নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের উপড়ে হাটতে শেখাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় একটা দক্ষতা। স্বপ্ন পূরণ করতে প্রয়োজন স্বপ্নের উপড় দিয়ে হেটে চলা। জীবনে সফল হবার জন্য প্রয়োজন সুস্থ স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্নের উপড় আরোহণ করা। আমি স্বপ্নের উপড়ে আরোহী একজন স্বপ্নঘোর ব্যক্তি।

অ শুভ্র আহমেদ

অ শুভ্র আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিবাদ সম্পর্কে হুমায়ূন আহমেদ- \'আমরা কোথায় চলেছি?

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬



আজ ১৯ জুলাই । নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু বার্ষিকী । হুমায়ূন আহমেদ আমার জীবনে প্রভাব ফেলা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম সারিতে আছেন। হুমায়ূন আহমেদ আমাকে খুবই প্রভাবিত করেছেন। আমি হুমায়ূন আহমেদকে ভালোবাসি। তার লেখা ভালোবাসি, নাটক ভালোবাসি, সিনেমা ভালোবাসি, গীত ভালোবাসি। লেখক হুমায়ূন আহমেদ বিভিন্ন সময় দেশের সাম্প্রতিক সময়ের বিষয় নিয়ে বেশকিছু কলাম লিখেছিলেন বিভিন্ন পত্রিকায়।

বরাবরের মতো বাংলাদেশ সব সময়ই জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত ছিলো। আগেও হয়েছে - এখনও হচ্ছে। তবে এবারের মতো মানুষ আগে এতো সন্ত্রস্ত হয়নি। দেশের খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে। আমাদের প্রথম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গিরা।

প্রতিদিন পত্রিকায় বিভিন্ন বুদ্ধিজীবিদের প্রবন্ধ ছাপা হচ্ছে। তবে, আমরা হুমায়ূন আহমেদের কাছ থেকে কিছুই পাই নাই। পাওয়া সম্ভবও না।
তবে আশার কথা হলো, হুমায়ূন আহমেদ ২০০৫ সালে জঙ্গিদের নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় একটি কলাম লিখেছিলেন। সেটি পড়লে অনেকেই বিভ্রান্ত হতে পারেন যে, পড়লে মনে হবে হুমায়ূন আহমেদ এখনের কথাই বলছেন। মনে হওয়া দুর্লভ যে এটা এগারো বছর আগে লেখা। সবার জন্য লেখাটি পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো :



আমাদের অতি প্রিয় শান্তিময় ছোট্ট সবুজ দেশটা কোথায় যাচ্ছে? একদল মানুষ শরীরে বোমা বেধে কী প্রমাণ করতে চাচ্ছে ? বেহেশতের জন্য অপেক্ষা? নিরীহ মানুষের রক্ত মেখে কী বেহেশতে যাওয়া যায়?

নবীজি (সা) এর একটি বাণী এরকম - 'আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি অনুগ্রহ পেতে পারে কে? সেই ব্যক্তি, যার কাছে আল্লাহর সৃষ্ট জীবন সবচেয়ে বেশি উপকার পায়। ' যারা পরম করুণাময়ের সৃষ্ট জীবন নষ্ট করছে, তারা কোন যুক্তিতে পরকালে তার কাছে করুণা আশা করে?
একদল মানুষ ভুল চিন্তায় ভুল পথে হাঁটতে শুরু করেছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের বুঝিয়ে বলতে হবে। নবীজি (সা) বলে গেছেন, ' মূল জিহাদ হলো নফসের বিরুদ্ধে '। অর্থাৎ নিজের হৃদয়ের ত্রুটির বিরুদ্ধে। যারা জিহাদের নামে বোমা বাঁধছে, তারা কী নিজের সঙ্গে জিহাদ শেষ করে এসেছে?

আমাদের হতদরিদ্র এই দেশে একজন উপার্জনক্ষম মানুষ একা মারা যান না। তাঁর ওপর নির্ভরশীল সবারই মৃত্যু ঘটে। স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রী কাঁদেন। সেই কান্নায় স্বজনহারা বেদনার সঙ্গে যুক্ত হয় একটি সুকরুণ হাহাকার- আমার এখন কী হবে! আমি কোথায় যাবো! কিভাবে বাঁচবো!

দেশের আজ চরম দুঃসময়। এই দুঃসময়েও দেখছি , রাজনৈতিক প্রধান দুটি দল একে অন্যকে দুষছে। হায় রে রাজনীতি! রাজনীতিবিদদের কী এখনো মনে হচ্ছে না , আর দেরি করা যাবে না? সবাইকে একসঙ্গে বসতে হবে। দেশের বর্তমান ভয়াবহ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

মহান রাজনীতিবিদেরা শুনুন। আপনাদের ক্ষমতা আপনাদের কাছেই থাকবে। একদল ক্ষমতায় বসবে - অপর দল বের হয়ে আসবে- এই চলবে। আমরা সাধারণ মানুষ আপনাদের ক্ষমতার বলয়ের ধারেকাছে যাবো না। যেতে চাইও না। আমরা বোমাবাজি নামক রাহুর গ্রাস থেকে মুক্তি চাই। আপনারা আমাদের প্রতি দয়া করুণ।

(১ ডিসেম্বর, ২০০৫, প্রথম আলো পত্রিকা)

বই আকারে পাওয়া যাবে প্রথমা প্রকাশনীতে। বসন্ত বিলাপ বইয়ের ১২-১৩ পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.