নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন হয়েই থাকতে চাই। শিরোনাম হয়েও দেখেছি, কোনো লাভ নাই। পেশায় শিক্ষক ও গবেষক। থাকি আপাতত ফিনল্যান্ডে। পড়াই ও গবেষণা করি এখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মূলত বাণিজ্যের ছাত্র, অতপর শিক্ষক। পড়াশুনা, গবেষণা ও শিক্ষকতা করেছি বাংলাদেশ, জাপান, ও নিউজিল্যান্ড।

শুভবাদী রোদ

শুভবাদের জয় হোক।

শুভবাদী রোদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা শহর: আমার শহর, প্রেমের শহর, পাপের শহর

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

ঢাকা শহরে আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তাই অন্য অনেকের মতো আমার কোনো প্রাকৃতিক শৈশব ছিল না। যা ছিল তা চার দেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তখনো খেলার মাঠ কিছু ছিল। এলাকায় এলাকায় খেলাধুলা, মারামারি হতো। আস্তে আস্তে তাও মিলিয়ে যেতে থাকে। আমার শৈশবে খেলাধুলার সুযোগ তেমন হয়নি। যা-ও একটু হয়েছিল তা-ও খেলার সাথিদের অভিযোগের কারণে আম্মা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একবার ফুটবল খেলতে গিয়ে আমার এক খেলার সাথির শার্টের একটি বোতাম ছিড়ে যায়, আর সে চলে আসে বিচার নিয়ে আমার মায়ের কাছে। ফলে যা হবার তা-ই হলো। নিষেধাজ্ঞা জারি হলো। আমার স্বল্পশিক্ষিত মা তো আর জানতেন না যে, খেলাধুলারও প্রয়োজন আছে! হয়তো ভালোই করেছিলেন। তারপর আমার সকল মেধা আর প্রতিভা গিয়ে উপুড় হয়ে পড়ল বই পড়ার উপর। এমন কোনো বই নেই, তিন গোয়েন্দা থেকে মাসুদ রানা, কোনোটা বাদ পড়েনি। ফলে সেই অর্থে কোনো সক্রিয় খেলাধুলাময় শৈশব আমার কপালে জুটেনি। সে সময়কার জেনারেশনের একটা বড় অংশ-ই হয়তো এভাবে বড়ো হয়েছে। আস্তে আস্তে খেলাধুলার মাঠ বিলুপ্ত হয়েছে। আর এখনকার ছেলেপুলেরা ক্রমশ ফেসবুক জেনারেশন হয়ে উঠেছে। ঢাকা শহরে মানুষের জীবনজাত্রার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু হয়নি। ঠিক যেমন এই শহরটি দিনে দিনে উন্নততর হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি।
ঢাকা শহর আজ মৃত্যুপুরী। এখানে বিনা পয়সায় মৃত্যু পাওয়া যায়।
পত্রিকা খুললেই জানা যায় মৃত্যুর সংবাদ।
রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা মোড়ে ম্যানহোলে পড়ে যাওয়া যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর আজ বুধবার বিকেলে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ময়লা পরিষ্কার করার সময় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই যুবক নিখোঁজ হন। এর পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে রাতের জন্য উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সকাল থেকে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হয় (সূত্র: প্রথম আলো)।
যে ঢাকা শহর ছিল আমার আমার মতো অনেকের প্রেমের শহর, আজ তা পাপের শহর। কিন্তু কার পাপ? সবার। এ আমার এ তোমার পাপ। এ বিধাতার অভিশাপ। আমাদের সম্মিলিত পাপের ফসল আমাদের মেয়র, আমাদের সংসদ প্রতিনিধি, আমাদের সরকার, আমাদের সরকারপ্রধান, আমাদের বিরোধী রাজনীতিক, সবাই, কেউ আজ আর বাদ নেই। সবাইকে সমানভাবে ভাগ নিতে হবে এই পাপের। দিন দিন আমরা ডুবে যাব অন্ধকারে। পাপের অন্ধকারে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

আমি ৎৎৎ বলেছেন: আপনার সবগুলো কথাই সত্যি।


(আমিও আপনার মত ঢাকায় বড় হয়েছি, কিছু অভাব আমাদের থাকবেই, গ্রামের পরিবেশটাই অন্যরকম।)


ভাল থাকবেন।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

শুভবাদী রোদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্য। সহমত পোষণ করেছেন, সেজন্য।
তবে ধ্বংসের দোরগোরায় না গেলে বোধহয় মানুষের বোধোদয় হয় না। আমাদেরকে তাই আরও অপেক্ষা করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.