![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘বৈদেশেতে গিয়া গো কারো ব্যাটা মারা গেলে, পাড়াপড়শি না জানিলেও জানে তারই মায়ও রে মাঝি—’। অমিয় সত্য এই গানটির বাণী। কেন না, মায়ের সাথেই একমাত্র সন্তানের নাড়ির সম্পর্ক। যে মা দশ মাস দশদিন গর্ভে ধারণ করেন। যে মা হাজার কষ্ট সহ্য করে পৃথিবীর আলো বাতাসে বড় করে তোলেন প্রিয় সন্তানটিকে। সে সন্তাটি যদি দুখ-কষ্টে থাকে—তা কী মা বুঝবেন না?
সন্তারে আপদ-বিপদ সামগ্রিক বিষয়ই সবার আগে মা আচ্ করতে পারেন। যুগ যুগ ধরে এটাই হয়ে আসছে। তাই তো এই মায়ের ‘এক ধার দুধের দাম, কাটিয়া গায়ের চাম, পাপুষ বানাইয়া দিলেও শোধ হবে না’ উল্লেখ করে বহু আগেই গান হয়েছিলো। গান তো বলছি আমরা। কিন্তু এটাই তো সত্য। মায়ের ঋণ কখনোই কোনো সন্তান শোধাতে পারে না, এটা সম্ভবও না।
১৩ মাস আগে হারিয়ে যাওয় সাব্বিরের সন্ধানে ব্যাকুল মা সেলিনা আক্তার। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ দ্বীপে উদ্ধার হওয়া সাগরভাসীদের সঙ্গে একটি ছবিতে তিনি খুঁজে পেয়েছেন তার ছেলে সাব্বিরকে! সাগরভাসীদের মাঝে দেখা ছেলেটির সাথে সাব্বিরকে অন্য কেউ মেলাতে না পারলেও মা ঠিকই পেরেছেন। দাবীও করছেন পাগলিনি মা—এটাই তার হারিয়ে যাওয়া ছেলে সাব্বির।
তিনি জোর গলায়ই বলছেন—‘আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি ও আমার ছেলে। ২৪ বছর ১ মাস ওকে দেখেছি, ওকে পেটে ধরেছি, আমি চিনবো না’? ছবিটি দেখিয়ে তিনি সবাইকেই বলছিলেন—‘ও এভাবেই ঘরে শুয়ে থাকতো।’
প্রায় ১৩ মাস আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়েছিলেন তার ছেলে ঢাকার আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাব্বির হাসান। তাকে দেখা গেছে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ দ্বীপে উদ্ধার হওয়া সাগরভাসীদের সঙ্গে। এমন দাবি তার মা ও বাবার। পরিবারেরর বক্তব্যের সমর্থনে সাব্বিরের বন্ধুরা উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের ছবির সঙ্গে সাব্বিরের ছবি মিলিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে সব ছবি সাব্বিরের নয় বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। ফেসবুকে তিনি লেখেন—'আমি সাব্বিরের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, লুঙ্গি পরা ঘুমন্ত যে ব্যক্তির ছবি ছাপা হয়েছে সেটিই সাব্বিরের, কালো শার্ট পরা ব্যক্তিটি নয়। অনুগ্রহ করে কালো শার্ট পরা ব্যক্তির ছবি প্রচার করবেন না। আমাদের কর্মকর্তা আগামীকাল সকালে আচেহতে ওই ছবি নিয়ে তার খোঁজ করবেন’।
ছেলেহারা সন্তানের যন্ত্রণা একজন মায়ের চেয়ে ভালো আর কেউ বলতে পারেন না। তবে ছেলে হারানো যন্ত্রণা অন্যরা পুরোপুরি অনুধাবন করতে না পারলেও কিছুটা হলেও অন্যরা পারেন। তবে এটুকো কথা বলা যেতে পারে ছবিতে সাব্বিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া প্রসঙ্গে—‘মায়ের চোখ ভুল করতে পারে না’। তাই কাল বিলম্বিত না করে সাব্বিরসহ সকল সাগরভাসীদের উদ্ধার করা হোক। ফিরিয়ে দেয়া হোক তাদেদরকে তাদের মা-বাবা, সন্তান ও স্বজনদের কাছে।
উল্লেখ্য সাব্বিরের সঙ্গে সেদিন তার বন্ধু উদয়ও নিখোঁজ হয়। সেসময় সাগরে তাদের আরও চার বন্ধুর লাশ মেলে। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও সন্ধান মেলেনি সাব্বির ও উদয়ের। দীর্ঘ সময় পর সাগরভাসীদের সঙ্গে ‘সাব্বিরের ছবি’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তাকে দেখতে পাওয়ার দাবি করেন মা সেলিনা আক্তার।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: যদি সত্যিই ওটা সাব্বিরের ছবি হয়ে থাকে তবে পুরো ব্যাপারটাই চরম নাটকীয় হয়ে উঠবে সন্দেহ নাই। সাব্বির তো শিক্ষিত ছেলে, সে এতদিন কোন ব্যবস্হা করে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারলো না কেন?