুল শুরু আর ছুটির সময় দোকানের দরজা বন্ধ রাখতেন কেশব; বন্ধুদের সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে যাওয়ার ভয়ে, লজ্জায়!



নীলফামারীর কেশব রায় তখনো জানতেন না, একদিন বিশ্বজোড়া নাম হবে তাঁর। যে মানুষটার ‘এডুকেশনের’ পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তিনিই পাবেন জাতিসংঘের ‘ইয়ুথ কারেজ অ্যাওয়ার্ড ফর এডুকেশন’!



ইয়ুথ কারেজ অ্যাওয়ার্ড ফর এডুকেশনের জন্য সারা বিশ্ব থেকে সাতজনকে বাছাই করেছিল জাতিসংঘ। তাঁদের মধ্যে একজন আমাদের কেশব রায়। কেমন করে কেশব এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন, জানতে আমরা চোখ বোলাই কেশবের কাছে জাতিসংঘের শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের লেখা চিঠিতে। তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিটি ছেলেমেয়ের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে তুমি অবদান রেখেছ। এর স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা তোমাকে তরুণদের জন্য অনুসরণীয় একজন নেতা হিসেবে মনোনীত করেছি। তোমাকে অভিনন্দন।’



এই মানুষটা প্রায় ২৫টি বাল্যবিবাহ রোধ আর ৫০টি ঝরে পড়া শিশুকে স্কুলমুখী করতে অবদান রেখেছেন।



ভাঙারির দোকানে কাজ করছিলাম এক বছর। বাবার শরীরটা একটু ভালো হওয়ার পর আমাদের শিশু সংগঠনের সভাপতি কাঞ্চন রায়কে বললাম, “আপনি বাবা-মারে একটু বোঝান, আমি আবার স্কুলে যাইতে চাই।” কাঞ্চনদা কথা বললেন। বাবা মা-রাজি হইল। শেষ মাসের বেতন পেয়ে ১৫০ টাকা দিয়ে স্কুলে ভর্তি হইলাম, আর ১৫০ টাকা দিয়ে বই-খাতা কিনলাম।’ বলছিলেন কেশব। শুরু হলো আবার কেশবের স্কুলজীবন। প্ল্যান বাংলাদেশের জলঢাকা উপজেলার শিশুদলের সঙ্গে কেশব নিয়মিত কাজ করতে শুরু করলেন। শিশু অধিকার, শিশুবিবাহ বন্ধ, স্যানিটেশন, গর্ভবতী মায়েদের সেবা, ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিলেন। হয়ে উঠলেন জলঢাকা উপজেলা ও রংধনু শিশু ফোরামের সভাপতি। এলাকার বঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়াতে শুরু করলেন কেশব। পাশাপাশি চলল বাল্যবিবাহ বন্ধের তৎপরতা।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.