নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খাপ খোলা কলমে শাণিত হোক মঞ্চ...

কূপমন্ডূক

জানা ভালো, না জানা খারাপ, ভুল জানা অপরাধ

কূপমন্ডূক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ময়না তদন্তঃ ভুবন মাঝি

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:২১


"আয়নাবাজি"র মত অতটা হাইপ না হলেও "ভুবন মাঝি" নিয়ে উত্তেজনা খুব একটা কম হয়নি। গতকাল চট্টগ্রামের মাঝারি ধরণের বৃষ্টি উপেক্ষা করেও থিয়েটার ইন্সটিটিউটে মানুষের ভীড় প্রচণ্ড হয়েছে, অনেককে টিকেট না পেয়ে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরতেও দেখেছি।

সিনেমার প্রসঙ্গে আসি। ওপার বাংলার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি সিনেমা "ভুবন মাঝি।" পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খানেরও প্রথম সিনেমা। এতসব প্রথমের ভীড়ে সিনেমার কাহিনী যেন হয়ে গেলো বড্ড বেশি গতানুগতিক, ক্লিশে। মুক্তিযুদ্ধকালীন সিনেমা, মুক্তিযুদ্ধ, স্টেনগান, গ্রেনেড, ৭ই মার্চের ভাষণ... এসব আসবে, স্বাভাবিক। কিন্তু, কাহিনীতে নাটকীয়তা, অনিশ্চয়তা আনা যেতো ভালোভাবেই। যেটা কেন যেন ওভাবে আসেনি।

সিনেমার মূল চরিত্র নোহির (পরমব্রত) এবং ফরিদা (অপর্ণা)। নোহিরের থিয়েটারের নেশা। ১৯৭০ সালে সে গ্রাম থেকে কুষ্টিয়া আসে চাচার কাছে। উদ্দেশ্য, কুষ্টিয়ায় চাচার বাড়ি থেকে লেখাপড়ার পর্ব সমাপ্ত করবে। তখন দেশে রাজনৈতিক টানাপোড়ন চলছে। ফরিদা রাজনীতি সম্পর্কে খুবই সচেতন। রাজনৈতিক বই-টই পড়ে। কিন্তু, নোহিরের এদিকে খুব একটা আগ্রহ নেই। সে থিয়েটার পছন্দ করে। রবীন্দ্রনাথের "সঞ্চয়িতা" পড়েই সে কাটিয়ে দিতে চায় এক জীবন।

১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হয়। পরিস্থিতির চাপে, নোহির আর তাঁর বন্ধু মিজান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্যে প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বিহার যায়। সেখানে গিয়ে নানাঘটনার পরে নোহির বুঝতে পারে, মানুষ হত্যা করতে সে পারবেনা। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা মানেই মানুষ হত্যা করা। এ কাজটা সে পারবেনা। আসলেও কী পারবেনা? তা জানতে "ভুবন মাঝি" দেখা যেতেই পারে।

আমার কেন যেন মনে হলো, "ভুবন মাঝি" সিনেমার মূলচরিত্রগুলো ওভাবে ফুটে ওঠেনি, প্রথম কথা। নোহির, যে সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র, তাঁর অবদান শুধু কয়েকটা গনজাগরণে, ছোটখাটো অপারেশনে। প্রথমদিক তার অসহায়ত্ব, নির্বিবাদী মনোভাব সে ভালোভাবে ফুটিয়ে তুললেও, শেষে তার যুদ্ধ না করতে পারার সাহসহীনতা , মানুষ(!) হত্যা করতে না পারার ব্যর্থতা... গোটা চরিত্রটির ওপরেই কেন যেন একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়ে গেলো। সবমিলিয়ে, নোহির চরিত্রটি কেমন যেন খাপছাড়া। ফরিদা সচেতন মেয়ে, রাজনীতিজ্ঞান যথেষ্ট টনটনে, কিন্তু তার পরিণতিটাও কেমন যেন আশাব্যঞ্জক হলোনা। সে কেন যুদ্ধে গেলোনা? যুদ্ধে না গেলেও সে নানাভাবে অসাধারণ কোনো অবদান রাখতে পারতো মুক্তিযুদ্ধে, তাও হলোনা, তার চরিত্র কেন আরেকটু খোলতাই করা হলোনা, প্রশ্ন থেকে যায়।

সিনেমার এক দৃশ্যে, নোহির এবং মিজান কলকাতায় যায়। এই অংশটা পুরোপুরি অতিরিক্ত একটা ব্যাপার মনে হয়েছে। কলকাতায় যাওয়ার সে অংশটা নিয়ে একটা গানও আছে সিনেমায়। পরমব্রত'র গলায় সে গানটা ইতোমধ্যে অনেকেই শুনেছেন। বেশ জনপ্রিয় হয়েছে গানটি। কিন্তু, সিনেমায় এ কলকাতাপর্ব টুকু না ঢোকালে বোধহয় কোনো ক্ষতিই হতোনা।

ডায়ালগ ডেলিভারি নিয়েও সমস্যা আছে। দুয়েক জায়গায়, দুয়েক জনের সংলাপে মনে হচ্ছিলো, মুখস্ত করে ডায়ালগ ডেলিভারি দিচ্ছেন তারা। বিষয়টি যে স্বতঃস্ফূর্ত হয়নি, সেটা চোখকান খোলা রাখলেই অনেক জায়গায় স্পষ্ট বোঝা যাবে। গানের লিপসিংও ভুল ছিলো কয়েক জায়গাতে। সিনেমার দুয়েকটা ডায়ালগ খুবই ভালো ছিলো। কিন্তু, বাকিগুলো গড়পড়তা, খুবই সাধারণ। কুশীলবদের শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার কারণে অনেকগুলো ডায়ালগকে মনে হয়েছে যাত্রার সংলাপ, চরম নাটকীয়। মনেই হচ্ছিলো, এটা একটা সিনেমা দেখছি। ওরা কুশীলব, আমি দর্শক। কুশীলব আর দর্শকের মধ্যবর্তী মানসিক ঐকতানটা কেন যেন আসেনি আর। সিনেমাও আর ঢুকে পড়তে পারেনি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অভ্যন্তরে।

সিনেমার সবচেয়ে খারাপ অংশ বোধহয় একফ্রেমে কয়েকটা সময়কে তুলে আনা। ১৯৭০,১৯৭১,২০০৪,২০১৩... সিনেমা এ চারটি সময়কে ভিত্তি করে এগিয়েছে সামনে। অথচ, এ অংশটাই সবচেয়ে সুন্দর হয়ে উঠতে পারতো, সিনেমাকে অনেকটাই এগিয়ে দিতে পারতো। কিন্তু, এক্ষেত্রে, তা ব্যর্থ হয়েছে। দেখা গেলো, ১৯৭১ দেখছি। হঠাৎ সেখানে ২০১৩ সালের আবির্ভাব। দর্শকের মাইন্ড সেটআপ এক যুগে ফোকাস হলে সেখান থেকে দুম করে আরেক যুগে নিয়ে যেতে হলে ক্যামেরায়, স্ক্রিপ্টে অসাধারণ মুন্সিয়ানার প্রয়োজন বলেই মনে করি, তা হয়নি এ সিনেমায়। তাছাড়া, সবগুলো সময়ে একই ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে। সিনেমা দেখতে দেখতেই ভাবছিলাম, এক্ষেত্রে যদি সময়গুলোকে বিভিন্ন ফিল্টারে ভাগ করা হতো, তাহলে বেশ হতো। অনেকটা সৃজিত মুখার্জীর "চতুষ্কোণ" সিনেমার মত। চারটি গল্প, চারটি ফিল্টার। অসাধারণ হতো তাহলে। সচরাচর, আমরা দেখি, পেছনের ইতিহাস দেখাতে সাদা-কালো ফিল্টার ব্যবহার করা হয়, দৃশ্যগুলো সাদাকালো হয়ে যায়। এক্ষেত্রে, উল্টোটা করা যেতে পারতো। ১৯৭০,১৯৭১ রঙিন ফিল্টার, ২০০৪ অনেকটাই ফিকে, ২০১৩ সাদা-কালো ফিল্টার। রূপকধর্মী একটা বিষয়ও কিন্তু পেতাম। ১৯৭১ সালে দেশ আসলেই রঙিন ছিলো, মানুষের দেশপ্রেম ছিলো, দেশের জন্যে ভালোবাসা ছিলো। এ প্রজন্মের আমরা কয়জন জানি যুদ্ধ সম্পর্কে, কয়জন বুকে ধারণ করি দেশপ্রেম? আস্তে আস্তে তো আমরা বিবর্ণই হচ্ছি। এ মেসেজটা খুব সুন্দর করে স্ক্রিণ ফিল্টারিং করে দিয়ে দেয়া যেতো। সময়গুলোর হুটহাট, অহেতুক দৌড়াদৌড়ি ভালো লাগেনি।

এতগুলো চরিত্রের ভীড়ে একমাত্র যার অভিনয় ভালো লেগেছে, তার কথা লিখতে গিয়ে আমি একটু শঙ্কাবোধ করছি। সিনেমায় এক ভয়ঙ্কর, ভয়ালদর্শন রাজাকার ছিলেন। তার অভিনয়ই আমার বেশি ভালো লেগেছে বাকিদের চেয়ে। "রাজাকার" চরিত্রে অভিনয় করা শুভাশিস ভৌমিককে বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠান "ইত্যাদি"তে প্রায়ই দেখা যায়। তাকে সিনেমায় আর কখনো দেখিনি। এটা কী তারও প্রথম চলচ্চিত্র? জানি না। শুধুমাত্র তার ডায়লগ ডেলিভারিই মনে হয়েছে স্বাভাবিক, আড়ষ্টভাব বর্জিত। যদিও তার কর্মকাণ্ড ছিলো ন্যাক্কারজনক (রাজাকারদের কর্মকাণ্ড কবেই বা ভালো ছিলো?)

সিনেমার কিছু দৃশ্য খুবই অসাধারণ ছিলো। নদীর তীরে জোছনাদৃশ্য, রেললাইনের শীতের ভোর, দেওয়াললিখন গুলো, পিন্ডি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা, বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো... ভালো লেগেছে।

সিনেমার গানগুলো নিয়ে কিছু বলার নেই, অসাধারণ। বিশেষ করে "আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই..." এ গানটা যে কতবার শোনা হলো, ঠিক নেই। এ গানেরই "কবিতা গেলো মিছিলে, মিছিল নিয়েছে চিলে, অসহায় জন্মভূমি..." অসাধারণ এক অংশ। সিনেমার আবহসঙ্গীত ব্যবহারে অসাধারণ কাজ দেখিয়েছেন কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্য। প্রয়াত এই গুনী মানুষটির জন্যে আবারও মনখারাপ লেগেছে। এই প্রথমবার কোনো সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন। আরে, তারও তো প্রথম সিনেমা "ভুবন মাঝি!" হোক না সঙ্গীত পরিচালনার দিক থেকে। বেঁচে থাকলে হয়তো আরো নানাভাবে তিনি সমৃদ্ধ করে যেতেন এদেশের সঙ্গীতশাস্ত্রকে। বড্ড অবেলায় চলে গেলেন তিনি।

যাই হোক, যা বলছিলাম, আবহসঙ্গীত। সিনেমার এক দৃশ্যে, নোহির একটি মৃতদেহ নিয়ে ধীরে ধীরে এগোয়। সে সময়ে, আবহসঙ্গীতে করুণ বাঁশির সুর, কলজেতে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছিলো। আবহসঙ্গীত "ভুবন মাঝি"কে এগিয়ে দিয়েছে বহুগুণ। শুধুমাত্র, কালিকা প্রসাদের কাজ দেখার জন্যে হলেও প্রত্যেকের এ সিনেমা দেখা উচিত। পয়সা উসুল হতে বাধ্য।

সিনেমাদেখা প্রসঙ্গে কয়েকটা দুঃখের কথা বলি। চট্টগ্রামের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে সিনেমা দেখতে গিয়েছি। পেছনে সীট পাইনি, সামনে থেকে দ্বিতীয় সারিতে বসেছি। বসার পর থেকেই পাশের সারির এক বাচ্চার উৎপাত শুরু হলো। বাবা-মা'র সাথে এসেছে সে। সিনেমা বোঝার বয়স তার এখনো হয়নি, স্বাভাবিক। সিনেমার শুরু থেকেই সে উচ্চস্বরে গান, নাচ, হাত-পা ছোড়াছুঁড়ি, কান্না, দৌড়ঝাঁপ, লাফালাফি, মোবাইল টেপাটেপি, চিপসের প্যাকেট নিয়ে খচমচানি... জীবন ত্যক্তবিরক্ত করে দিয়েছে। আরেক সমস্যা হয়েছে পেছনের সারির এক আঙ্কেলকে নিয়ে। তিনি মোবাইল ব্যবহারে অতটা দক্ষ না, বুঝতে পারছিলাম। কে যেন বারবার তাকে কল দিচ্ছিলো, আর উচ্চস্বরে মোবাইল বেজে উঠে মনোযোগের বারোটা, তেরটা, চৌদ্দটা বাজাচ্ছিলো। যদিও, অনেক দর্শক তাকে তীব্র তিরস্কার করছিলেন, মোবাইল সাইলেন্ট করার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। কিন্তু, আমার কেন যেন খারাপই লাগলো তার জন্যে। ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেলাম অনেকদিন আগে, আমি স্কুলে পড়ি। বড়ভাই ঢাকা থেকে বাসায় এসেছে, হাতে মোবাইল। এ বস্তুর সাথে তখনও সখ্যতা হয়নি। নাম জানতাম, নিজেদের ছিলোনা। নোকিয়া ১১০০ মডেলের মোবাইল। দুপুরে মোবাইল বালিশের নীচে নিয়ে ঘুমিয়েছি। হঠাৎ, তীব্র কম্পনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দেখলাম, বালিশ কাঁপে। বালিশ উল্টিয়ে দেখি, মোবাইলও অস্বাভাবিকভাবে কাঁপছে। আমি লাফ দিয়ে খাট থেকে নেমে এক দৌড়ে বাইরে চলে গেছিলাম। পরে জানলাম, মোবাইলে কল আসায় মোবাইল ভাইব্রেট করছিলো। আহা! স্মৃতি :( তাই, গতকালের বৃদ্ধ লোকটির জন্যে করুণামিশ্রিত এক বিরক্তি ছিলো মনে।

সবমিলিয়ে, "ভুবন মাঝি" এক মোটামুটি মাপের সিনেমা। পরিচালক যেভাবে ভেবেছেন, সেভাবে দৃশ্যপট ফুটিয়ে তুলতে পারেননি এক ঘন্টা তেপ্পান্ন মিনিটের এ চলচ্চিত্রে। কাহিনীর খামতি কয়েক জায়গায় ছিলো। এবং সিনেমার যেন অনেককিছুরই সমাপ্তি হয়নি। মনে হচ্ছিলো, কাহিনী যেন আরো বাকি আছে। দুম করেই যবনিকাপাত করা হয়েছে। একটা ছোটখাটো টুইস্টও ছিলো, যা নিতান্তই সাধারণ মনে হয়েছে। সিনেমার দুয়েক জায়গায় তীব্র অসঙ্গতি ছিলো। এগুলো এখন না বলি, উহ্য থাকুক।

সবাই "ভুবন মাঝি" দেখুক, পরিচালকের প্রথম চলচ্চিত্র, তাকে উৎসাহ দেয়ার জন্যে দেখুক, পরমব্রত'র এপার বাংলার প্রথম সিনেমা, তার জন্যেও দেখুক। অথবা, দেখুক শুধুমাত্র কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্যের জন্যে। যার সর্বশেষ কাজটি বেঁচে থাকবে "ভুবন মাঝি"র মধ্য দিয়ে। তাছাড়া, এ সিনেমা বড়পর্দায় না দেখে কেউ যদি ল্যাপটপ বা টিভিস্ক্রিণে দেখেন, সে সিনেমার অর্ধেক উপলব্ধিটাই পাবেনা, এটা হলফ করে বলতে পারি। "ভুবন মাঝি" আমাদের সিনেমা, বাংলাদেশের সিনেমা, মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা। তাই, হলে আসুন, ভুবন মাঝি দেখুন, গঠনমূলক সমালোচনাও চলুক নাহয় সে সাথে।

কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্যের জন্যে শ্রদ্ধা। "ভুবন মাঝি" প্রতিকূল নদীতেও দৃপ্ত হাতে নৌকা বেয়ে যাক, এটাই প্রত্যাশা।

সিনেমাঃ ভুবন মাঝি
পরিচালকঃ Fakhrul Arefeen Khan
অভিনয়ঃ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা ঘোষ, মাজনুন মিজান...
মুক্তিঃ মার্চ ৩, ২০১৭
ধরণঃ মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, প্রেম
আইএমডিবি রেটিংঃ ৮.৫/১০ (১৩৭)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। আপনার হাত এদিকে বেশ পাঁকা, বুঝতে পারছি।
পরমব্রতকে ভালো লাগে না। তাকে বোধহয় প্রথম লক্ষ্য করি, ফেলুদাকে নিয়ে করা সিনেমাগুলোতে। এরপর বাইশে শ্রাবণ, চতুষ্কোন, অভিশপ্ত নাইটি- সবগুলোতেই বেশ মনে ধরানোর মত অভিনয়।
মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা নিয়ে স্বভাবতই আমাদের আকাংখা বেশি, সেটা যে পুরোটা মেটাতে পারেনি, আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারছি। আপনার এই টাইম ডিভিশনের উপায়টাও মনে ধরল।
সিনেমাটা দেখব। এমন অস্থির সময়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চলচিত্র জগতে কাজ হচ্ছে, ভাবতেই ভাল লাগে।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পরমব্রতকে ভালো লাগে
না'টা ভুলে চলে এসেছে।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

কূপমন্ডূক বলেছেন: ধন্যবাদ।

পরমব্রত'র অভিনয়ের আমিও বেশ ভক্ত। বেশ ফ্লেক্সিবল অভিনেতা। মানিয়ে নিতে পারে যেকোনো চরিত্রেই। কিন্তু, এ সিনেমার স্ক্রিপ্টজনিত দুর্বলতাই আসল পরমব্রত'কে পর্দায় আসতে দিলোনা। এটাই ব্যর্থতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.