![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেকা ফেরদৌসির রান্না বিষয়ক নির্যাতনকে যেভাবে পজিটিভ ভাবে ব্যবহার করতে পারেন জনগণঃ
১. যেসব এলাকায় জ্যাম বেশি হয়, যেসব এলাকার জ্যাম ট্রাফিক পুলিশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, সে সব এলাকায় জ্যাম শুরু হলেই বড়পর্দায় কেকা ফেরদৌসি'র রান্নার অনুষ্ঠান দেখাতে হবে। জ্যাম ছুটে যাবে প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুতগতিতে।
২. বিয়েবাড়িতে অনেকসময় তৈরি করা খাবারের চেয়ে অতিথি বেশি চলে আসে। এ সংকটকালীন অবস্থা দূর করতে বিয়েবাড়িতে বড়পর্দায় তার রান্নার অনুষ্ঠান দেখানো যেতে পারে। আশা করা যায়, খাবার কম তো পড়বেই না, উদ্বৃত্ত থেকে যাবে।
৩. বাচ্চাদের আগে জুজুবুড়ির ভয় দেখিয়ে খাবার খাওয়াতে হতো। আজকালের গুগল-ইউটিউব ঘেঁটে বড় হওয়া বাচ্চারা এসব সেকেলে জুজুবুড়িকে থোড়াই কেয়ার করে। এদেরকে দমন করতে কেকা ফেরদৌসি'র রান্নার অনুষ্ঠানই একমাত্র সমাধান।
৪. রিমান্ডে অপরাধীদের ডিম থেরাপি, বাঁশ থেরাপি, গরম পানি থেরাপি, বাল্ব থেরাপি দেয়া হয়। এগুলোর পরিবর্তে এদেরকে "কেকা থেরাপি" দিতে হবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এদেরকে রান্নাগুলো দেখানো হবে। মাঝেমধ্যে, রান্না করা আইটেমগুলো খাওয়ানোও হবে। নিশ্চিত করে বলা যায়, সুড়সুড় করে সব তথ্য এরা বের করে দেবে।
৫. ২০১৮ সালে নির্বাচন আসছে। রাজনৈতিক দলগুলো "কেকা ইস্যু"কে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে তাদের ইশতেহারে ব্যবহার করতে পারে। "আমার দল ক্ষমতায় গেলে টিভিতে এই মহিলাকে এবং তার অনুষ্ঠানগুলোকে ব্যান করা হবে" যদি কেউ বলতে পারে, জনগণ তার ওপরেই ভরসা রাখবে, গ্যারান্টেড।
৬. বাংলাদেশে হরর ছবির পরিচালক নেই বললেই চলে। এদেশে বিশ্বমানের হরর ছবি হয়না। যারা হরর ছবি করতে চান, তাদেরকে একটা পরামর্শ দিতে পারি। ইউটিউব থেকে কেকা ফেরদৌসি'র রান্নার কয়েকটা অনুষ্ঠানের ক্লিপ ডাউনলোড করুন। এ্যাটাচ করুন। এখন ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে "হু হু হু" টাইপের কয়টা হরর মিউজিক আনেন, পিকচার সামান্য ফিল্টার করেন। দেখবেন, বিশ্বমানের হরর সিনেমা হয়ে যাবে। অস্কারও চলে আসতে পারে। বলা যায় না...
৭. টকশোতে দেখবেন, মাঝেমধ্যে দুয়েকজন গেস্ট এমন আসে, কথা বলতে শুরু করলে উঠতে চায় না। এদের কানে কানে ফিসফিস করে বলবেন, "স্যার, কেকা ফেরদৌসি আসতেছে স্টুডিওতে, আপনাকে রান্না করে খাওয়াবে"। আশা করা যায়, সে লোক দ্রুতই টকশোর সেট ত্যাগ করে পালিয়ে যাবে।
৮. বাসায় মাঝেমধ্যে এক শ্রেণির গেস্ট আসে, এরা এলে আর যেতে চায় না। মনে হয় যেন, নিজেদের বাসার ঠিকানা ভুলে এখানে চলে এসেছে। ঠিকানা মনে পড়লেই ফিরে যাবে। এদেরকে কেকা ফেরদৌসি'র "নুডুলস থেরাপি" দিতে হবে। আশা করা যায়, আপনার গেস্ট তো চলে যাবেই, উপরি হিসেবে জীবনেও আর এমুখো হবেনা। তবে, সমস্যা হলো, এ জাতীয় গেস্টগুলো নির্লজ্জ টাইপের হয়। ফিরে আসতেও পারে। গ্যারান্টি দেয়া যাচ্ছেনা।
৯. কাউকে থ্রেট দিতে চান, কাউকে টাকা ধার দিয়েছেন, সে এখনো ফেরত দিচ্ছেনা, এই প্রজাতির লোকগুলোকে টাইট দিতে ফোনটা শুধু তুলবেন, নাম্বারটা ডায়াল করবেন আর বলবেন "তোর জন্যে কেকা ফেরদৌসি'র রান্নার ডিভিডি নিয়া আসতেছি"। এটুকুই শুধু বলবেন, বাকিটা নিজেই দেখবেন। বিফলে আইডিয়া ফেরত...
১০. চোর-ডাকাতের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ বাসায় কত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, বিদেশি কুকুর পালে, এলার্ম ডোর ব্যবহার করে, সিসি ক্যামেরা ফিট করে, লাইসেন্স করা বন্দুক রাখে...বহু জটিল বিষয়। এসবের কিচ্ছু দরকার নেই। বাসার গেটের ওপরে ছোট্ট একটা টিভি মনিটর ফিট করেন, সেখানে কেকা আপার রান্নার অনুষ্ঠান চালিয়ে দেন। চোর-ডাকাত তো দূরের কথা, কোনো ভিখারিও আপনার বাড়ির ত্রিসীমানায় আসবে না। তবে, এ আইডিয়ার একটা অসুবিধা আছে। দেখা গেলো, আপনার কোনো কাছের গেস্ট আপনার বাড়িতে বেড়াতে আসবে। সে দেখলো গেটের ওপরে এই দৃশ্য। সে ও ফিরে চলে যেতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
১১. সামনেই ইদের ছুটি দেবে। টিকেট কাটতে দৌড়াতে হবে রেল, বাস, লঞ্চ এর টিকেট কাউন্টারে। এসব জায়গায় এ সময় তীব্র ভীড় থাকে, আপনি যদি আরামে টিকেট কেটে বাড়ি ফিরতে চান, তাহলে একটাই কাজ শুধু করবেন। ভীড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে "সবাই পালা, কেকা ফেরদৌসি আসতেছে" বলে একটা চিৎকার দেবেন সর্বশক্তিতে। আশা করা যায়, কাউন্টারের আশেপাশে যদ্দুর চোখ যায়, ফাঁকা হয়ে যাবে। আরামে টিকেট কেটে ঘরে ফিরতে পারবেন। তবে, এ পদ্ধতিরও একটা অসুবিধা আছে। আপনার চিৎকারে টিকেট কাউন্টারের ভেতরের লোকও যদি পালিয়ে যায়, তাহলে আর টিকেট কাটা হবে না। এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
১২. কোনো লোককে পাবলিকের হাতে গণপিটুনি খাওয়াতে চান, লোকজনের কানের কাছে ফিসফিস করে বলুন, "ঐ লোকটা কেকা ফেরদৌসির রান্নার অনুষ্ঠানের ক্যামেরাম্যান।"
বাকিটা জনগণ বুঝে নেবে...
০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
কূপমন্ডূক বলেছেন: হা হা
২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
মাজিদুল ইসলাম বলেছেন: জব্বর বলছেন ভাই
০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
কূপমন্ডূক বলেছেন: ধন্যযোগ
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: মজা পেলুম পড়ে। কেকা জানলে আপনাকে বাঁশ থেরাপির ব্যবস্থা করবে।
০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২১
কূপমন্ডূক বলেছেন: কেকাকে ডরাই না
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৭
ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা মজা তো !!
০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২২
কূপমন্ডূক বলেছেন: সেই মজা
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭
রক বেনন বলেছেন: ভাই, নুডুলসের আচারের কথা বললেন না??
০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২২
কূপমন্ডূক বলেছেন: নুডুলসের জুসের কথাও বলিনাই
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাংক খাবারের মাতা