নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা - আমার সবচেয়ে প্রিয় অপরাধ, হতাশা - সেই অপরাধের শাস্তি।

আমি সেই বদলি খেলোয়ার, যে একজন star player'এর injury'র সুবাদে খেলা শেষ হবার ৫ মিনিট আগে মাঠে নেমে ২টি গোল করে খেলার ফলাফল ঘুরিয়ে দেয়।

সিফাতুল্লাহ

আমি সেই বদলি খেলোয়ার, যে একজন star player'এর injury'র সুবাদে খেলা শেষ হবার ৫ মিনিট আগে মাঠে নেমে ২টি গোল করে খেলার ফলাফল ঘুরিয়ে দেয়।

সিফাতুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালি জাতির উৎপত্তি - একটি সংক্ষিপ্ত নৃতাত্ত্বিক ও ভাষা গত বিশ্লেষণ

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮



বাঙালি জাতীয়তার দু'টা দিক আছে।

১) ভাষা ও

২) জনগোষ্ঠী।



|| ভাষা ||

বাংলাভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদের রচনাকাল ৬৫০ খৃষ্টাব্দ (ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ) অথবা ৯৫০-১২০০ (ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সহ অধিকাংশ)।. কিন্তু চর্যাপদের বাংলা আর আমাদের ব্যবহৃত প্রমিত বাংলার মাঝে বিশাল তফাত। পাল বংশের শাসনামলে আদি বাংলা চর্চার কিছু নিদর্শন পাওয়া যায়।



আর্যগণের মৌখিক ভাষা সম্পর্কে খুব একটা তথ্য পাওয়া না গেলেও তাদের ধর্মীয় গ্রন্থে বৈদিক ভাষার ব্যবহার লক্ষণীয়। এই বৈদিক ভাষার সংস্কারের ফলেই পাওয়া যায় সংস্কৃত ভাষা। অনেক বিদ্বান সংস্কৃত ভাষাকে বাংলার আদি স্তর মনে করলেও অধিকাংশের মতে সংস্কৃত চর্চা কেবল লৈখিক এবং এর চর্চা শুধু ব্রাহ্মণগণই করতেন। বাংলার আদি স্তর হল "প্রাকৃত ভাষা"।. সুকুমার সেনের মতে খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ বছরে প্রথম বেদ গ্রন্থ সংকলন করা হয় এবং ঋক বেদে প্রথম "বঙ্গ" কথাটির পাওয়া যায়।



প্রকৃত পক্ষে বাংলা ভাষা নিয়ে প্রথম গর্ব করার প্রমাণ পাওয়া যায় মধ্যযুগের মুসলিম কবি আবদুল হাকিমের (১৬২০-১৬৯০) বঙ্গবাণী থেকে। মুসলিম শাসনামলেই মূলত আধুনিক বাংলা ভাষার গড়ে উঠা। সর্বজন স্বীকৃত ও খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন" - লেখক বড়ু চণ্ডীদাস - সময়কাল আনুমানিক ১৩৭০-১৪৩৩ খ্রীঃ - শাসনামল > ইলিয়াস শাহি (স্বাধীন সুলতানি আমল)।

Click This Link

Click This Link



আমরা বর্তমানে যে ভাষায় কথা বলি তা হচ্ছে ১৮০০ সালে ইংরেজদের স্থাপিত কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনের মুদ্রণযন্ত্রের অবদান। তখন বাংলা ভাষার ভিন্ন ভিন্ন Dialect প্রচলিত থাকলেও মূলত যে Dialect-টি ফোর্ট উইলিয়ামের পণ্ডিতগণ তাদের মুদ্রণের জন্যে নির্বাচন করেন সেটিই প্রবর্তিতে টিকে যায়।





|| জনগোষ্ঠী ||

প্রাগৈতিহাসিক সময়ে এ অঞ্চলের মানুষ ছিল অস্ট্রিক ও পরে দ্রাবিড়রা। তাদেরকে হত্যা করে, তাড়িয়ে এ অঞ্চল যাদের দখলে আসে তারা ছিলেন আর্য।

"...প্রকৃতি পূজারি এ অঞ্চলের আদি জনগোষ্ঠী দ্রাবিড়-নিষাদ তথা অনার্য 'কালোরা' বৈদিক আর্যদের ব্রাহ্মাণ্যবাদী সংস্কৃতির প্রথম শিকার। আর্যরা এক সময় এ অঞ্চলকে পক্ষীশাবকের বাসভূমি বলে 'ঘৃণা' করতো। জলাভূমি ও বনজঙ্গলের জন্যে 'কুখ্যাত' এ ভূমিকে তারা বলেছিল - জন্মান্তরের পাপ আর অভিশাপের জন্যই কেবল সেখানে জনপদ গড়ে উঠেছে। সংস্কৃত শাস্ত্রে বলা হয়েছে 'বঙ্গে যেওনা, কারণ সেটা হল ব্রাত্য (নীচ অর্থে চণ্ডাল) দের দেশ'।. (উদ্ধৃতি, মুরশিদ, গোলাম, 'হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি পৃ ২২')

...বাঙালির সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ 'পুণ্ড্র'-যার সুস্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায় ঐতরেয় ব্রাহ্মণে।... এই সকল জনগোষ্ঠীকে 'পূর্ব দিকস্থ আর্যভূমিতে বসবাসকারী দস্যু' হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে (ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ৭, ১৬ শ্লোক)।..."

[সূত্র: খান, তারিক হোসেন, ২০১৩ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস, পৃ ১৫]



বর্তমানে এই অঞ্চলে বসবাসকারীরা মূলত এই আর্য জাতির সাথে অন্যান্য জাতির মিশ্রিত সঙ্কর জাতি। আমরা এ অঞ্চলে এসেছি এখানের আদিবাসী অস্ট্রিক ও দ্রাবিড়দের বিতাড়িত করে/হত্যা করে। পরবর্তিতে বিভিন্ন জাতি [মৌর্য (বৌদ্ধ)-গুপ্ত(ব্রাহ্মণ্য)-পাল(বৌদ্ধ)-সেন(ব্রাহ্মণ্য)-তুর্কি(মুসলিম)-আফগান(মুসলিম)-মুঘল(মুসলিম)] এসে পূর্ববর্তীদের উপর রাজত্ব করেছে এবং বংশবিস্তার করে জাতির সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে।



বর্তমান বাঙালির নৃতাত্ত্বিক গঠণ মূলত শুরু হয় পাল বংশের শাসনামলে (৭৫০-১১৬২)।. তবে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম বলে আমরা যে "বাঙ্গালাহ" কে চিনি তা এসময় একক ভুখণ্ড ছিল না। ১৩৩৮ সালে স্বাধীন সুলতানি আমলে সর্বপ্রথম পূর্ববাংলা-আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ মিলে একক শাসনে একটি ভূখণ্ড হিসেবে অস্তিত্ব লাভ করে এবং একটি নাম পায় - "বাঙ্গালাহ"।. কেবল চট্টগ্রাম ছিল এর বাহিরে কিন্তু পরে মুঘল সুবেদার ইসলাম খাঁর সময় সেটিও একত্রীত হয় এবং বাংলা একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহলে অস্ট্রিক দ্রাবিড়রা গেলো কই? তারা এসেছিলো কোথা থেকে?

আর্যদের প্রাচীনভূমি কোনটা?

খুব সুন্দর এবং ইন্টারেস্টিং লেখা।

আরেকটা প্রশ্ন

ইখতিয়ার মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী নাকি ডাকাত ছিলো?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: আর্যদের সম্পর্কেই তথ্য অনেক কম পাওয়া গেছে, সেখানে অস্ট্রিক ও দ্রাবিড়দের তথ্য একেবারেই দুর্লভ। ফলে তারা কি এই ভূমির প্রকৃত আদিবাসী নাকি তারাও অন্যকে উৎখাত করে এখানে বসতি গড়েছে তা বলতে পারছি না। তবে এই অঞ্চলে বসবাসকারী যাদের নাম ইতিহাসে পাওয়া যায় তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীনতম হচ্ছে "অস্ট্রিক"। এরা অস্ট্রিক ভাষায় কথা বলত।
উল্লেখযোগ্য যে দ্রাবিড় জাতি যাযাবর ছিলনা। তারা ইটের ব্যবহার জানত। দ্রাবিড়র ধান ও তুলার ব্যবহার জানত। ব্রোঞ্জ ছাড়াও তারা রৌপ্যের বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিল। পক্ষান্তরে আর্যরা ছিল যাযাবর।

"অস্ট্রিক-দ্রাবিড়রা গেলো কই?"
কোনো ঐতিহাসিক রেকর্ড নেই। তবে এই রেকর্ড আছে যে আর্যরা তাদের নিচু ভাবতো এবং তাদেরকে (অনার্য) আর্য বানানোর চেষ্টা করত (ধর্মান্তরিত)। এবং আর্যরা এ অঞ্চলের অনার্যদের "দস্যু" হিসেবে চিহ্নিত করত, তার মানে অনার্যরা আর্যদের সাথে যুদ্ধ-বিদ্ধেও লিপ্ত ছিল।
[সূত্র: খান, তারিক হোসেন, ২০১৩ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস, পৃ ১৫]
ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নেয়া যায় যে "অস্ট্রিক-দ্রাবিড়"-দের যারা আর্য ধর্ম গ্রহণ করে শূদ্রে পরিণত হয়, তারা বাদে বাকিদের হয় হত্যা নয়তো বিতাড়িত করা হয়েছিল (যেমন টা যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর প্রায় সবখানে হয়ে এসেছে।

"আর্যদের প্রাচীন ভূমি কোনটা?"
এ বিষয়ে পন্ডীতগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। একদলের ধারণা তারা পারস্য (বর্তমান ইরান) থেকে এসেছে, আরেক দলে মনে করে এরা মঙ্গোল থেকে আগত, আরেক দলের মতে এরা এত দূর থেকে আসে নি বরং ভারত বর্ষের খুব কাছাকাছি অঞ্চল থেকেই এসেছে কারণ তাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে তৎকালীন ভারত বাসীদের সঙ্গে যথেষ্ট মিল পাওয়া যায়।
রাইন নদী থেকে তুরস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে আর্যজাতির বাস ছিল বলে মনে করা হয়। ঐ অঞ্চলের পূর্বদিকে বসবাসরত আর্যদের মধ্য থেকে ইরানি এবং ভারতীয় আর্যদের উদ্ভব হয়। অনেকে মনে করেন হিন্দুকুশ পর্বত বেয়ে যারা উপমহাদেশে আগমন করে তারাই ভারতীয় আর্য। আবার কেউ কেউ মনে করেন ভারতীয় আর্যগণ ইরানি আর্যদের পশ্চিমাঞ্চলের অধিবাসী।
দেখুন - Click This Link

"ইখতিয়ার মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী নাকি ডাকাত ছিলো?"
ডাকাত বলতে আমরা বুঝি "যে জোর পূর্বক সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে নিজের যায়গায় চলে যায়"। সেই অর্থে খলজি ডাকাত ছিল না কারণ সে নিজের বাসভূমিতে চলে যাবার জন্যে এখানে আসেনি বরং এখানে নিজের শাসকের রাজ্য বিস্তৃত করতে এসেছিল, সে ছিল তৎকালীন দিল্লির তুর্কি শাসক কুতুবউদ্দিন আইবেক-এর সেনাপতি।
তবে হ্যাঁ, বখতিয়ার তার যুদ্ধবাজি, লুটপাট, জবরদখলের জন্যে আলোচিত এবং সমালোচিত। মাত্র ১৮ ঘোড়-সোওয়ার নিয়ে একটি রাজ্যের রাজধানী জয় করার ক্ষমতা যার আছে তাকে স্বাভাবিক ভাবেই কঠোর হতে হবে।
এ বিষয়ে জানার জন্যে আল মাহমুদ রচিত বখতিয়ারের ঘোড়া গ্রন্থটি উল্লেখ যোগ্য।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: তবে অনেক ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক দের মতে অস্ট্রিকরাই এ অঞ্চলের আদীবাসি। তারা কাওকে উৎখাত করে এ দেশে আসে নি বরং একটি শূণ্য ভূমিকে আবাদযোগ্য করেছে তারাই -
"সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকার সৃষ্টি কোটি বছর আগে। পরবর্তী সময়ে প্লাইস্টোসিন যুগে (১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ বছর আগে) সৃষ্ট হয় বরেন্দ্র, মধুপুর ও লালমাই অঞ্চল ( ^ সুত্র ১),। বাংলাদেশের বাদ বাকী জায়গা গঠিত হয়েছে সাম্প্রতিককালে। এক গবেষণায় জানা যায যে যশোর ও ফরিদপুর গঠিত হয়েছে ৮/৯ হাজার বছর আগে এবং পলিমাটিদ্বারা গঠিত বিক্রমপুরের সৃষ্টি হযেছে ৫ থেকে ৩ হাজার বছর আগে। আর পলিমাটিদ্বারা এই ভূগঠন প্রক্রিয়া ধাবিত হয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ক্রমান্বয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে (^ সুত্র ২)।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা উপলব্ধী করতে পারি যে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ, মধুপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও পার্বত্য ত্রিপুরা ব্যতীত অন্যান্য ভূভাগের গড় বয়স ৫ হাজার বছর।"
"অস্ট্রালয়েডরা দীর্ঘমুন্ডু, চ্যাপটা নাখ, খর্বকায়, কালো গাত্রবর্ণ বৈশিষ্টের অধিকারী ছিল। তাদের চুল ছিল ক্ষেত্রভেদে বিভিন্ন রকম। রশির মতো পাকানো, ঢেউ জাগানো, এমনকী সোজা চুলও তাদের মধ্যে ছিল। মেলানিয়শানদের ক্ষেত্রে সোজা চুলের আধিক্য পরিলক্ষিত হয়। এরা ক্রমে দক্ষিণ ভারত, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও ওসেনিয়ায় বসতি স্থাপন করে। অনেকে মনে করেন এরাই উপমহাদেশে প্রথম সভ্যতা স্থাপন করে। বসতি স্থাপনের পর এরা চাষাবাদ ও গুড় তৈরীর প্রণালী সর্ব প্রথম আয়ত্ব করে। অস্ট্রালয়েডরা দীর্ঘদিন ভারতের প্রথম বসতি স্থাপনকারী হিসাবে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিল। অস্ট্রালয়েডরা কাউকে বিতাড়িত করে নিজেদের বসতি স্থাপন করেনি। বরং দুর্গম স্থানগুলোকে সুগম, পতিত জায়গাসমূহ আবাদ করে উর্বর জমিতে পরিণত করে এবং বনের পশুকে পোষ মানিয়ে মানবকল্যানে নিয়োজিত করে। উপমহাদেশে ধান চাষের প্রচলন অস্ট্রালয়েডরাই করে থাকে। দ্রাবিড় জাতি যখন আর্যদের হাতে নিগৃহিত হয়ে অস্ট্রালয়েড উপজাতি সমূহের বাসস্থানে আশ্রয় নেয়, তখন তাদের মধ্যে তেমন কোন অসম্প্রীতির বিবরণ পাওয়া যায়না। অস্ট্রালয়েড নরগোষ্ঠিভুক্ত উপজাতিসমূহ উপমহাদেশের প্রায় সর্বত্র পরিলক্ষিত হয়। অস্ট্রালয়েডরা ভাষার ব্যবহার জানত। তাদের ভাষা বিশেষত মুন্ডাদের ভাষার প্রভাব উপমহাদেশে অত্যন্ত প্রবল ছিল।"

- দেখুন Click This Link

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি তো কঠিন ইতিহাসবিদ।

আসলে আমি একটু অন্যভাবে ভাবি। সবকিছুই কানেক্টেড। অন্যলাইন যেমন জীবনের উৎপত্তি যদি ঈশ্বর ছাড়াই হয় তাহলে এত বর্ন ঠিক আছে

যদি ধরি ঈশ্বরের আদম হাওয়া দিয়েই সবকিছুর সৃষ্টি তাহলে আবার মেলে না।

যদি এলিয়েনের মাধ্যমে জন্ম হয় তাহলে তারা পৃথিবীতে মানুষের প্রান সন্ঞ্চার করেছিলো একাধিক জায়গা থেকে। রায়েলিয়ান ধর্ম যেটা বলে।

সে হিসেবে আমরা যেটাই ভাবি না কেন আর্য বা অস্ট্রিডদের মূল অবশ্যই কোথাও না কোথাও ছিলো। তার ওপর আপনার কথা অনুসারে আমাদের দেহে এখনও ইউরোপীয়ানদের রক্ত বইছে বৈকি।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১১

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: "যদি ধরি ঈশ্বরের আদম হাওয়া দিয়েই সবকিছুর সৃষ্টি তাহলে আবার মেলে না।"

না মেলার কোনো কারণ নেই।

১) ঈশ্বরের কর্মপ্রকৃয়া যদি অলৌকিক (বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষার উর্ধ্বে) হয় তবে যে ঈশ্বর এত এর গ্যালাক্সি সৃষ্টি করতে পারে তার জন্যে আদম সন্তানের ভেতর থেকে অলৌকিক ভাবে বিভিন্ন জাতি বেড় করা কোনো ব্যাপারই না।

২) আর যদি বৈজ্ঞানিক ভাবে আদম থিওরির যৌক্তিকতা খুঁজতে যাই তবে সেটা আরো সহজ। অনেক কারণে এটা হতে পারে যেমন -
> Genetic mutation from early blasts by meteorites.
> আদম যদি কালো চামড়ার মানুষ হন তবে তার সন্তানদের একটি দল যখন বড়ফের দেশে পারি জমায় তখন তাদের দেখ সেখানের আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্যে/শিকার করার সময় বরফে ক্যামফ্লাজ সুবিধার জন্যে "বিবর্তিত হয়" আর সাদা চামড়ার আবির্ভাব ঘটে। পরে তাদের আন্ত-বিবাহের মাধ্যমে Genetic Shuffling হয়ে বাকি নৃগোষ্ঠির জন্ম।
> এলিয়েন থিওরির ইসলামিক ব্যাখ্যা হবে যে যাদের আমরা এলিয়ান ভাবছি আসলে তারা ছিল ফেরেস্তা।
> আমার বাপ-মা কালো হলেও আমি ফর্সা। এর কারন তাদের জিনে আমার দাদার বৈশিষ্টও লুকানো ছিল যা আমার শরিরে এসে আবার প্রকাশ পেয়েছে। কাজেই হতেই পারে যে আল্লাহ আদম-হাওয়ার মধ্যেই নিগ্রো-ককেশিয়ান-মঙ্গোলিয় বৈশিষ্ট সহকারে পাঠিয়েছিলেন যা পরে তাদের সন্তানদের মধ্যে প্রকাশ পায় এবং পারিপার্শিক অবস্থার সাথে Adjust করে আজকের নৃতাত্বিক বৈশিষ্ট ধারণ করে।

আরো অনেক থিওরি দাড় করানো সম্ভব। আসলে সাইন্স কখনও ধর্মের মানদণ্ড হতে পারে না। সাইন্স এখনও বাচ্চা মানুষ।

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৬

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: "সে হিসেবে আমরা যেটাই ভাবি না কেন আর্য বা অস্ট্রিডদের মূল অবশ্যই কোথাও না কোথাও ছিলো। তার ওপর আপনার কথা অনুসারে আমাদের দেহে এখনও ইউরোপীয়ানদের রক্ত বইছে বৈকি।"

তা তো বটেই, কিন্তু আমরা ততটুকুই জানি যতটুকু আমাদের ঐতিহাসিক রেকর্ড পাওয়া যায়। অস্ট্রিকদের রেকর্ডই বিরল, সেখানে তাদের আগের জাতির তো প্রশ্নই উঠে না।

আর হ্যাঁ আমাদের মধ্যে প্রায় সকল প্রকার রক্তই আছে ককেশীয়-মঙ্গোলীয়-নিগ্রো।

অষ্ট্রিক রা দেখতে ছিল অনেকটা এরকম -

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহলে তো আদম থিওরী ঘুরে ফিরে ডারউইনের বিবর্তনবাদকেই সমর্থন করে। তাহলে আদম কি নিয়েনডারথাল টাইপের কিছু হবে? তাহলে তো বলতে হয় ব্যাটা মানুষ না, হনুমান!!!! B-)) B-)) B-))

যাই হোক, আরও দুটো প্রশ্ন দেখা দিলো:

১) বিবর্তন বা মিউটেশন কতটা শক্তিশালী: জ্যানেটিক্স অনুসারে যেভাবে হুট হাট বিবর্তনের কথা বলি সেটা সমর্থন করে না। বরংচ ওরা বলে মিউটেশনের মাত্রা একই গোত্রের ভেতর কিছুটা উন্নত সংস্করনটাইপ। সে হিসেবে কালো মানুষ বরফের দেশে সাদা হবে সেটা মনে করার কারন নেই। একজনের জ্যানেটিকালি মেলানিন খুব কম আরেকজনের খুব বেশী। জ্বীনের এমন সিকোয়েন্সের পরিবর্তন পারিপার্শ্বিক আব হাওয়ায় নির্ভর করে কিনা সেটা নিয়েও গবেষনার ব্যাপার

২) আর যদি ঈশ্বরের সরাসরি কোনো প্রয়োগ এখানে থেকেই থাকে তাহলে সবকিছু সিস্টেম্যাটিক ভাবে এখন হচ্ছে কেন? এখন কেনো তার সরাসরি অংশগ্রহনের প্রয়োজন নেই?

আপনার সাথে আলোচনা করতে মজাই লাগছে

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: তাহলে তো আদম থিওরী ঘুরে ফিরে ডারউইনের বিবর্তনবাদকেই সমর্থন করে। তাহলে আদম কি নিয়েনডারথাল টাইপের কিছু হবে? তাহলে তো বলতে হয় ব্যাটা মানুষ না, হনুমান!!!!
> এটাও একটা থিওরি, and theory can go either way.

প্রশ্ন ১ এ আমার মন্তব্য
> কালো মানুষ বরফের দেশে সাদাও হুট-হাট করে হয়েছে আমি বলি নি। হাজার-হাজার বছর সময়ের ব্যাপার। আর হ্যাঁ জ্বীনের এমন সিকোয়েন্সের পরিবর্তন পারিপার্শ্বিক আব হাওয়ায় নির্ভর করে কিনা সেটা গবেষনার ব্যাপার। এটাও একটা থিওরি যা আমি সত্য প্রমাণ করতে পারছি না এবং আপনিও মিথ্যা প্রমাণ করতে পারবেন না (আপাতত)।

প্রশ্ন ২ এ আমার মন্তব্য
> এই থিওরিতে ঈশ্বর ফিজিক্সের আইনের অধীন কেউ নন বরং এ আইনের প্রণেতা জিনি তাঁর ইচ্ছেমত এ আইন বাঁকাতে বা ভাংতেও পারেন। এবং তিনি কোনো "কসমিক শক্তির চেইন রিয়াকশন" নন বরং নিজস্ব ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন একক সত্যা যার নিজের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, আনন্দ-ক্রোধ সবই আছে। ফলে তিনি সৃষ্টির সময় অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে যখন নিজের সৃষ্টির ব্যাপারে সন্তুস্ট তখন সবকিছুর "Administrative" দায়িত্ব তার ফেরেস্তাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। তাই সবকিছু নিজের গতিতে চলছে। আবার অনেক কিছুই পৃথিবীতে মাঝে মাঝে ঘটছে যা "বৈজ্ঞানীক ব্যাখ্যার উর্ধ্বে"। হুমায়ুন আহমেদ, জিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কেমিস্ট এবং কোয়ান্টম ম্যাকানিক্স এর উপর যার সুগভির জ্ঞান, তিনি নিজেই তার বিভিন্ন সাহিত্য কর্ম, প্রবন্ধে এ কথা স্বীকার করেছেন। ফলে এ কথাও পুরোপুরি প্রমাণিত নয় যে সবকিছু সিস্টেম্যাটিক ভাবে এখন হচ্ছে

আমার জানা নেই তবে শুনেছি বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারে নি মানব দেহে প্রাণ কোন অংশে থাকে? এটাই তো আমার কাছে আশ্চর্য ব্যাপার বলে মনে হয়। একথা আমি এক ডাক্তারের মুখে শুনেছি।

আমার ও মজা লাগছে।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: আর যেহেতু নৃবিজ্ঞানের আলোচনা থেকে পদার্থ-রসায়ন-জীববিজ্ঞানে ও পরে ধর্মের আলোচনায় এসে পরেছি তাহলে আমার কিছু ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের কথা এখানে বলে রাখতে চাই। আমি এককালে নাস্তিক ছিলাম। তখন আমার ধার্মিকদের বিরুদ্ধে যে কয়টা বড় প্রশ্ন ছিল তার অন্যতম হচ্ছে - "আল্লাহ আমাদের দেখা দেন না কেন? কেন তিনি লুকিয়ে আছেন?" যার গ্রহণযোগ্য উত্তর আমি পাইনি তখন। ইসলামিক ফিলসফিতে এমি এর উত্তর পেয়েছি যা অনেকের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে কিন্তু আমার কাছে যথেষ্ট গ্রহণ যোগ্য। ইনশাল্লাহ তা নিয়ে একটা বিস্তারীত পোস্ট করবো তবে সার সংক্ষেপ হচ্ছে -

আল্লাহ সর্ব জ্ঞানী। তাঁর জ্ঞান অতুলনীয়, আমাদের মত নয়। তিনি সৃষ্টি করার আগে যখন সৃষ্টির কল্পনা করেন তখনই বুঝে ফেলেন তার সৃষ্টিটি কেমন হবে, কি কি ত্রুটি থাকবে এবং সৃষ্টি করার আগেই সমাধান করে নেন। তাঁর অনেক গুণ, প্রজ্ঞা, সৌন্দর্য কিন্তু তা Appreciate করার যোগ্য কেউ নেই। ফেরেস্তা অনেকটা রোবটিক স্টাইলের, তারা দিন-রাত আল্লাহর প্রশংসা করবে এটাই স্বাভাবিক। এটাকে Appreciation বলা যায় না। Appreciation হবে যখন এমন কেউ প্রশংসা করবে যার নিজের বিবেক-বুদ্ধী আছে, যে ভাল-মন্দ নিজে বিচার করতে সক্ষম। এক কথায় যার Free Will আছে। তাই তিনি বানালেন ২টি জাতি। জিন ও ইনসান।
"আমি সৃষ্টি করিয়াছি জিন এবং মানুষকে আইজন্য যে, তারা আমারই 'ইবাদত করিবে।"{সূরা যারিয়াত ৫১:৫৬}

কিন্তু এই সৃষ্টিতে একটা সমস্যা আছে। সকলে এক রকম হবে না। কেউ ভালো কেউ মন্দ।
একটা সমাধান হতে পারত যে বেছে বেছে ভালগুলোকে সৃষ্টি করা আর মন্দগুলাকে সৃষ্টি না করা। কিন্তু তাতে তাদের আর ফেরেস্তাদের মাঝে পার্থক্য থাকলো কোথায়। জিন ও মানব সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য হবে Randomness and Free Will. ফলে একদিকে সৃষ্টি হবে আদম, নূহ, মূসা, ইসা আলাইহিস-সালাতু ওয়াসসালাম এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের মত মানুষ, অপর দিকে আযাযিল (ইবলিস), ফেরাউন, হিতলার, বুশের মত মানুষ জন্ম নিবে।

এখানে আবার আরেক সমস্যা, দেরে সকলকে জান্নাতে ঢুকালে জান্নাত আর জান্নাত থাকবে না, থাকবে না আল্লাহর ইবাদত (Appreciation) করার পরিবেশ। বরং এরা হচ্ছে নিমক-হারাম এবং শাস্তির যোগ্য প্রাণ। তাই এদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম।

এখনা আবার আরেক সমস্যা। আল্লাহর অনেক গুণের একটা হচ্ছে যে তিনি হক-বিচারক। মূলত বিনা দোষে হিতলার-মুসলিনিদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করলে তাঁকে কেউ কিছু বলার ছিল না কিন্তু এটা আল্লাহর বিবেক বহির্ভুত। ফলে এমন একটা ক্ষেত্র দরকার যেখানে সকলের মনের আসল খবর প্রকাশ পাবে। ভাল মানুষ ভাল আচরণ করবে আর মন্দলোক ফেতনা-ফাসাদ আর শিরকে লিপ্ত হয়ে তার আসল রূপ দেখাবে। আর এই কাজ কেউ আল্লাহর সামনে করবে না। অথচ তাদের মনে এই কুটিলতা ঠিকই থাকবে যা আমরা দেখতে না পারলেও আল্লাহর চোখে ঠিকি দেখা যায়।

ফলে জান্নাতে প্রবেশের আগে যেতে হবে Fair and Equal পরীক্ষার মধ্যদিয়ে।
আল্লাহ বলেন -
"যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করিবার জন্য-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। {সূরা মূল্ক ৬৭:২}

যে পাশ করবে সে (মনে যাই থাকুক) জান্নাতে যেতে পারবে আর যে ফেল করবে সে যাবে জাহান্নামে, শাস্তি কেটা যখন মনে পরিবর্তন আসবে তখন আবার জান্নাতে যাবে। আর যে মূল প্রশ্ন (শিরক) এর ভুল উত্তর দিল সে চিরতরে জাহান্নামি।

আল্লাহ তো মানবযন্ত্রের ডিজাইনের ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ভালোই জানেন কীভাবে পরীক্ষার প্রশ্ন সেট করতে হবে। তাই তিনি রচনা করলেন পৃথিবী, মৃত্যু, জন্ম, ও ভাগ্য (প্রশ্নপত্র)। যার প্রশ্ন কঠিন তার খাতা দেখা সহজ হবে, যার প্রশ্ন সহজ তার খাতা দেখা হবে কঠিন করে। এজন্যেই রাসূল (সা.) বলেছেন "জান্নাতে অধিকাংশই গরীব"।

(বিস্তারীত পরে পোস্ত করবো ইনশাল্লাহ!)

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার উত্তর ১০০% মনোঃপুত।

হ্যাপি ব্লগিং

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.